পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిలీ জীবন যাতনা-সস্কুল সত্য, কিন্তু তাই বলিয়া কৰ্ম্ম ত্যাগে তোমার অধিকার নাই । যে কারণেই হউক, তুমি মানব সমাজ হইতে দূবে রহিতে চাহিতেছ, কিন্তু মানব সমাজ তোমাকে চাহে । তুমি যদি মনুষ্য জাতিকে ফাকি দিতে চাও, সেও তোমাকে নিগ্ৰহ করিতে ছাড়িবে না। সমাজের ভিতর বাস করিয়া তাহার নিগ্রহ ও অত্যাচার সহ করিতে তোমার প্রবৃত্তি না থাকিতে পারে ; কিন্তু সমাজ সে কৈফিয়তে সস্তুষ্ট থাকিতে বাধ্য নহে ; এখানে স্বার্থের সহিত স্বার্থের বিরোধ। তোমার আপনার সঙ্কীর্ণ স্বার্থের সহিত সমাজেব বৃহত্তর স্বার্থেব বিরোধ । মানবিকতাব মাহাত্ম্য খধ্ব করিয়া, মনুষকে জীবন-হীন লোষ্ট্রখণ্ডে পরিণত কবিয়া, দুঃখ হইতে এক রকমেব মুক্তিলাভ না ঘটিতে পাবে এমন নহে ; কিন্তু তাহা জড়েব বাঞ্ছনীয়, মনুষ্যের বাঞ্ছনীয় উচিত নহে । অতএব আসক্তি ত্যাগ কর ; অর্থাৎ কৰ্ত্তব্য বোধে কৰ্ম্মাচরণ কর ; ফল কামনা কবি ও না ; কৰ্ম্মত্যাগে তোমাব অধিকার নাই । গ্রন্থকার “বৈরাগ্য” নামক প্রবন্ধে এ বিষয়ে যথেষ্ট আলোচনা করিয়াছেন। সমস্ত বাহ জগংটা আমাবই ভিতর, আমারই এক অংশ । সমগ্র বাহ জগৎট। আমার অনুভূতি ও আমাব অমুভূতিই সমগ্র বাহ জগৎ । তুমি আমার কল্পিত, তুমি আমার স্বঃ, তুমি আমাৰ অন্তর্গত । কিন্তু প্রকৃতির নিয়োগে আমি তোমার স্বতন্ত্র অস্তিত্বে বিশ্বাস, করি ; আমি ছাড়া আর একজন আছে মানিয়া লই । তোমাতে আমাতে এক ও অভিন্ন, অথচ তোমা হইতে হওয়! ভারতী চৈত্র, ১৩২• আমি স্বতন্ত্র । মুলে বিরোধ। তুমি আমার, অথচ তুমি আমার নহ। তোমার সহিত আমার সম্বন্ধ নির্ণয় ও সম্বন্ধ স্থাপনের প্রয়াসের নাম আমার জীবন ; এবং যুদ্বারা সেই সম্বন্ধ স্থাপন ও সম্বন্ধ নির্ণয়ের প্রয়াস সফলতা লাভ কবে, তাঙ্গার নাম ধৰ্ম্ম । এই কথা “জীবন ও ধৰ্ম্ম" প্রবন্ধে আলোচিত হইয়াছে। স্বার্থ সাধন ব্যক্তি-জীবন রক্ষার উপযোগী ; পরার্থ-সাধন সমাজের জীবনের জন্ত আবণ্ডক । যেখানে সমাজ বাধে নাই ; সেখানে স্বতন্ত্রতা পূর্ণমাত্রায় বিরাজমান, পর-তন্ত্রতার দেশ নাই। সমাজের আঁটা র্তাটিব সহিত পরতন্ত্রত আসে, পরাধীনতা আসে, পরের জন্ত স্বার্থসংহার আসে, ধৰ্ম্ম অভিব্যক্ত হয় ; “স্বার্থ ও পরার্থ” প্রবন্ধে এই তথ্যের সম্যক আলোচনা হইয়াছে। মনুষ্যত্বের বিকাশ আবণ্ঠক । মনুষ্যত্ব বিকাশের জন্ত ব্যক্তিরও অভিব্যক্তি আবশ্যক, সামাজিকত্বেবও অভিব্যক্তি আবশুক । যাহাতে সমাজের মঙ্গল, তাহাই ধৰ্ম্ম ; তাহারই অনুষ্ঠানে মনুষ্য বাধ্য। তাহারই অনুষ্ঠানে মনুষ্যের স্বাভাবিক সুস্থ সহজ ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তি উপদেশ দেয়। এই কথা "ধৰ্ম্ম প্রবৃত্তি” প্রবন্ধে অভিব্যক্ত হইয়াছে। সামাজিক আচারগুলি বর্তমান কালে যতই অর্থশূন্ত ও অনাবশুক হউক না কেন, এককালে হয়ত উহার অর্থযুক্ত ও অত্যাবগুক ছিল । তবে একালে সে অর্থও নাই, সে প্রয়োজনও নাই। কিন্তু আমরা এই সকল কৃত্রিম আচার পরিত্যাগ করিতে পারি না। সমাজ হইতে এই সকল কৃত্রিম আচার উড়াইয়া দিলে, স্বাধীনতা বুদ্ধি পাইতে পারে,