পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ゲo 3 লেখকের পক্ষে একখানা ভালো বই রচনা করার মত বালাই আব নাচ । সেই লেখাটাই তাছার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দাড়ায়—কারণ পরবর্তী সকল লে খাই সেই লেখাটবড় কষ্টিপাথরে যাচাই করা হয় । শত বৎসর পূর্বে পরে প্রথম বোমান্স প্রকাশিত হইয়ছিল । সকলের নিকট পবিচিত কবিয়া দিল । অপবিচিতেব ভিড় হঠতে মুহুর্ত্তেব মধ্যে সে তথনকার শ্রেষ্ঠ লেখকদের সঙ্গে আসন গ্রহণ কৰিল । তাধ পূব প্রলোভন আসিল । প্রকাশকের দল আসিয়া কাকুতি-মিনতি আরম্ভ করিল—ক’ত টাকা পাইলে তিনি বইখানার স্বত্ব লিক্রয় করিতে পাবেন । কিন্তু সে প্রলোভনে ভুলিবার পাত্র নয়— সকলকে হাকাষ্টয়া দিল। তাগাব দুবেল দুমুঠ অন্ন তে জুটলেছে, তবে সে কেন ত{গর সাহিত্য সাধনাকে ব্যবসায়েব হীন পঙ্কে নিমজ্জিত কবিবে | সাহিত্য তাঙ্গার ভালো লাগে, তাই সাহিত্যসাধন কবে ; অর্থলাভের প্রত্যাশায় তো করে না । তিন বৎসব পবে তাহার দ্বিতীয় বষ্টখানি বাহির হইল। এইবাব একাধিক বিজ্ঞ সমালোচক বলিলেন যে ইংবাজি সাহিত্যের ইতিহাস যখন রচিত হইবে, তখন এই লেখকের উল্লেখ না কবিলে চলিবে না । প্রথম উপহাস খানি অপেক্ষ এথানি আরো উচুদরের হইয়াছে। অহরহ দুশ্চিন্তার ভারে পীড়িত হইয়া অtঞ্জ প্রায় দুই বৎসরের কঠিন পরিশ্রমের পর, সে তাহার তৃতীয় পুস্তকধানি শেষ করিয়াছে। পূৰ্ব্বপ্রকাশিত বই দুই খানিব झ शें भ्र সেচ লে পূtটা তাঙ্ক কে ভারতী কাৰ্ত্তিক, ১৩২• কোনো খানিই তাহাকে এতটা কাবু কবিয়া ফেলিতে প বে নাই। কোনো কালেই স্বাস্থ্য তাহার বিশেষ ভালো ছিল ন — এখন শবাব একেবারে ভাঙিয়া পড়িয়াছে। কতবাব তাহার বন্ধুরা তাঙ্গকে কিছুকাল পিশাম কবিতে বলিয়াছে, কোথাও হাওয়৷ গষ্টতে যাইতে বলিয়ছে, সে তাঙ্গাদের কথায় কর্ণপাতও কবে নাই। এইবাব সে দীর্ঘকাল বিশ্ৰামমুখ উপভোগ কৰিবে ! মনে মনে সে বেশ বুঝিতেছিল যে, সে একটা মস্ত বই লিখিয়াছে ; কিন্তু তবুও ভয় হইতেছিল এ বিশ্বাস যদি ভূল হয়! মনে আমব! খুব স্বক্ষ জিনিস অনুভব কবি বটে কিন্তু কাগজে সেটাকে ঠিকমত ফুটাইতে পারি কৈ ? হয় তো লেখক নিজে ছাড়া আর কেহ রচনার সে সূক্ষ্ম ভাব ধরিতেই পাধিবে ন! ! সেইজন্ত কোনো নিবপেক্ষ সমালোচককে লেখাটা দেখনো প্রয়োজন ! এমন একটি লোককে সে জানিত । তাহাকে ডা কিয়া অনিয়া বলিল—দু’এক পবিচ্ছেদ পড়ে? দেখ তে ভাই । সমালোচক পড়িতে বসিল । সে অসিয়া ছিল বেলা আড়াইটার সময়—উঠিল যখন তখন রাত বাবে টা । বইখানা সে প্রথম হইতে শেষ পর্য্যস্ত পড়িয়ছে --এক ছত্রও বাদ ছায় নাই । গ্রন্থকাব ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করিল – কেমন দেখলে ? সমালোচক দাড়াইয়া উঠিয়া পলের হাত ধান চাপিয়া ধরিয়া কহিল— বেশ ভাই বেশ! . খুব কাজটা করলে যাহো ক ! এ বইএর মার নেই । চমৎকার হয়েচে ।