छांब्रडैौ कब्रिग्न छांझांज्ञ कथं वझ रुद्विग्नां बलिटणन —হরি, অামার ডেকেছ কেন ভাই ? —আজ্ঞে বক্ষন, বলছি। ভট্টাচাৰ্য্য বসিলে হরিবিহারী অপ্রতিভ ভাবে মাথা নত করিয়া বলিলেন– এরা বলছেন কিশোর নাকি মোছলমানকে টোলে তুলে— —হ্যা, এর যা বলছেন তা সত্যি। —এখন কৰ্ত্তব্য ? —এর আবার কর্তব্য অকর্তব্য কি ? —মোছলমানের সঙ্গে খেলে•••••• —মোছলমানের সঙ্গে খায়নি। যদি খেয়েই থাকে তাতেই বা কি ? —ম্লেচ্ছসংস্পর্শে ধৰ্ম্মহানি হল না ? —ম্লেচ্ছ তারা যারা অপরিস্কার নোংরা, কুৎসিত-চরিত্র, কুৎসিত কৰ্ম্মে লিপ্ত—তা তারা যে ধৰ্ম্মই স্বীকার করুক আর যে আচারই পালন করুক বা যে কুলেই জন্মাক । কোনো বাস্তবিক ভদ্রলোক ম্লেচ্ছ হতে ···... নিবারণ বেগে মাথা নাড়িয়া বলিল— তা বলে যবন গোরুথোরের ছোয়া খেতে হবে ? ● ভট্টাচাৰ্য্য হাসিয়া বলিলেন—মুসলমানের ছোয়া খাননি কে ? হরিবিহারী সোডা লেমনেড বরফ থান। মুখুয্যে মশায়ও অস্বীকার করতে পারবেন না বোধহয় । নিবারণ বলিল-সোড লেমনেড বোতলের মধ্যে থাকে, সেটা পরোক্ষ ছোয়া, বরফ ত জলবিকার। প্রত্যক্ষ ছোয়ায় দোষ —গোরুখোরের সদ্য ছোয়া ! ভট্টচার্ধ্য বলিলেন—আমাদের مهما আর পূৰ্ব্ব c*ौड़, १७२५ পুরুষের গোরু খেতেন তার প্রমাণ আছে ; আজকাল আধ-জানা আধ-লুকানো রকমে হোটেলে খান এমন লোকের সঙ্গে আপনাদের আহার ব্যবহার চলে । আপনার নিজেরা পাঠা ভেড়া হরিণ খান । শিং-ওল এক রকম চতুষ্পদ যদি খেতে পারি ত অপর রকম খেতে পারব না কেন তার কারণ ত যুক্তিতে খুজে পাইনে । এ-সমস্ত শুধু সংস্কার আর রুচির কথা ; আমার খেতে প্রবৃত্তি হয় না, অপরের হয়, তার জন্তে অপরকে ঘৃণা করব ? নিবারণ বলিয়া উঠিল—শাস্ত্রের শাসন ! ভট্টাচাৰ্য্য বলিলেন—শাস্ত্রের সমস্ত বিধি কি আপনারা মেনে চলেন ? শাস্ত্রে ত বিধি আছে শজারু, বনবরা, গোসাপ খাবে। খেতে পারেন ? আপনার স্বচ্ছন্দে মাছ খান, মনে কোনো দ্বিধা বোধ করেন না ; এজন্তে হিন্দুস্থানী ব্রাহ্মণের বাঙালীদের মাছ-থাউয়া বলিয়া ঘৃণা করে । আপনার যেমন একজনের একটা অভ্যাস দেখে ঘূণা করেন, অপরে আপনাদের একটা অভ্যাস দেখে ঘৃণা করে । এ-সমস্ত পরস্পরের সংস্কারের কথা। সংস্কার প্রায়ই যুক্তিবহিভূত অভ্যাস মাত্র। নিবারণ মাথা নাড়িয়া বলিল—সে যাই বলুন, আমাদের সামাজিক নিয়ম লঙ্ঘন করে কিশোর ভয়ানকৃ অন্যায় করেছে। —ত করেছে স্বীকার করি । সে জন্তে আপনারা কি ব্যবস্থা করতে চান। —কিশোরকে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। • –কিন্তু কিশোরকে প্রায়শ্চিত্ত করাবার আগে যারা ব্যবস্থা দেবেন তার প্রায়শ্চিত্ত
পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/২৪০
অবয়ব