পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা । অখও বস্তু রহিয়াছে, সেই একই পূর্ণ ও অদ্বৈত বস্তু যখন নানাভাবে, নানা আকারে, সকল আধারের ভিতর দিয়াই আপনাকে ফুটাইয়া তুলিতেছেন, তখন এক ব্যক্তি বা এক জাতি তার নিজস্ব ধনের জন্ত অপরের দ্বারে কেনই বা প্রার্থী হইতে যাইব ? এই জন্তই এ বিশ্ববিবর্তনে দানের কণামাত্রও স্থান নাই, অমুকরণ একান্তই নিম্প্রয়োজন । ১৭। মনুষ্যত্বের ইতিহাস । সকল অপূর্ণের ভিতরেই যে পূর্ণ বস্তু রহিয়াছে, সকল দ্বৈতের মূলেই যে অদ্বৈত বস্তু, সকল ভাগবিভাগের ভিতরেই যে এক অখণ্ড ও অবিভাজ্য তত্ত্বপদার্থ নিহিত রহিয়াছে, এবং বিশ্ববিবর্তনে অনস্তভাবে, অনন্ত আধারে, অনস্তরূপে সেই নিত্য স্বরূপ বস্তু আপনাকে প্রকাশিত করিতেছেন, য়ুরোপ এই সত্যকে এখনো ভাল করিয়া ধরিতে পারে নাই। আর তারই জন্য যুরোপ অনেক তত্ত্বের আবিষ্কার করিয়াও এখনো পৰ্য্যস্ত মানবসমাজের একটা সাৰ্ব্বজনীন ইতিহাস গড়িয়া তুলিতে পারে নাই। যুরোপ প্রাচীন কালের বহু সাধনা ও সভ্যতার আলোচনা করিয়াছে ও করিতেছে। সমাজের অতি প্রাচীন সময়ের অনেক লুপ্ততত্ত্ব উদ্ধার কfরয়াছে ও করিতেছে, বর্তমানে ভিন্ন ভিন্ন জাতির শাস্ত্র সাহিত্য, আচার পদ্ধতি, এ সকলের অনেক সংগ্ৰহ করিয়াছে ও করিতেছে, কিন্তু এমন মুন্দর, এমন মূল্যবান, এরূপ বিরাট আয়োজন ও উপকরণ সত্ত্বেও, মানব সমাজের একট। সাৰ্ব্বজনীন ইতিহাসের পত্তন পৰ্য্যস্ত করিতে ভারত ও বিলাত। &లిఫి পারে নাই । সমগ্র মানবমণ্ডলীকে যুরোপ এপর্য্যন্ত খণ্ড খণ্ড ভাবেই দেখিয়াছে। আর একটা কল্পিত, অলীক স্বত্রে এ সকল খণ্ড বস্তুকে গাথিয় তাহীদের মধ্যে একটা কাল্পনিক একত্ব প্রতিষ্ঠারও চেষ্টা করিয়াছে। মানুষের যেমন পেীগণ্ড, বাল্য, যৌবন, জরা প্রভৃতি বিভিন্ন অবস্থা হয় ; প্রত্যেক ব্যক্তি যেমন এই সকল অবস্থার ভিতর দিয়া যাইয়া আপনার পরিণতি ও পরিপক্কতা লাভ করে, আর এক এক অবস্থা অতিক্রম করিয়া, মানুষ যেমন অপর পূর্ণতর অবস্থা প্রাপ্ত হয় ; সেইরূপ সমগ্র মানবজাতিও ধারাবাহিকরূপে, সমাজ-পবিবৰ্ত্তনের ভিন্ন ভিন্ন ধাপ বা অবস্থ৷ অতিক্রম করিয়া চলিয়াছে। ভারতে ও মিশরে, লুদিয়ায় ও ব্যাবিলনে, এই “বিশ্বমানব” পৌগণ্ড ও বাল্যদশায় ছিলেন। গ্রীসে ও রোমে যৌবনের প্রথম প্রাস্ত প্রাপ্ত হন। আধুনিক যুরোপে যেীবনের পূর্ণতা ও জীবনের পরিপকত প্রাপ্ত হইয়াছেন । সুতরাং যুরোপের বাহিরে যারা পড়িয়া আছে, আধুনিক যুরোপীয় সাধন ও সভ্যতার যারা অধিকারী নহে, তারা বালকরূপে স্নেহ, কুপা, ও অতুকম্পার পাত্র সন্দেহ নাই, কিন্তু সমকক্ষরূপে কখনো সমাদৃত হইতে গারে না। যুরোপীয় পাণ্ডিত্য এইভাবেই মানবসমাজের একটা সাৰ্ব্বজনীন ইতিহাস রচনা করিয়াছে ও করিতেছে । কিন্তু পেীগণ্ড, বাল্য, যৌবন প্রভৃতি একই ব্যক্তির জীবনের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা । এক জনে পৌগগুfবস্থা শেষ হইয়া, আর এক জনে বাল্যের স্বচন, ও उtशब. বাল্যাবস্থার অবসানে তৃতীয় ব্যক্তির যৌবনের প্রতিষ্ঠা