পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৫০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ দ্বাদশ সংখ্য । এবং বীরের দ্যায় কঠোর কৰ্ত্তব্য পালনে সক্ষম হইয়াছিলেন সে তথ্য সকলেরি নিকট প্রীতিজনক হুইবে আশা করা যায় । সম্প্রতি ইতালীর মধ্য প্রদেশে বেনমণ্ট নামক স্থানে সমাহিত কতকগুলি ইট্রস্কান ভাস্কর মুষ্টি আবিষ্কারদ্বারা নারী সৈন্তের অস্তিত্ব নিঃসংশয় রূপে প্রমাণিত হইয়াছে । ইট সকানগণ এক রহস্তময় জাতি, রোমক অভু্যখানের বহু শতাদি পূৰ্ব্বেই তাহার সভ্যতার সৰ্ব্বোচ্চতম স্থান অধিকার করিয়াছিল । বেনমণ্ট ভূগর্ভউৎখাত দুইটি বহু প্রাচীন সমাধির বহি প্রাচীর গাত্রে নারী সৈন্তের সংগ্রাম দৃষ্ঠ খোদিত আছে। কোনও রমণ রথ চালনা করিতেছেন, কেহ সগৰ্ব্বে অশ্ব চালনা করিতে প্রবৃত্ত অপর কেহ বা বর্ষাহস্তে ধন যুদ্ধে অগ্রসর হইয়াছেন । এই সকল যুদ্ধদৃশ্যে র্তাহারা নিয়তই পুরুষদিগকে পরাজয় করিয়া জয় গৌরবে গৰ্ব্বিত । পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বীদিগের বিশাল বক্ষে অকুতোভয়ে নিষ্ঠুর সাহসের সহিত আসি কিম্ব। বল্লম প্রোথিত করিয়া দিতে উদ্যত, এবং পরাভূত পুরুষগণ রণে ভঙ্গ দিয়া পুষ্ঠ প্রদর্শন পুৰ্ব্বক মৃত্যুমুখে পতিত হইতেছেন। নারীগণ অধিকাংশ স্থলেই দ্বন্দ্ব যুদ্ধে প্রবৃত্ত, তাহাদের দৃঢ় মাংসপেশী সম্বদ্ধ বাহুযুগল দেখিয়া স্বতই তাহাদিগকে পুরুষ অপেক্ষ অধিকতর বলশালী মনে হয় । সমাধি মধ্যে দুইটি সবল কায় প্রকাও নারীকঙ্কাল পাওয়া গিয়াছে আর সেইখানেই তাহদের ধাতুনিৰ্ম্মিত শিরস্ত্রাণ, বৰ্ম্ম, তরবারি এবং বর্ষাখণ্ড রক্ষিত আছে । পণ্ডিতদিগের বিশ্বাস ইহাদিগের চয়ম-রী সেন । be \లి মধ্যে একজম লাটিম কবি ভার্জিন বর্ণিত অসীম প্রতাপশালী চিরকুমারী সাম্রাজ্ঞী কামিন । হার্কিউলিনিয়াসের ভগ্নাবশেষ মধ্য হইত্তে অল্পকাল পূৰ্ব্বে ধাতুনিৰ্ম্মিত অনেকগুলি অতি সুঠাম যুদ্ধরত নারীমূৰ্ত্তি পাওয়া গিয়াছে, প্রত্যেকটিতেই নারীগণ যে জাতীয় পরিচ্ছদ পরিধান করিয়া আছেন তাহার সহিত রোমক কিম্বা গ্রীসীয় পরিচ্ছদের কোন সাদৃশুই দেখা যায় ন!—এবং এই স্বাতন্ত্র্যই তাছাদের বাস্তবিকতার সাক্ষ্যস্বরূপ উল্লেখিত হইয়া থাকে। গ্রাসদেশীয় ভাস্কর এই মূৰ্ত্তি গুলি খোদিত করিয়াছেন, এগুলি যদি কেবল তাহার কুল্পনা প্রস্থত হইত তাহা হইলে স্বভাবতঃই সেগুলি তিনি স্বীয় জাতীয় পরিচ্ছদে সজ্জিত করিতেন। গ্ৰীক পুরাণে দেখা যায় এই যোদ্ধা স্ত্রীজাতি আসিয়া মাইনরে বাস করিতেছিলেন। fox sigsaw Boghany Knio ংসাবশেষের সন্নিকটে থামোডন নতীতীরে ক্যাপাডোসিয়া নামক স্থানে তাহীদের আদিম নিবাস । সেখান হইতে আসিয়া মাইনরবাসীদিগকে পরাভব করিয়া নুতন রাজ্য সংস্থাপন অভিপ্রায়ে অভিযান করেন। এই রাজত্ব সম্পূর্ণ ই স্ত্রীশাসনের অধীন ছিল । কখনও যদি কোন নারী স্বয়ম্বর হইতে ইচ্ছা করিতেন তাহা হইলে পাশ্ববৰ্ত্তী কোন রাজ্যের পুরুষকে তিমি মনোনীত করিতে পারিতেন—কিন্তু স্বামীটিকে বন্দী কিম্বা শিক্ষানবীশভাবে বাস করিতে হইত ; পত্নী যেদিন ইচ্ছা সেইদিনই তাহাকে বিদায় করিয়া দিতে পারিতেন। রাজ্যে পুরুষ সন্তান হইলেই