পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెసితి ছিল না বলিয়া এ বিলম্ব নহে। ইহার কারণ কথা কহিবার যন্ত্রের অভাব ছিল বলিয়া । অভিব্যক্তির সাহায্যে ক্রমে বাকৃযন্ত্র যখন পূর্ণতা প্রাপ্ত হইল, তখন মানুষ কথা কহিতে আরম্ভ করিল । জগতে তড়িতের অভাব ছিল বলিয়া টেলিগ্রাফ এতদিন পরে আবিষ্কৃত হইয়াছিল, এমন নহে। এ বিলম্বের কারণ, টেলিগ্রাফ যন্ত্রের অভাব। টেলিফোনের আবিষ্কারের পূৰ্ব্বে, যে বিধি অনুসারে উহ। নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, সেই বিধি যে জগতে বর্তমান ছিল না, এমন নহে। ইহার কারণ, ঐ যন্ত্রের অভাব। ইহা হইতে বুঝা যায় যে টেলিপ্যাথি এখনও সম্পূর্ণতা লাভ করিয়া মানুষের কাযে আসিতেছে না,ইহার কারণ যে জগতে ইহার ভারতী পৌষ, ১৩২০ স্বষ্টির সম্ভাবনা নাই, এমন নহে। ইহার কারণ, সেই সময়টি এখনও উপস্থিত হয় নাই — সেই যন্ত্রটি এখনও আবিষ্কৃত হয় নাই । এইরূপ ক্রমোন্নতির অস্তে মঙ্গুষ্যের অবস্থা যে কিরূপ দাড়াইবে, এ সমস্তার উত্তরদানকালে বিজ্ঞান মুক। প্রকৃতির অঞ্চলান্তরালে প্রচ্ছন্ন ব্যাপারগুলি দিন দিন প্রকাশিত হইতেছে, মানুষের মন এবং জ্ঞান প্রতিমুহূর্তেই উন্নতি লাভ করিতেছে, জড় জগৎ নিয়তই পরাজিত হইতেছে। কিন্তু সৰ্ব্বশেষেব বিধান কি ? বোধ হয় “I am the tadpole of an archangel” đề #5=# সত্য । শ্রীউমাপতি বাজপেয়ী । সৌধ-রহস্য দশম পরিচ্ছেদ এই কাহিনীর যতটুকু অপরের সাহায্যে আমায় সংগ্ৰহ করিতে হইয়াছিল, তাহ তাহাদের লিখিত বিবরণেই আমি প্রকাশ করিয়াছি, আবার এইবার আমার বক্তব্যের “থেই” আমি নিজের হতেই তুলিয়া লইলাম। পাঠকদের বোধ হয় স্মরণ আছে--সেই মানব-নামধারী জানোয়ার,—কর্ণেল রুফাস্স্মিথের রমবারে আগমন সংবাদ দিয়া আমি বিদায় গ্রহণ করিয়াছিলাম। রুফাস আসিয়াছিল অক্টোবরের প্রথম ভাগে,—আর ডক্তার ইষ্টারলিংয়ের কুমবার-গমনের তারিখ মিলাইয়া দেখিলাম যে তিনি · ইহার প্রায় তিন সপ্তাহ পূৰ্ব্বে ক্ল মবারে গিয়াছিলেন। এই সময়টা আমার পক্ষে বিশেষভাবে স্মরণ রাখিবার একটু কারণও ছিল, যেহেতু ডাক্তারের কুমবারে আগমনের কিছুদিন পূৰ্ব্বেই, গেব্রিয়েল ও আমার মধ্যে জেনােরলের সহসা অভু্যদয় হয়। ইহার ফল যাহা হইয়াছিল, তাহা বলাই হইয়াছে, পুনরুল্লেখ নিম্প্রয়োজন। সেই দিন হইতে গেব্রিয়েল বা মরডণ্টের আর কোন সংবাদ আমি পাই নাই,—তাহাদের ছায়াটুকুও আর চোখে পড়ে নাই,—অস্তিত্বের কোন নিদর্শনই পাওয়া যায় নাই। অনেক সময় আমার মনে সন্দেহ হইত, বুঝি বা তাহারা বন্দী, অবস্থায় কালযাপন করিতেছে। তখন তাহদের এই দুর্দশার মুল যে আমরাই এই কথা চিন্তা করিয়া আমাদের