পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৫২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'owDఆ বিশেষকে কৃপার পাত্র করিয়া তোলে । ফলে নানারূপ হাস্তের উপকরণ লইয়৷ কবিগণ নিদাঘের রহস্ত কাব্য-স্বপ্ন গ্রথিত করেন । বটমূ গর্গভের সহিত মানুষের বা পরীর মিলন ব্যাপারে মুচ্ছিত হুইবার কোন কারণ দেখা যায় না। কারণ কবি বলেন, প্রেমের দেবতা হিসাবকেতাব খুলিয়া বিচার করে না । নরগর্দভরূপী অবতার Bottom কেন, একেবারে নিখুঁত গৰ্দ্দভের সহিতও সুন্দরী Titania রাণীর গ্রীষ্মপীড়িত মস্তক যুক্ত হইতে পারিত। অপরশ্রেণীর মিলন অভাবাত্মক । কালিদাস গ্রীষ্মঋতুকে সংহরণ করিয়া কাব্যে এক অপূৰ্ব্ব স্বপ্ন গ্রথিত করিয়াছেন। মিলন যে কেবল প্রেমের ভিতর দিয়াই গম্ভব, তাহা ঠিক নছে। অভাবাত্মক দিকৃ হইতেও তাহ সংঘটিত হয়। জিঘাংসা, নিষ্ঠুরতার অভাব হইতেও যেমন মিলন সম্ভব তীবাত্মক দিক হইতেও তেমনি ঘটে। ঋতুসংহারে কালিদাস হিংশ্রপশুগণের মাঝে দিবালোকে যে অপূৰ্ব্ব মিলন সম্ভব করিয়াছেন তাহা অভাবাত্মক । তাহ হিংস্রতার অভাবসঞ্জাত-প্রত্যক্ষ প্রেমের আকর্ষণমূলক মহে। ইহার মাঝেও একটি বিশেষ উপভোগ্য নিবিড় হাস্ত লুক্কায়িত আছে। সিংহকে ছায়াসিংহে পরিণত করা, খাদ্যের উপস্থিতি সত্ত্বেও খাদকের স্পন্দনহীন ব্যর্থতা যেন দুৰ্ব্বল প্রাণীজগৎ হইতে একটি অট্টহাস্ত, বিদ্ধপরাগিণী—অরণ্যময় ছটাইয়া দেয়। দম্ভ—ম্বলিতগতি, শক্তি—আশ্রয়হীন, রোষ ঔদাতে পরিণত হয় । ভারতী । চৈত্র, ১৩১৭ বাহাই হোকু না কেন দৃশুটি যথার্থত: সুন্দর । বিপরীত ধৰ্ম্মীগণকে অভিন্ন বেদীতে আহবান ব্যাপারটিই দুরূহ। মামুষের মাঝে নানা কবি Utopia কল্পনা করিয়াছে কিন্তু আরণ্যজগৎ তাহীদের সঙ্কীর্ণ চিত্তের পরিসরে স্থান পায় নাই। ভারতীয় চিত্তে, মানব কেন, যাবদীয় প্রাণী ও অপ্রাণী রাজ্যের স্থান আছে—এজন্ত কল্পনার লীলায় তাহাদেরও নির্দিষ্ট স্থান আছে। কে বল কবির পক্ষেই এই অভিনব মিলনমন্ত্র ধ্বনিত করা সম্ভব। তাহার অঘটন ঘটন পটীয়সী ছায়াতুলিকা দ্বারা স্বষ্টির নিয়ম বিপৰ্য্যস্ত হইয়া যায়—ইহাতে কবিরও আনন্দআমাদেরও নিতান্ত কম নহে। কলিযুগে বিশ্বকৰ্ম্মার দ্যায় কবিই এই ললিত রাজ্য স্বজন করেন । এই খানেই কাব্যকলা বা আর্ট স্বভাবকে অতিক্রম করিয়া উচ্চতর রাজ্যে অগ্রসর হয়। চিত্তের সুন্দরমুখী বৃত্তি যতদিন বর্তমান থাকিবে ততদিন এই রাজ্যের উত্তরোত্তর বিস্তৃতি হইবে । নানা দার্শনিক, নানা পস্থায় হিংসা নিৰ্ম্মক্ত এই মঙ্গলপথের ধান করিয়াছেন। ইহারই ছবি পীড়িত ধরার মুক্তির জন্ত দ্বারে দ্বারে বিবৃত করিয়াছে ! একটি পলকে এই মহাদৃশুটি দেখান সম্ভব হইলে তাহার প্রলোভন সম্বরণ নিম্প্রয়োজন । এই জন্ত সংস্কৃত কবি নিদাঘকে শুভলগ্নে এই পথে স্বাগত সম্ভাষণ করিয়াছেন। ভারতের কবি এই মিলনে আনা অনুভব করিয়াছেন। ব্যাপারটি কাব্যের দিক হইতে বা কল্পনার দিক্ হইতে অসত্যও নহে। দেশ