পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য । এবং এমনও আমাদেব আশা আছে, বিপথগামী ছাত্রগণ অতঃপব ভ্রান্ত ও অমঙ্গলকর ধাৰণা ত্যাগ কবিয়া কৰ্ত্তব্য পথে আপনাপন দৃষ্টি রাখিতে অবহেলা করিবে না । তাহাদিগেব উপরই দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করিতেছে -- সমাজেব প্রতি দায়িত্বও তাহদিগের সামান্ত নয়—এইটুকু বুঝিয়া সকল প্রকার পাপ ও অশুভ চিন্তা ত্যাগ পূৰ্ব্বক কৰ্ত্তব্য-সাধনে তাহারা তৎপর হইবে, দেশেব ও দেশেব মঙ্গল-সাধনে সব লে সক্ষম হইবে, বিশ্ববিদ্যালয়েব পরিখা-বৃদ্ধি শুধু সাগব তীবে বালুকাব ঘব রচাব মতই নিবর্থক । এই বিববণীখানি অব একটা সুমহান আশার আশ্বাস বহন করিয়৷ অনিয়াছে । বিবরণী পাঠে জানা যায় স্কুল-কলেজ সমূহে ոՇbԳ মুসলমান ছাত্র-সংখ্যাও যথেষ্ট বৰ্দ্ধিত হইতেছে । মুসলমান ভ্রাতৃগণ জ্ঞানে বুপিতে হিন্দুব সমতুল। তাহার ঔদাস্ত ও অবহেলা ত্যাগ কবিয়া গবর্ণমেণ্ট-প্রদত্ত সুযোগের সদ্ব্যবহার কবিতে অগ্রসর হইয়াছেন, ইহা যথেষ্ট আনন্দেব বিষয়। নীচ জাতীয়গণের মধ্যেও শিক্ষা লাভের জন্ত ব্যাকুলতা জাগিয়া উঠিয়াছে। অসভ্য আদিম অধিবাসীগণেব মধ্যেও শিক্ষা প্রদানের সুব্যবস্থা হইয়াছে। সাওতাল, গণ্ড প্রভৃতি জাতিসমূহ মিশনরীগণেব চেষ্টায় স্বীয় মাতৃভাষার সহিত অপব ভাষাদিতেও শিক্ষা-লাভ করিতেছে । ভারতে শিক্ষাবিস্তার ృ93 ইহার মধ্যে দুঃখের কথা এইটুকু যে শিল্প কুযি প্রভৃতি বিষয় জই এখনও আশামুরূপ চেষ্টা দেখা যায় নাই। বিদেশীয় ভাষা শিখিয়া কোন মতে চাকুরি করিয়া গ্রাসাচ্ছাদনের উপায়-সন্ধানেই অধিকাংশ ছাত্র ব্যস্ত। ফলে উচ্চ উপাধি-লাভেব যোগ্য শক্তি যাহার নাই, তাহারা অল্প-কছু শিখিয়াই বাধা পাইতেছে এবং ভবিষ্যৎ জীবনের জন্ত অসুশোচনা ও আ ত্ব গ্লানি ত্রয় ক<িতেছে | || প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে উন্নতির বেশ পৰিচয় পাওয়া গিয়াছে। প্রাথমিক বিদ্যা লয়েব সংখ্যা ১০২৯৪৭ হইতে ১১০৬১২তে এবং ছাত্র-সংখ্যা ৩৬০০৬৬৮ হইতে ৪৫২ ৩৬৪৮তে উঠিয়াছে ; শিক্ষাদানের ব্যবস্থাও যথেষ্ট সুলভ। এই বিববণী-গ্ৰন্থ আগাগোড় বিস্তর তথ্যে পবিপূর্ণ। আমরা সংক্ষেপে ইহার পরিচয় দিলাম মাত্র । যাহারা শিক্ষা বিস্তারেব অনুরাগী, তাঙ্গার গ্রন্থখানি পাঠ করিলে উপকৃত হইবেন । গবর্ণমেণ্ট শিক্ষাবিস্তাব কল্পে অর্থদানে মুক্তহস্ত হইয়াছেন, দেশের সুসস্তানগণও এ কার্য্যে গবর্ণমেণ্টের অগ্রসব,— দেশেব সৰ্ব্বত্র সুপবন সুরু কবিয়াছে—সকলে র সমবেত সঙ্গ সুতায় বহিতে চেষ্টায় শিক্ষাব আলোকে সমস্ত দেশ ভরিয়া উঠক-অজ্ঞানের অন্ধকার সমুলে ধ্বংস হুেীকৃ। উন্নতিব ইহাই একমাত্র উপায়—এই পথই প্রকৃষ্ট পথ। নান্তঃ পস্থা বিদ্যতেহুয়নায় ।