পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা । একই অভিজ্ঞতা অন্তভাবে ব্যক্ত হয়। যদি কোনো ভাষায়, “রাম যছকে আঘাত করিয়াছে, এরূপ পদ নিম্পন্ন না হইয়া কেবল এই হয় যে, “যদু আহত হইয়াছে,” তবে সেই ভাষা র্যার ব্যবহার করেন, তাছাদের চিন্তায় ও জ্ঞানে কর্তা অপেক্ষা কৰ্ম্মের জ্ঞানই যে আদিকাল হইতে অধিকতর প্রবল ছিল, এ সিদ্ধান্ত সহজেই উপলব্ধি হয়। আবার এমন ভাষাও আছে, যাতে কর্তা ও কৰ্ম্ম উভয়েরই জ্ঞান অপেক্ষাকৃত ক্ষীণ, কেবল ক্রিয়ার জ্ঞানটাই নিরতিশয় প্রবল। এরূপ ভাষা আদিম কাল হইতে যে জাতি ব্যবহার করিয়া আসিয়াছে, তাহদের চিন্তার ধরণ যে অপরের চিস্তার ধরণ হইতে স্বতন্ত্র হইবে, ইহা অার বিচিত্র কি ? ১৫ । বিশ্বসমস্যা । এই বিশ্বের মুখ্য তত্ত্ব দুট—অহং ও ইদং । অহং কৰ্ত্ত, ইদং কৰ্ম্ম। অহং বিষয়ী, ইদং বিষয় । এই অহংএর সহিত এই ইদং এর সম্বন্ধ কি ? ইহাই বিশ্বের বিশাল ও সনাত। সমস্ত । এদের সম্বন্ধ-নির্ণয় করিতে যাইয়াই মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞান, শাস্ত্র সাহিত্য, ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম, সকলই ফুটিয়া উঠিয়াছে। যে জাতি অনাদিকাল হইতে যে ভাবে এই বিশ্বসমস্তাকে দেখিয়াছে, ধরিয়াছে, তার যেরূপ মীমাংসা করিবার চেষ্টা করিয়াছে, সে ভাবেই সেই জাতির ধৰ্ম্ম ও দর্শন, শিল্প ও সাহিত্য, এক কথায় তার সাধন ও সভ্যতা গড়িয়া উঠিয়াছে। আর প্রত্যেক জাতির ভাষার মৌলিক গঠনের মধ্যে, সে জাতি এই বিশাল বিশ্বসমস্তাকে কিরূপে দেখিয়াছে ও ধরিয়াছে, ভারত ও বিলাত। ¢oቄ তার মূল স্বত্রট খুজিয়া পাওয়া যায়। কোথাও বা মানুষ অহংকে সকল অবস্থাতেই ইদং এর উপরে প্রভুত্ব করিতে দেখিয়াছে, সেখানে তার সাধন ও সভ্যতা অহংমুখীন ৰ অস্তমুখীন হইয়াছে। সেখানে সে সৰ্ব্বদাই বিষয়ের মধ্যে বিষয়ীকে খুজিয়াছে, বিষয়-জাল ছেদন করিয়া, বিষয়ীকে মুক্ত করিবার চেষ্টা করিয়াছে । তার ধৰ্ম্ম আধ্যাত্মিক, তার দর্শন অদ্বৈত, তার শিল্প অস্তমুখীন, তার সকলই একটা বিষয়াতীত, অতীঞ্জিয় প্রভাcवब्र दांज्ञा अङिठूठ श्ब्रांtछ् । श्रांदांब्र কোথাও বা মানুষ বিষয়ের মধ্যে বিষয়ীকে হারাইয় ফেলিয়াছে। বিষয়ের প্রভাবে তার জ্ঞান এমনই অভিভূত হইয়াছে যে সে কিছুতেই বিষয়ীকে বিষয়ের উপরে একান্তভাবে স্থাপন করিতে পারে নাই। যে জাতি এইরূপে বিষয়ের দ্বারা অভিভূত হইয়া যায়, তার ধৰ্ম্ম, দর্শন, শিল্প, সাহিত্য সকলই অতিমাত্রায় বহিমুখীন ও বিষয়াধীন হইয়া পড়ে। মানুষ আদিকাল হইতেই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে এই বিশ্বসমস্তাকে দেখিয়াছে। বিভিন্ন পন্থা অবলম্বনে এই সমস্তার মীমাংসা করিতে চেষ্টা পাইয়াছে। এই জন্ত তাদের সভ্যতাও পরস্পর হইতে পৃথকৃ হইয়া পড়িয়াছে। এই চেষ্টা হইতেই ভিন্ন ভিন্ন জাতির ইতিহাস গড়িয়া উঠিয়াছে। ১৬। জাতিত্ব ও মনুষ্যত্ব । কিন্তু জগতের বিভিন্ন মামুষের একটা বিশেষ ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন জাতির একটা বিশেষ জাতিত্ব বা জাতীয়তা আছে বলিয়া যে তারা পরস্পরে সমান নহে, এমনো বলা