বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

レ"8 डॉग्नडौ । সহসা ভবকান্তের চোখের সন্মুখে একটা ছোটখাট যুদ্ধ হইয় গেল। বুড়ী, ওরফে সুরমার বয়স আট বৎসর বেশ ! শান্ত, ধীর মেয়েটি ! সে বেচারী তার মামার বাড়ীতেই প্রায় থাকিত, কাজেই, শৈবলিনীকে তেমন চিনিত না । আজ ফুল তুলিতে আসিয়া ভালে দুটি চাপাফুল সে মালীর নিকট হইতে সংগ্ৰহ করিয়াছিল । শৈবলিনী দেখিতে পাইয় তাহতে সম্রাজ্ঞীর দ্যায্য দাবী বসাইলেও, সুরমা ছাড়িল না। প্রতিপত্তি-রক্ষার জন্ত, অগত্য, শৈবলিনী সুরমার গণ্ডদেশে প্রচণ্ড চপেটাঘাত বর্ষণ করিয়া, তার সাজির ফুলগুলি রাজকোষে বাজেয়াপ্ত করিয়া, স্থান ত্যাগ করিল। অমুগত অক্ষৌহিণীর মত, মেয়ের দল, “মাগে, কি একগুঁয়ে মেয়ে” বলিয়া সগৌরবে শৈবলিনীর অনুসরণ করিল। সুরমা মাটিতে পড়িয়া চীৎকার করিয়৷ কাদিয়া উঠিল । বেচারীর ঠোট কাটিয়া রক্ত পড়িতেছিল। ভবকান্ত তাড়াতাড়ি সুরমাকে তুলিয়া বাটীর মধ্যে লইয়। আসিল । লজেঞ্জেল ও চুরোটের ছবি দিয়া,ডিক্সনারীর ছবি দেখাইয়া, নানা উপায়ে, সে সুরমাকে সাস্তুনা প্রদান করিল। ইহার পর হইতে, সুরমা ও ভবকীস্তকে প্রায় একত্রে বেড়াইতে দেখা যাইত ! ভবকাস্ত ছবি দেখাইয়া, গল্প বলিয়া, অনভিজ্ঞ সরল বালিকাটির হৃদয়-হরণে সৰ্ব্বদা সচেষ্ট ছিল । উপস্তাসের নায়কের মত, সে সুরমার জন্ত, গাছ হইভে ফুল-ফল পাড়িয়া দিত, সন্ধ্যার সময় রোয়াকে বসিয়া আকাশের তারাও গণিত ! এই সময়, লুকাইয়া ভব কাস্ত কবিতা লিথিতেও আরম্ভ করিয়াছিল, বাড়ীর লোকে অবশু তাহ জানিতে পারে নাই । এক একবার সে ভাবিত, সুরমা নিতান্ত বালিকা, আবার মনে হইত, প্রতাপ ও শৈবলিনী, যখন আম্রকাননে খেলা করিত, তখন তাহাদিগেরি বা এমন কি বয়স হইয়াছিল ! সেদিন দুপুরবেলায় ভবকাস্ত কাগজের বৈশাখ, ১৩১৭ নৌকা তৈয়ারী করিতেছিল। সুরমা নিকটে বসিয়াছিল । ভবকান্ত ডাকিল, “মুর ”

  • ८कन, ऊदल ?”

“তুমি আমাকে ভালবাস ?” “বাসি।” “খুব, ভালবাস ?” “খুব !” তার পর ভবকাস্ত আরো কি বলিতে যাইতেছিল, কিন্তু কথাটা বাধিয়া গেল ! লজ্জায় তার মুখ লাল লইয়া উঠিল। ভবকাস্ত আবার ডাকিল, “সুর !”

  • কেন ?"

“তুমি সীতার কাটিতে জান ?” কিছুদিন পূৰ্ব্বে, সে ‘চন্দ্রশেখর পড়িয়াছিল। তাই, বোধ হয় সাঁতারের কথা, তার মনে পড়িতেছিল ! সুরমা কহিল, “না !” “সাতারটা শিথো—শেখ ভালো !” “ম যে বকে, ভবদ, পুকুরে নাইতে C列乙研一” “বটে !” ভবকান্ত কহিল,"স্থর, তুমি—”কথাটা শেষ হইল না। কে যেন তার কণ্ঠ চাপিয়া ধরিল। চাপা গলায় আবার সে ডাকিল, “মুর !” “ন, ভবদ, অমন করে কথা কয়ে না ভাই, আমার বড় ভয় পায়, জানো ত, ‘ঠিক ছুকুর বেলা, ভূতে মারে ঢেলা ৷” কিন্তু ভবকান্ত আজ মরিয়া হইয়াছিল। আজ সে হৃদয় উন্মুক্ত করিয়া জানাইতে চাহে, সুরমাকে সে কত ভালবাসে ! তাহার জষ্ঠ, যদি প্রাণ দিতে হয়, তাহাতে ও সে আজ প্রস্তুত । মিথ্যা লজ্জা করিয়া জীবনের শ্রেষ্ঠ মুখ হারাইবে, এত বড় মুখ ও কাপুরুষ, সে কখনো নয় ! ভবকান্ত কহিল, “মুর, আমাকে বিয়ে করবে ?” “য্যা:– “ন, স্বর, বল, বল, বিয়ে করবে— ত চলে, আমি তোমাকে অনেক ছবি দেব— কলকেতা থেকে আসবার সময় কত নুতন