পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৪৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও ৪শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা। “পুথি—আর বী4–আমার সর্বস্ব— তোমাকে দিলাম-আর”— সেবা, শুশ্রুষার করম্পর্শ করিল ! সন্ন্যাসীর উজ্জল চক্ষু উজ্জলতর হইয়া ধীরে ধীরে নিম্প্র ভ হইয়া আসিল ! গুজরাতে অতিথি । ፰ፃ ó তখন পৃথিবীর কোলাহল তাহার চতুর্দিকে যেন মৃদ্ধ সঙ্গীতের মত বাজিতেছিল –আব সেই সঙ্গীত গুঞ্জনের মধ্যে শুীমমনারের চরণস্থপূর শব্দ তাহার কাণের কাছে সুস্পষ্ট হইয়া বাজিয়া উঠিল ! ঐযতীন্দ্রমোহন সেন গুপ্ত । গুজরাতে অতিথি । “অতিথির বেশে ঘুরে দেশে দেশে, কানন কাস্তার শৈল লোকাবাসে, সতত রয়েছ তুমি পরকাশি স্নেহ মায়া লয়ি আপনা বিকাশি ।” প্রায় চারি বৎসর কাল গুজরাতে অতিথিরূপে অবস্থান করিয়াছি । দীর্ঘ চারি বৎসরের স্মৃতি গুজরাতি নরনারীর সৌজন্তে সমুজ্জ্বল করিয়া রাখিয়াছে। Q জীবসেবা গুজরাতের জাতীয় অঙ্গের একটা শ্রেষ্ঠ দিক ; কিন্তু ইহা কালে কালে মানবসেব অপেক্ষ বহুলাংশে পশুপক্ষী সেবার দিকে অধিকতর খরবেগে প্রবাহিত হইতেছে। ক্ষুদ্র পিপীলিকা, কাট, পতঙ্গ কুকুর বিড়াল বানর প্রভৃতির আহাৰ্য্যের সংস্থানের জন্তই ইহাদিগকে বিশেষ ব্যগ্র দেখা যায়। গাছের গুড়িতে গুড়িতে পিপ্রার জন্ত গুজরাতির চিনি ফেলিয়া রাখে ; কাঠবিড়ালীর আহারের জন্য অর্থব্যয়ে স্থানে স্থানে মঞ্চ নিৰ্ম্মাণ করে ; বানরের আহারের জন্ত বনে জঙ্গলে প্রভূত পরিমাণ রুট প্রতিদিন বিতরণ করিয়া আসে এবং মাছের আহারের জন্ত আটা, বাজরী, মুরমুরা’ জলে নিক্ষেপ করে ; আর গৃহে কোন অতিথি উপস্থিত হইলে, স্বামী স্ত্রী পুত্র কন্যা সকলেই তাহাকে স্নেহ ষত্বে অভ্যর্থনা করিয়া লয়। গুজরাত ও भशबड़े ব্যতীত ভারতের সর্বত্রই এ ভাব বিরল। প্রবাসীর প্রতিও গুজরাতীরা খুব স্নেহশাল ও অতিথিবৎসল । গুজরাতের দ্বিতীয় পুলকচঞ্চল শু— গরবা-গান। ইহা গুজরাত জাতীয় জীবনের অনিন্দ্য আনন্দ উৎস ; শরৎ প্রকৃতির নিৰ্ম্মল • নীল আকাশতলে রবিকর বিকীর্ণ শুামাঞ্জিত তরুলতা শস্যের আনন্দ উচ্ছ,সি পরিব্যাপ্ত প্রাঙ্গণতলে গুর্জরী রমণীগণের আনন্দ আবেগ সঙ্গীতস্রোতে দিগ্‌মণ্ডল প্লাবিত করিয়া তোলে ;–এই সময় তাহাদের নওরাত্রি, দিওয়ালী, দেবদিওয়ালী নববর্ষ প্রারম্ভ ও শ্ৰীকৃষ্ণের জন্মোৎসব। এই উৎসব সময়ে গুজরাতি রমণীগণের মহিমা-কীৰ্ত্তন গরবা গান সুধার মত মুমন্দ পবনে ছড়াইয় পড়ে । সন্ধ্য আগমনের সঙ্গে সঙ্গে বালবৃদ্ধযুবতী রমণীগণ মুনীর বস্ত্রীলঙ্কারে মুসজ্জিত হইয়া* দেবমঙ্গির প্রাঙ্গণে সন্মিলিত হয় ; তারপর একটা দীপশিখা মধ্যস্থলে রাখিয়া করতালি