পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 a ఫి{b ক্রুদ্ধ স্বরে কছিলেন—“আপনি হাসবেন না কেন ? আপনার কি ? ও ইন্‌সিওর করা ছেড়া জাহাজ বইত নয় ? কিন্তু আমার—তেমন যে চমৎকার—সমুদ্রে বেড়াবার স্বটটা— সেই সব চমৎকার চমৎকার বাসন পত্র আহু!—সে সব আর ফিরে পাবনা ! পূৰ্ব্বস্তৃতির উদয়ে, প্রিয় জিনিষগুলির বিয়োগবেদনায় তাহার মুখে যে সকরুণ ভাব জাগিয়া উঠিল সেদিকে লক্ষ্য না করিয়া আমি কহিলাম—আপনার কথা থেকে তাহলে কি আমরা বুঝব যে, ঐ যাত্রী তিনটির জন্তই এই বিপদ ঘটেছে,—এই আপনার বিশ্বাস ?” সহকারী কাপ্তেন আমার বিশেষণটির প্রতি জোর দিয়া বিস্ফারিত নেত্রে আমার প্রতি চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন “কেন হতভাগ্য কেন ?” “কারণ—নিশ্চয়ই—র্তার মরেচেন ?” একটু খানি চুপ করিয়া থাকিয়—আচঞ্চল স্বরে— তিনি উত্তর দিলেন “হু, তারা মরবার —ছেলেই বটে? কখোনো তারা মরেনি, তাদের বাপ সয়তান—নিশ্চয়ই তাদের বঁচিবার উপায় টুপায় করে রেখেছিল --আপনি কি দেখেছিলেন—মখন মাস্তুগটা ভেঙে বেধিয়ে যায়--তারা তখন পেছনদিকে দাড়িয়ে কেমন হাসিমুখে কথা কছিল ?—আপনারা ডাঙ্গার মানুষ-এসবে হয়ত আশ্চৰ্য্য হবেন না,— আমার পক্ষে—এ—ই—ঢের ? এই যে-— কাপ্তেন-সমুদ্রে ইনি কালোচুল সাদা করেন ইনি-ই কি, জানেন না যে “বেরাল” আর “পুরুত” জাহাজের পক্ষে সব চেয়ে খারাপ জলে ডুবে ভারতী মাঘ, ১৩২৪ যাত্রী ! কৃশ্চান পুরুত যদি “অযাত্ৰা” হয়— তা হলে পৌত্তলিক পুরুত তার পঞ্চাশ গুণ বেশী মন্দ হবে না কেন,—বলুন দেখি ? আমি আমার পুরোণ ধৰ্ম্ম বিশ্বাস করি—আর —এই বিশ্বাস নিয়েই মরব।” সেই কক্কশভাষী নাবিকের অস্তিকতায় আস্থা দেখাইবার চেষ্টায়—নাস্তিকতা প্রচারে —বাবা ও আমি না হাসিয়া থাকিতে পারিলাম না । তিনি পুনরায় তাহার কথার প্রমাণ দেখাইবার জন্ত, মোটা খসখসে আঙলে সংখ্যা গণনা করিয়া বিষয় গুলির বর্ণনা আরম্ভ করিলেন “ধর— যখন করাচিতে এসেছিল তখনই আপনাকে আমি ওদের নিতে বারণ করেচি কি না ?” প্রতি বাক্যের সহিত কাপ্তেনের দিকে ভৎসন সুচক দৃষ্টিপাত করিয়া আবার আরম্ভ করিলেন, “আমাদের জাহাজে তিনজন বৌদ্ধ খালাসী ছিল,—বরাবর আমি তাদের দিকে নজর রেখে আস্চি — ঐ পুরুত তিনটে যখন জাহাজে এলো— মাঝি গুলো কি করেছিল তাও— আমি দেখেচি। জাহাজের কাঠের উপর পেটু ঠেকিয়ে,—তারা নাক দিয়ে জমী ঘস্ছিল । যদি রাজকীয়—নৌসেনাপতি নিজে আস্ত—তাহলেও ব্যাটারা কখোনে এ রকম করত না ! কে, কি রকম লোক ত৷ ঐ হতভাগাগুলো ঠিক চিনতে পারে— আমি ত সেই পুরুত তিনটেকে যে মুহূর্তে দেখেচি —সেই মুহূর্তে বুঝতে পেরেচি—যে তারা আমাদের জন্তে অনেক দুঃখ কষ্ট— বয়ে নিয়ে আসচে।” ক্রোধে দুঃখে ক্ষোভে নৈরাপ্তে সহকারীর কণ্ঠ অনেক সময় রুদ্ধ হইয়া আসিতেছিল। আমি তাহার ক্ষণে