পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা অবাস্তর প্রসঙ্গ – বাজে বক। পরনিন। এ সব যদি দাসীদের মহালই বদ্ধ থাকত তবে কথা এতদূর গড়াত না –সে আবার দিন ভরে যা সংগ্রহ করে লি-টির প্রসাধনের সময় তার কাছে বসে তাই ঢালে । লি-টি বালিকা ও-সব বাজে কথা শোনবাব মোটেই উপযুক্ত নয়। রক্তের সঙ্গে বিষ মিলে যেমন সমস্ত শবাবেই . ব্যাপ্ত হয়— তেমনই একবার যদি এই বাজে বক্‌বার অভ্যাস মেয়েলোকে ব হয়ে যায় তবে পবিণাম বড় খারাপ দাড়ায় । চাকর চাকরাণীদেব ভিতর কেবল একই আলোচনা চলছে—-লি-টিব বাপেব বাড়ীই বা কেমন, — আর তার এ বাড়াই বা কেমন, সেই বা কেমন এবং তাব স্বামীই বা কেমন, এই সব আলোচন। শেষে এত বেড়ে উঠেছিল যে আমাদের দাসদাসীবাও তাতে যোগ দিযে দৈনিক জীবনযাত্র নিব্বাহ করাই একরূপ অসম্ভব করে তুলেছিল । এটা সামান্তই বোধ হয় বটে—কিন্তু এতেই আত্মীয়তার বন্ধন ক্রমশঃ শিথিল কবে ফেলে,—- গৃহের শান্তিও নষ্ট হয়। অবশেষে একদিন .আমি লিটি-র বুড়ে ঝিকে বল্লেম যে, যদি আর তাব দেশে যাবাব ইচ্ছা নাই থাকে— তবে সে যেন তাব মুখটা একটু সংযত কবে । কয়েকদিন বেশ ভাল ভাবেই কেটে গেল, আবার যে সেই ; তাকে একদিন আমাব মহলে ঢেকে নিয়ে গিয়ে বলুম—“তোমার অন্ন এখান থেকে উঠেছে—তুমি এখন বিদেয় হও ” লি-টি কেঁদে অস্থির কিন্তু আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ—এক সংসারে থাকৃতে গেলে এমন ব্যবহারের প্রশ্রয় দেওয়া কোন মতেই সঙ্গত নয়। সে গেল বটে কিন্তু আমাদেরই চীনবমণীর প্রেমপত্র

శీపt

দবজায় বসে আমাকে গালি দেবার লোভটুকু সম্ববণ করতে পারলে না, সে আমাদের বাহিরের পথে বসে তিনটি ঘণ্টা ধরে "লিউ’ বংশের উপর নানারূপ অভিসম্পাত বর্ষণ করতে লাগলে । সে তোমাদের বিখ্যাত পিতৃপুরুষদের কত কুৎসা ! প্রিয়তম আমার, আমি জানতুম না—ইতিহাস এই বংশের বাবদের বক্ষে ধবে কত গেীর বান্বিত। আমি কত সুখী হলুম—যে এমন মহৎ বংশ হতে এসেছ তুমি । তাবপর সে মিং বংশেব আলোচনায় ও তাদেব গুণ রাশি ব্যাখ্যায় নিযুক্ত হলো। লি-টব পিতৃপুরুষদের কত সুযশকাহিনী—কীৰ্ত্তিগাথা । ওবা বংশতালিক। সব খুজেছিল দেখছি। যাক ও সব বাজে কথা । তিনঘণ্টা সমানে বকার পর বুড়িটা ভয়ানক ক্লান্ত হয়ে পড়লে । শেষে একজন চাকরের কাছে একখানা চিঠি লিখে বুড়িকে নৌকা করে তাব বাড়া পাঠিয়ে দিলুম— । কিন্তু তোমাব মাব সে কি অবস্থা ! তুমি দুবে আছ খুবই স্বপে আছ। তিনি এ উঠান থেকে ও উঠান ছুটোছুটি করে বেড়াতে লাগলেন, আমি ভাবলুম তিনি বোধ হয় ঝিটাকে জব্দ কবতে সৈন্ত আনতে পাঠাবেন—তার পব যখন বুঝতে পারলেম ধে মেয়েলোকটা তাবই অধীনে আছে তখম একটু সংযত হলেন । কি যে অবস্থা হয়েছিল তার কেবল মরতেই বাকা ছিল—তুমি জান তোমার মার সংযমের অভ্যাস মোটেই নাই—বিশেষতঃ জিহবার সংযম নাই বললেই চলে । যা হোক শেষে কোন রকমে তাকে শয়নগৃহে নেওয়া গেল—আমরা চা ও কিছু গরম মদ নিয়ে