পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ծ ՊԵ, উঠিল। তিনি কহিলেন, “তাই না কি ! আমার কথা জিজ্ঞাস কচ্ছিলেন– ?” “ছ । শীঘ্র একটা সুযোগ পেলেই তিনি আপনার সঙ্গে আলাপ করবেন।” “বটে। এ কথাও তিনি বলেছেন ?" “ত না ভ কি। এই যে গবর্ণর সাহেব রয়েছেন, ইনিও সে কথা শুনেছেন।” যাহাকে গবর্ণর বলা হইল, তিনি একজন খাটো ধরণের লোক, নবাবের অপর পাশ্বে টেবিলের সুমুখে বসিয়াছিলেন । মাথায় টাক । একমনে তিনি ভোজ্যবস্তুর সদ্বব্যহার করিতেছিলেন । নাম তাহার পাগানেতি ; কসিক প্রদেশের তিনি গবর্ণর। মপ{ভ তাহাকে নবাবের সহিত পরিচিত করিয়া দিয়াছিলেন । গবর্ণর কহিলেন, “ডিউক তাই বলছিলেন नःि ।” এই নিমন্ত্রণ-সভাটি দেশের বিভিন্ন বিভাগেব বিভিন্ন ধরণের সম্ভ্রান্তগণ-সম্মিলনে সার্থকতা লাভ করিয়াছিল । টিউনিসের বে'র প্রধান ফৰ্ম্মচারী ব্রাহিম বে এ সভায় উপস্থিত ছিলেন । দেউলিয়া-গ্রহণে সমধিক খ্যাতিপরায়ণ কর্দেলীক, চিত্র-ব্যবসায়ী সোলাক, তদ্ভিন্ন নবাবের মুর ও মিশর-বন্ধুগণ নিমন্ত্রিতের দলভুক্ত ছিল। বিভিন্নশ্রেণীর লোকজন থাকিলেও সভায় এতটুকু কলরব ছিল না । সকলেই নিঃশব্দে ভূেজন করিয় চলিয়াছিলেন; চোখের কোণে বক্র কটাক্ষে পরস্পরের পানে চাহিতেও কেহ ভুলেন নাই।" সত্ত্বস নবাব বলিয়া উঠিলেন, “এই যে ডাক্তার জেস্কিন্স ! এত দেরী যে !” মৃদু হাসিয়া ডাক্তার কহিলেন, *আমরা ডাক্তার মানুষ । বাধাধর সময়ে নিমন্ত্রণ রক্ষা করি, এমন আমাদের সাধ্য কি !” ভারতী জ্যৈষ্ঠ, ১৩২১ নবাব কহিলেন,এর ব্যস্ত হয়ে পড়ছিলেন, কাজেই আপনার জন্ত অপেক্ষা করাটা – * ' ডাক্তার কহিলেন, “তাতে কোন ক্ষতি ইয় নি। আমি এখনই সকলকে ধরে ফেলছি—” ডাক্তার নবাবের সন্মুখস্থ শূন্ত আসনে বসিয়া গেলেন । ক্ষিপ্রভাবে কয়েকটা জিনিষ মুখে পুরিয়া ডাক্তার কহিলেন, “আজকের মেসেঞ্জার কাগজখান দেখেচেন, নবাব বাহাদুর ? নবাব কহিলেন, “না।” “সে কি ! দেখেনইনি মোটে ! আপনাব সম্বন্ধে একটা প্রকাণ্ড প্যার বেরিয়েছে যে !" নবাবের . মুখে সরমের একটা রক্তিম আভা ফুটিয়া" উঠিল, চক্ষু শিক্ষারিত হইল । তিনি কহিলেন, “আমার সম্বন্ধে আবার কি বেরুল ?” “ছ কলম লিখেচে! মোসার কোথায় ? আপনাকে দেখায় নি! এই যে মোসার ।” মেসার অপ্রতিভভাবে কহিল, “অতটা মনে ছিল না ।” মোসার একখান ছোটখাট সংবাদ-পত্রের মালিক। তরুণ বয়সেই তাহার শীর্ণ মুখেচোখে দারিদ্র্য ও অভাবের একটা রক্ষ ছাপ পড়িয়াছে। আর কোন জায়গায় অর্থ উপার্জনের কোন সুবিধা করিতে না পারিয়া সে এই সংবাদ-পত্র বাহির করিয়া বসিয়াছে । বুকে দুনিয়ার প্রতি ঈর্ষা-পীড়িত একটা জাগ লইয়। সে এই কাজে নামিয়াছে। যেখানে অর্থ * পাইবে, সেখানেই সে প্রশংসা ওস্তুতির মধু, বর্ষণ করিবে। যেখানে সে সম্ভাবনা নাই, সেখানকার জন্য তাহার হৃদয়ে সঞ্চিত আছে,