পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৫০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা। সভাসদগণকে বলিলেন যে "আমি হিমতালের রাজা । লীচ জাতীয় রাজ। এই সকল অত্যাচার করিতেন ৰলিয়া আমি অত্যন্ত দুঃখিত হইয়াছিলাম ; এইজষ্ঠ জামি অধ্য তাঙ্কার মস্তকচু্যত করিয়াছি। কিন্তু অধিবাসীদিগের কোনই অপরাধ নাই ।“ মন্ত্রীগণকে নানা দেশে নিৰ্ব্বাসন করিয়া, তিনি যতিগণকে প্রত্যাগমনে আদেশ দিলেন। এবং সজারাম নিৰ্ম্মাণ করিয়া উtহাদের বাসের বন্দোবস্ত করিলেন। পরে তিনি পশ্চিম দ্বার দিয়া বহির্গত হইয়৷ পূৰ্ব্বাস্ত হইলেন এবং রাজ্য যতিগণকে দান করিলেন । ক্রীতগণ এই প্রকারে কয়েকবার স্বাধিকার চ্যুত হইল কিন্তু পরে পুনরায় তাহার এদেশ অধিকারে সক্ষম হইল । এই কারণে বৰ্ত্তমানে এই দেশে অবিশ্বাসীগণেরই অধিক প্রভাব । নূতন নগরের ১• লি দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পুরাতন নগরের উত্তরে এবং বৃহৎ এক পৰ্ব্বতের দক্ষিণে সঙ্ঘারামে ৩• • যতি বাস করেন । মঠ সংলগ্ন স্তপে দেড় ইঞ্চি দীঘ শ্বেতপাতাভ বর্ণ বুদ্ধদন্ত আছে। পূজার দিন এই দন্ত জ্যোতিবিকীর্ণ করে । পুরাকালে ক্রীতগণ বৌদ্ধধর্মের উচ্ছেদ সাধন করিয়া, যতিগণকে দূরীভূত করিয়াছিল " এই সময়ে একজন শ্রমণ ভারতবষের মধ্যে বুদ্ধদেবের যত স্মৃতিচিহ্ন আছে তাই দর্শনে অভিলাষী হইয়া নিজ দেশে শাস্তি সংস্থাপিত হইয়াছে শুনিয়া প্রত্যাগমনের জন্য অগ্রসর হইলেন। পথিমধ্যে হস্তীমুখ দেখিয়া তিনি এক বৃক্ষে আরোহণ করিলেন । হস্তীযূথ জলপান করিয়া, ঐ বৃক্ষের মূল উৎপাটন করিয়া বৃক্ষকে ভুমিশায় কৰিল। তৎপরে শ্রমণকে পৃষ্ঠে করিয়৷ নিবিড় বনের মধ্যস্থলে উপস্থিত হইল। ৬থায় আহত এক হস্তী ছিল । শ্রমণের হস্ত লইয়। • পীড়িত হস্তী তাহার ক্ষত স্থান দেখাইয়া দিলে, শ্রমণ সেই স্থান হইতে ক্ষুদ্র বংশ খণ্ড বাহিব করিলেন । পরে ঐ স্থানে ঔষধি প্রয়োগ করিয়া নিজ পরিধেয় বসন ছিন্ন করিয়া ক্ষত স্থান বাধিয়া দিলেন। অন্ত ७कर्छौ ङखौ ¢क छैौ श्रुर्मीक्षाग्न पत्रांनघ्नन कब्रिग्न छंश जीझङ इसौ८क धनाम कब्रिट्ज, इसी ऎश अंबभट्रक চয়ন—সিউ-ইউ-কি। } e \ } প্রদান করিল । শ্রমণ আবরণ উন্মোচন করিয়া দেখিতে পাইলেন ষে উহাতে বুদ্ধদেবের মস্ত আছে। গরে সকল হস্তীগুলি উহাকে বেষ্টন করিয়া রহিল। পরদিন প্রত্যেক হস্তী উtহার মধ্যtহ্ন ভোজনের জন্ত ফল আনয়ন করিলে, তিনি আহীরাদি সম্পন্ন করিলেন । পরে তাহারা ঠাহীকে বহন করিয়া অনেক দূর আনয়ন করিয়া অভিবাদন করিয়t প্রস্থান করিল। শ্রমণ ঐ দেশের পশ্চিম সীমায এক বেগবতী নদী পার হইতে লাগিলেন। ঐ সময় নৌক নিমজ্জনের সম্ভাবনা দেখিয়া অন্যান্ত আরোহীগণ স্থির করিল যে শ্রমণের নিকট নিশ্চয়ই কোন চিহ্ন আছে এবং ঐ চিহ্নের লোভেই দৈত্যগণ নৌকার এই দশ। কল্লিতেছে। নৌকাস্বামী শ্রমণের দ্রব্যাদি পরীক্ষা দ্বারা ঐ দন্ত দেখিতে পাইলেন । তখন শ্রমণ ঐ চিহ্ন উদ্ধে ধরিয়া মস্তক নত করিয়৷ নাগগণকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন যে, ইহা এই ক্ষণ তাহীদেরই নিকট ন্যস্ত রহিল ; প্রত্যাগমন করিয়া তিনি উহা পুনৰ্ব্বার গ্রহণ করিবেন । পরে তিনি নদী উত্তীর্ণ হইতে অস্বীকার করিয়া প্রত্যাগমন করিয়া নদীকে সম্বোধন করিয়া দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া বলিলেন যে "এই দৈত্যগণকে দমন করিতে শিক্ষা করি নাই বলিয়াই আমার এই দুর্দশ ।" পরে তিনি ভারতবর্ষে প্রত্যাগমন করিয়৷ দৈত্য-দমন শিক্ষা করিলেন এবং তিন বৎসর পরে স্বদেশে প্রত্যাগমন করিয়া নদীতীরে বেদী নিৰ্ম্মাণ করিলেন । নাগপূর্ণ উখর নিকট বুদ্ধদেবের দন্তাধার আনয়ন করিল। শ্রমণ উঃ। গ্রহণ করিয়া এই সঙ্ঘারামে আনয়নপুৰ্ব্বক সেই সময় হইতে পুজা করিতেছেন। এই সঙ্ঘারামের ১৪১৫ লি দক্ষিণে ক্ষুদ্র এক সত্তারামে অবলোকিতেশ্বর বোধিসত্ত্বের দণ্ডায়মান প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। যদি কেহ অবলোকিতেশ্বরকে না দেখিয়া অনশনে দেহ ত্যাগ করে, তবে এই প্রতিমূৰ্ত্তি হইতে উজ্জ্বল প্রতিবিম্ব বহির্গত হয়। ক্ষুত্র সঙ্গারামের দক্ষিণপূর্বে ৩• লি দূরে বৃহৎ পৰ্ব্বতে প্রাচীন সক্তধারামের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায় । বৰ্ত্তমানে