পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ها یا 4 অনেককে কষ্ট পাইতে দেখা যায় বটে কিন্তু প্রায় স্থলেই সে কষ্ট অন্ত বহুলোকের মুখ আনয়ন করে সেইজন্ত সে কষ্টেও কর্তব্যপরায়ণ ব্যক্তির আত্মপ্রসাদ জন্মে ; এবং তাহা জগতে পুণ্যাদর্শ স্বরূপ হইয়া থাকে । হিন্দুরা বলিয়াছেন যে যেদিন তুমি অভ্যাসের দ্বারা আত্মপরের বিভিন্নত ত্যাগ করিতে পরিবে, তখনই তুমি মুক্ত হইয়। যাইবে অর্থাৎ ঈশ্বরে ও তোমাতে বভিন্নতা জ্ঞান থাকিবে না অর্থাৎ ঈশ্বরে বিলীন হইয়৷ যাইবে । মৃত্যুর পর যখন জীবদেহ মৃত্তিকায় বিলীন হয়, তখন আমরা উহাকে নিৰ্জ্জীব জড় পদার্থ বলিয়া থাকি, বৌদ্ধের ইহাকেই নিৰ্ব্বাণ মুক্তি বলেন আর বিজ্ঞান ইহাকেই ঈশ্বরে বিলীন হইয়া যাওয়া বলিবে । এইরূপে সৰ্ব্বদাই কোটি কোটি জীব জন্তু, বৃক্ষ গুল্ম, লতা পাতা প্রভৃতির জন্ম মৃত্যু হইতেছে । এই জন্ম মৃত্যু ও বৃদ্ধি ক্ষয় ঈশ্বরেরই দেহাভ্যন্তরে ঘটতেছে। যেমন আমাদের দেহের রক্তমধ্যস্থ শ্বেতকণিকা যাহাকে ফেগাসাইট (Phagacyte) বলে তাহাদের কার্য্য দেখিলে পৃথক পৃথক জীবন্ত বস্তু বলিয়া বোধ হয়। তাহার আমাদের রক্তে কোন প্রকার জীবাণু শক্ৰ প্রবেশ করিলে তাহাদিগকে উদরস্থ করে, এবং এইরূপে আমরা অনেক রোগের আক্রমণ হইতে মুক্তিলাভ করি। আবার আমাদের দেহুনিৰ্ম্মাণক কোষসমুহও ভিন্ন ভিন্ন জীবের দ্যায় হাত বাড়াইয়া রক্ত হইতে নিজ নিজ দেহপরিপোষক পদার্থ গ্রহণ করে এবং রক্তে শক্র প্রবেশ করিলে এই সব হস্তগুলি ভারতী পৌষ, ১৩২০ ছিন্ন হুইয়া যায় এবং ঐ একখানা ছিন্ন হস্তের পরিবর্তে দুই তিনখন নুতন হস্ত প্রস্তুত হইয় তাহদের অধিকাংশ পুনরায় ঐৰূপে কৰ্বিত হইয়া শঙ্কু নিশস্তুর যুদ্ধের রক্তবীজের দ্যায় বলবান সৈন্ত প্রস্তুত হইয়া শক্ৰ বিনাশ করে। . এইরূপ অহবহঃ আমাদের দেহাভ্যন্তরে ক্রমাগত যুদ্ধ হইতেছে আমবা তাহার কিছুই জানিতে পারি না। যখন আমাদের দেহাভ্যস্তরের সৈন্তের এইরূপ যুদ্ধে পরাস্ত হয় তখনই আমরা পীড়িত হই ; এই সকল সৈন্তগণ আমাদের দেহের অংশবিশেষ। এক সময়ে মনে করা যায় যে আমরা ঈশ্বর হইতে সম্পূর্ণ বিভিন্ন, আবার মৃত্যুর পরে ( ভাল করিয়া বুঝিয়৷ দেখিলে ) সে বিভিন্ন ভাব আব থাকে না । অনেকেই মনে করেন যে আমাদের একটি স্বক্ষ দেহ আছে মৃত্যুর পরে তাহ পৃথক, হইয়া নানা স্থানে ভ্রমণ করিয়া সুখ দুঃখ ভোগ করে, অথবা ঈশ্বরের শেষ বিচারের সময় পৰ্য্যন্ত কোথাও অবস্থান করে ও পুৰ্ব্ব কৰ্ম্মামু্যায়ী ফলভোগ করে । কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে ইহা ঘড়ীর আত্মা থাকায় স্তায় কল্পনা মাত্র। কেহ কেহ বলিতে পারেন যে তিনি র্তাহার মৃত বন্ধু বা স্ত্রীকে র্তাহার নিকট উপস্থিত হইতে দেখিয়াছেন । কিন্তু তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলে তাহার কখনই একথা বলিবেন না যে ঐ সকল মৃত ব্যক্তির উলঙ্গ অবস্থায় তাহদের নিকট উপস্থিত হইয়াছিলেন । প্রকৃত দেহের স্বৰ্ম্ম দেই থাকা অকুমান করা যাইতে পারে কিন্তু বস্ত্রীলঙ্কারাদি জড় পদার্থের স্বক্ষ দেহ বt