পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2 e g 8 আপ্যায়নের সহিত ভাবী বৈবাহিক বসিতে আসন দিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি যে এ সময় ? নন্দকিশোরের কণ্ঠ শুখাইয়া গিয়াছিল মৃদুস্বরে তিনি কোন মতে কহিলেন “কি আর বলবো, আপনাদের নিকট আমার মুখ বার করতে লজ্জা হচ্চে– এই দেখুন আজই এই পত্র পেলাম—” o সে পত্র এইরূপ :–“সবিনয় নিবেদন, আপনার নিকট হইতে আসিয়া আমি বৈদ্যনাথ, কাশী হইয়া কানপুরে দুই দিবস যাপন করিয়া অবশেষে এইখানে আসিয়াছি। প্রথমে মনে কোন উদ্দেশু ছিল না, কিন্তু এখানে আসিবার পর সহসা একটা কৌতুহল জন্মিল। যে মেয়েটিকে আপনার নিকট দেখিলাম সেটি অসামান্ত সুন্দরী, কিন্তু আমার পত্নী শুমাঙ্গিনী ছিলেন হয়ত কিছু ভ্রমও ঘটতে পারে, এই সন্দেহে আমি আপনার গৃহের দাসদাসীগণের অনুসন্ধান আরম্ভ করি। রুকূনীয়া’ নামে একটা দাসীকে আমি চিনিতাম সেই আমার মেয়েটিকে পালন করিতেছিল । অনেক অনুসন্ধানে তাছার খবর পাই, সে এখন কাজ ছাড়িয়া এখান হইতে সাতক্রোশ দূরে দেখাদে ঘরে বসিয়া আছে, সেখানে গিয়া যাহা শুনিলাম, এখন লিখিতেও লজ্জা পাইতেছি অথচ না জানাইলেও নয়। গৌরী বলিয়া যাহাকে আপনার জানেন সে যথার্থ গৌরী নয়, সে বাস্তবিকই আপনার কন্ত, আমার কন্ত গৌরী মারা গিয়াছিল। কাপড় ७व्श cदां५ झग्न उांशंबई उiहे ५झे उग्नप्लग्न ভ্ৰমে আমি আপনার শাস্তগৃহে বিপ্লব ভারতী মাঘ, ১৩২০ বাধাইয়া আসিলাম । কি আর বলিব আপনি সুধীব্যক্তি এ ঘটনার নীরত্যাগ করিবেন । কুশলাকাঙ্ক্ষী, ঐভবানীপ্রসাদ ঘোষাল ।” পত্র পাঠান্তে শিবনারায়ণ স্তম্ভিত হইয়। রহিলেন, বহুক্ষণ পরে সসংজ্ঞ হইয়া কহিলেন “এখন উপায় ?” নন্দকিশোর ইেটমুণ্ডে বসিয়া রছিলেন, লজ্জায় তাহার আর বাক্যস্ফীৰ্ত্তি হইতে ছিল না। কি বিত্ৰ কাণ্ডটাই তিনি হঠাৎ একটা বোকের মাথায় আচমকা ঘটাইয়া বসিলেন, দুদিন ভাল করিয়! ভাবিলেঃ তো হইত। কিন্তু বিধাতা আপনি যেখানে ঘটক সেখানে বিবাহ বন্ধ হয় না। ভোরের সময় যখন সাৰ্ব্বভৌম মহাশয়ের নিকট হইতে মুদীর্ঘ টেলিগ্রাম আসিল তখন কর্তব্যবিমুঢ় বরকত্তা, কস্তাকর্তার মুখে রক্ত ফিরিয়া আসিল । তিনি লিখিয়াছিলেন “রাঢ়ী বারেন্দ্রে বিবাহ না চলিত থাকায় সমাজের সমুহ ক্ষতি হইতেছে। আপনি । প্রজাপতি সেই বাধা সমাজ হইতে বিদূরিত করিবার জন্তই এই নাট্যাভিনয় করিলেন। এ দেখিয়াও কি তোমরা এখনও দ্বিধা করিবে ? ইহার চেয়ে স্পষ্ট করিয়া ঈশ্বরের আদেশ কোন বিষয়ে কবে প্রচারিত হইয়াছিল ? গৌরী সত্য পরস্পরের জন্তই স্বল্প, ইহাদের পবিত্র বন্ধনে সামাজিক অকল্যাণ দূর হউক, হিন্দু সমাজ প্রকৃত মঙ্গলের পথ খুজিয়া পাকৃ।” এ যেন অলঙ্খ্য দেবদেশ ! শিবনারায়ণ কহিলেন “কি বলে বৈবাহিক !”