পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, নবম সংখ্যা আত্মা থাকা কেহই স্বীকার করেন না। সুতরাং সে অবস্থায় তাহদের ঐন্ধপ দর্শন ভ্রম মাত্র তাহাতে সন্দেহ নাই । আমাদের বস্তুদর্শন দুই রকমে ঘটিয়া থাকে ; এক প্রকার চক্ষুর মধ্যে কোন বস্তুব প্রতিবিম্ব পড়িয় তাহাব উপলব্ধি স্নায়ু দ্বারা চালিত হইয়৷ মস্তিষ্কের অবস্থানু্যায়ী পবিবর্তন ঘটায় ; আব এক প্রকার চক্ষুব মধ্যে দিয়া প্রতিফলিত ন হইয়া মস্তিষ্কের মধ্যে কোন কাবণে ঐৰূপ পরিবর্তন হষ্টলে চক্ষু মুদ্রিত থাকিলেও সেই বস্তু বা ব্যক্তি সম্মুখে উপস্থিত বলিয়া মনে হয়। ইহাকেই খেয়াল দেথা বলে । যাহাব মস্তিষ্ক নাই তাহার আমিত্বজ্ঞান, কি দর্শন, শ্রবণ, ভ্রাণ আস্বাদ প্রভৃতি কিছুই অনুভূত হইতে পাবে না। দৃষ্টান্তস্বরূপ, কোন ব্যক্তিকে ক্লোবোফরম “Chloroform” অস্ত্রিন করাইলে ক্রমে তাহার অমিত্বজ্ঞান লেপি হইয়া যায়। যদি তাহার উপরে আবে ক্লোবোফরম দেওয়া হয় তাহ হইলে এই আমিত্বজ্ঞান বা সৰ্ব্বপ্রকার অনুভব শক্তি একেবারে লোপ হইয়া যায়, তদুপরি আরো ক্লোবোফরম দিলে তাহার মৃত্যু হয় অর্থাৎ এই সকল অনুভব শক্তি চিরকালের মত লোপ হইয়া যায়। পক্ষান্তবে যদি এমন পরিমাণে ক্লোরোফ এম দেওয়া হয় যাহাতে মৃত্যু না ঘটে তাহ হইলে মস্তিষ্ক পুনরায় প্রকৃতিস্থ হইলে অমিত্বজ্ঞান ফিরিয়া আসে। কিন্তু অপরিমিত ক্লোরাফরম আঘ্রাণে একবাব মৃত্যু ঘটিলে কোন দেহবিযুক্ত আত্মা যে আমিত্বজ্ঞান সঙ্গ আকাশে পরিভ্রমণ করিবে ইহা সম্ভবপর নহে। বিজ্ঞানাচাৰ্য্য ‘Metchni kaff” তাহাব গ্রন্থে বলিয়াছেন জ্ঞানযুক্ত বৈজ্ঞানিক নিৰ্ব্বাণমুক্তি

S)

Sf Ni of F “Concious Soul” szigq অর্থাৎ আত্মাব মস্তিষ্ক না থাকতে তাহার আত্মজ্ঞান, থাকা অসম্ভব । কেহ বলিতে পাবেন সুহ্ম দেঙ্গের স্থায় স্থল্ম মস্তিষ্ক ও অাছে, সুতরাং সেই স্বক্ষ মস্তিষ্কের অামিত্বজ্ঞান থাকা কেন অসম্ভব হইবে ? তাহাব উত্তর এই যে, আমিত্বজ্ঞান স্থল মস্তিষ্কেবই আছে । সুতবাং স্থল্ম মস্তিষ্কের অামিত্বজ্ঞান থাকা বা স্তষ্ক মস্তিষ্ক বা সুহ্মদেহ থাকা কল্পনা মাত্র । কোন শাবীর তত্ত্ববিদ পণ্ডিত একটা কুকুরের মস্তক ধাবাল অস্ত্রের দ্বারা ছিন্ন করিয়া তাহার মস্তিষ্কের মধ্যে অপর কুকুরের ধমনির পরিস্কার রক্ত সঞ্চালন করিয়া সেই মস্তককে অনেক ক্ষণ পর্য্যন্ত জীবিত রাখিয়৷ ছিলেন। অথচ উহার দেহ অনেক পূৰ্ব্বে মরিয়া গিয়াছিল ৷ যতক্ষণ ঐ মস্তকের মধ্যে কৃত্রিম উপায়ে রক্ত সঞ্চালন করা হইয়াছিল ততক্ষণ উছা জীবিত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়াছিল অর্থাৎ ঐ সময়ের মধ্যে কোন ব্যক্তি তাহার মস্তকের দক্ষিণ পাশ্বে দাড়াইয়া তাঙ্কার নাম ধরিয়া ডাকাতে সে সেই দিকে তাকাইয়াছিল, পুনরায় অপর দিকে দাড়াইয়া উহার নাম ধরিয়া ডাকাতে সে সেই দিকে চক্ষু ঘুরাইয়াছিল। কিস্ত যখন ঐরূপ রক্তচালন কাৰ্য্য বন্ধ করা হইল তখন সে মরিয়া গেল। ইহা দ্বারাই দেখা যাইতেছে যে মস্তিষ্কই আমাদের আমিত্ব জ্ঞানের অধিব, উহার ক্রিয়া লোপ হইলে কিম্ব কোন রকমে নষ্ট হইলে আর আমিত্ব জ্ঞান থাকে না । এ অবস্থায় মৃত ব্যক্তির মস্তিষ্ক পচিয়া গলিয়া মৃত্তিকাতে “Conciousness”