পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৬০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা “আজি আধঘণ্টার আলাপ প্রসঙ্গে যত আনন্দ উপভোগ করেছি সারা জীবনে এমন করিনি।” কথাটা নিতান্ত মিথ্যা কি ? যাহ। হউক ইহার পর রমণীকে নমস্কার জানাইয়। বিদায় লইব ভাবিতেছি এমন সময় তিনি বলিলেন–কিন্তু একটা বিষয় নিয়া আমি বড়ই গোলে পড়েছি!” “কেন কোন বিষয় ?” “সেই মৃত শিশুটার নাম নিয়ে । কি নাম বলেছিলে তাব ?” এইবার আলার এক মহা বিপদে পড়িলাম শিশুটার নাম যে কি বলিয়াছিলাম তাহাই মনে নাই। নামটার যে আবাব দবকার হইবে এ কথাত ত তখন মনে হয় নাই –উপায় ? যা হোক যা আছে অদৃষ্টে,—রমণীওত নামট ভুলিয়া গিয়া থাকিতে পারেন, এই ভরসায় ইতস্ততঃ মা করিয়া বলিলাম— “জোসেফ উইলিয়াম ।” আমার পার্শ্বেীপবিষ্ট ছেলেটা আমায় ংশোধন কবিয়া দিল ।

জোসেফ উইলিয়াম নয় হেনরি থমাস” অ।মি তাঁহাকে ধন্যবাদ দিয়া বলিলাম—

”ওঃ, ঠিক। আমি অন্ত এক টী ছেলের কথা ভেবে ও নামটা বলেছিলাম। অনেক ছেলেমেয়ে বই নাম রেখেছি কি না, তাই কেমন একটা গোল বেধে যায়। ঠিক ঠিক ও ছেলেটর নাম রেখেছিলাম হেনরি থমপসন। “থমাস হেনরি।” ছেলেট আবার সংশোধন করিয়া দিল । পুনরায় তাহাকে অস্তরিক ধন্তবাদ জানাইয়া বলিলাম— - অপ্রস্তুত ატe » “থমাস হেনরি ; ভাই থমাস হেনরিই বটে। ওই নামই রেখেছিলাম তার। থমাসটা মনে আসে—এই—এই—থমাস কারলাইলের কথা ভেবে । থমাস্ কারলাইল—এই যে বিখ্যাত সাহিত্যিক । আর হেনরিটা বাথিই-ই–টম হেনরির নামে । ছেলের বাপ মা নামটা শুনে বেশ সন্তুষ্ট হয়েছিলেন।—” “এতেই ত আমি আর ও গগুগোলে পড়েছি।—” “কেন কেন ?”— “ওব বাপ মা যখনই ওর কথা বলেন তখনই মুসেন এমিল নামে অভিহিত করে থাকেন –” যাঃ, এইবার আমার সমস্ত জারিঙ্কুরি ধরা পড়িয়া গেল। ইহার পর আর আমার কিছুই বলিবার রহিল না । যতই ভাবিতে লাগিলাম লজ্জায় যেন পুড়িয়া মরিতে লাগিলাম। রমণী আমার যন্ত্রণা অনুভব করিয়া আনন্দে হাসিয়া উঠিলেন। বলিলেন – “সেই মুখের দিনের আলাপে কি আমোদই না পেয়েছি আজ। তুমি প্রথমেই এরূপ ভাবে আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে লাগলে যে অচিরেই বুঝলাম তুমি আমাকে চিনতে পার নাই, শুধু ভান করছিলে। ভাবিলাম এর শাস্তিটা তোমাকে দিতে হচ্ছে । সে শাস্তি তুমি কড়ায় গণ্ডায় পেয়েছ। তুমি যে জর্জ, টম, ডার্লি এদের চিনতে পেরেছ তাতেও খুব আমোদ বোধ করেছি। কেননা ওদের নাম আমিও জন্মে শুনিনি। আর শিশুদের কল্পিত নাম গুলির কথাও আমি ভুলতে পারব না। কেউ যদি একটু বুদ্ধি থাটিয়ে প্রশ্ন করে যায় তবে তোমার কাছ