পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ পর্ষ, অষ্টম সংখ্যা উৎসাহ, সহিল প্রভৃতি পুরুষোচিত সদগুণের বিকাশ হইত, মাংস ভক্ষণ দ্বারা তাহাদের শারীরিক ও মানসিক শক্তির উন্নতি হইত, শস্তাদির শক্র শূকরকুলেরও হ্রাস হইত। তাহাদের মধ্যে ধনী ছিল না সুতরাং বিনামূল্যে মাংস ভক্ষণ তাহাদের একটা মহা বিলাস ছিল। প্রায় চল্লিশ বৎসর হইল তাহার। বরাহ মাংস খাওয়া ছাড়িয়া দিয়াছে। অভি প্রায় এই যে উচ্চবংশীয় লোকদিগেব আচার ব্যবহার অবলম্বন করিয়া জগৎকে জানাইবে যে তাহারাও উচ্চবংশীয়। তাহারা কখনও ধনবান ছিল না ; সুতরাং ক্ষেত্রকর্ষণ ভিন্ন তাহারা জীবিকানিৰ্ব্বাহের জন্ত অন্ত জাতীয় লোকের চাকরী করিত এবং আরও নানারূপ কাজ করিত। কিন্তু এখন তাহার ব্রাহ্মণ ভিন্ন অন্ত কোন জাতির কাজ করে না, ব্রাহ্মণ ভিন্ন অন্ত কোন জাতির অন্নও গ্রহণ করে না। ব্রাহ্মণেরাই তাহাদিগকে নিৰ্য্যাতন করিবার জষ্ঠ শাস্ত্র প্রণয়ন করিয়াছিলেন অথচ ব্রাহ্মণের প্রতি তাহণদের কোনরূপ দ্বেষ নাই—তাহীদের যত আক্রোশ ব্রাহ্মণেতর জাতির প্রতি । ধন্ত মনুষ্য চরিত্র। পূৰ্ব্বে চণ্ডালের বিনীত ছিল কিন্তু এখন তাহাদের আচৰণ দেখিলে বোধ হয় যে তাহারা ভাবে যে বিনয় দেখাইলেই তাহার। যেন হীন জাতি ইহাই প্রকাশ হইয়া পড়িবে। এখন তাহারা ভদ্রলোকের প্রতি “আপনি” শব্দ ব্যবহার করে না—সকলকেই “তুমি” বলে। প্রায় এইরূপে অন্ত যে সকল অবনত জাতি আপনাদিগকে বড় বলিয়া পরিচয় দিতে ইচ্ছা করে তাহারা ও 'জাতীয় ব্যবসায় ছাড়িয়া দিয়া নিজের অর্থাগমের পথ রোধ করিয়া অবনত জাতি yఆసి, নিজের ও দেশের ক্ষতি করিতেছে। মালে৷ নামে এক মৎস্তজীবী জাতি আছে—তাহাদের পুরুষেরা মাছ ধরিত, স্ত্রীলোকেরা তাহ হাটে বাজারে এবং বাড়ীতে বাড়ীতে লইয়া গিয়া বিক্রয় করিত। সম্প্রতি তাহার এই নিয়ম করিয়াছে যে তাহদের স্ত্রীলোকের আর বাড়ী বাড়ী মাছ বিক্রয় করিতে যাইবে না । এই নিয়মে তাহাদের মধ্যে যাহার। দরিদ্র তাহাদেরও কষ্ট হইয়াছে, অন্ত জাতীয় মধ্যবিত্ত গৃহস্থেরও অসুবিধা হইয়াছে। উন্নত কায়স্থ জাতি উন্নততর হইতে চেষ্টা করিয়াও অল্প সামাজিক ক্ষতি করেন নাই। র্তাহারা ক্ষত্রিয় হইবেন হউন, সে ত ভালই, কিন্তু র্তাহাদের প্রথম চেষ্টা হইয়াছিল বৈদ্যজাতিকে হীন বলিয়া প্রমাণ করা, বৈদ্যদিগকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি দেওয়া এবং বৈদ্যদের বিরুদ্ধে জাল শাস্ত্রবচন রচনা করা । পণ্ডিতপ্রবর উমেশচন্দ্র বিদ্যারত্ন মহাশয় তাহার পুস্তকে কেবল যে সেই জাল ধরিয়া দিয়াছেন তাহী নহে, গালাগালিরও উত্তর দিয়াছেন। সুতরাং এরূপ করায় কেবল পরস্পরের প্রতি দ্বেষভাবই উৎপন্ন ও বৰ্দ্ধিত হইয়া সমাজের শক্তির হ্রাস ও উন্নতির পথ রোধ করে ; যদি এইরূপে সৰ্ব্বত্র উনপঞ্চাশৎ অনিল প্রবাহিত হয় তাহা হইলে দেশের প্রকৃত উন্নতির সন্তাবনা কোথায় ? সৌভাগ্যের বিষয় এই যে, কায়স্থ, বৈদ্য, গণক, সাহ প্রভৃতি জাতিকে যথাক্রমে, ক্ষত্রিয়, ব্রাহ্মণ, বৈশ্ব প্রভৃতি জাতিরূপে মানিয়া লইতে গবৰ্ণমেণ্ট অস্বীকার করিয়াছেন। তবে যে গবর্ণমেণ্ট কৈবর্ত, হাড়ি, ডোম ও চণ্ডালকে মাছিয্য, বৃতিয়ান, নদীয়াল ও নমশুদ্র রূপে স্বীকার