૨ C ૨ রত হয় । সেই জন্ত “কুঁকুড়ি ডাকের" সময়ের সহিত তাহারা বিশেষভাবে পরিচিত। এখানকার অধিকাংশ লোক নিজের বয়স বলিতে পারে না! এখানে ম্যালেরিয়ার ' প্রাঙ্গৰ নাই। সেই জন্তু ৬০ বৎসর ও তদপেক্ষ অধিক বয়সের লোক অনেক গ্রামেই দেখিতে পাওয়া হয়। এই প্রকার পলিত কেশ, গলিতদন্ত বহুসংখ্যক বয়স্ক ব্যক্তি তাহাদের বয়স “এক কুড়ি’ বা ‘দেড় কুড়ি’ বলিয়া শ্রোতার কৌতুক উৎপাদন কবিয়া থাকে। আবার অনেকে বয়স কত জিজ্ঞাসা করিলে বলিবে, “আমার ত কোষ্ঠী নাই, বয়স ত সঙ্গেই আছে দেখিয়া লও।” গল্প আছে, বঙ্গদেশের কোন স্থানে জনৈক পকশ্মশ্র বৃদ্ধ তাহার বয়স সতের বৎসর বলিঃ প্রকাশ করিয়াছিল। কৌতুংগাক্রান্ত শ্রেষ্ঠা তাহার দীর্ঘ শ্বশ্ৰুর প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া অভ্যত অল্প বয়সে এত বড় দাড়া কিরূপে হইল জিজ্ঞাসা করিলে, সে ধীরভাবে উত্তর দিয়াছিল, “এ দাড়ী বাবা তারকেশ্বরের ” বয়স সম্বন্ধে এ প্রকার স্বযুক্তিপূর্ণ উত্তব এখানে অনেকেই দিয়া থাকে। - Tefé taq'ss Stout (, Methodist Times) পত্রিকায় একজন ইংরাজ লেখক একটি প্রবন্ধ লিখিছেন।" লেখক বলেন ভারতবর্ষের সর্বত্র বিশেষ স্মরণীয় ঘটনার সময় হইতে ব্যক্তি বিশেষের জীবনের কাহিনী বিবৃতি করিবার রীতি আছে। লেখক কিছুদিন মানভূম জেলায় ছিলেন। তিন ' এখানকার অনেক লোককে “গঙ্গা নারায়ণী হাঙ্গামার” সময় হইতে বিশেষ • खाज्ञउँौ , , আষাঢ়, ১৩২১ বিশেষ ঘটনার সময় নির্দেশ করিতে শুনিয়াছেন । मांनङ्गमृ cखशांब्र बब्रांझ्छूम नांरभ ७कः পরগণা আছে। এই পরগণার ভূস্বামী এক প্রাচীন রাজবংশের বংশধর । এই বশে বিবেক নারায়ণ লামে এক রাজা ছিলেন । বিবেকনারায়ণের পুৰ্ব্বপুরুষগণ স্বাধীন ছিলেন ! বিবেকনাবায়ণও দীর্ঘকাল ধৰিয়া ইষ্ট ইণ্ডিয়৷ কোম্পানীর সহিত যুদ্ধ করিয়াছিলেন । পরিশেষে ১৭৭৫ খৃষ্টাব্দে বিবেকনারায়ণ পরাস্ত হইয় রাজ্য ত্যাগ করেন। বিবেকনারায়ণেব রঘুনাথ ও লক্ষণ নামে দুই পুত্র ছিলেন। বয়োজ্যেষ্ঠ রঘুনাথ বিবেকনারায়ণের দ্বিতীয় পত্নীর গর্ভজাত ; ও কনিষ্ঠ প্রধান মহিষীব গর্ভজাত ছিলেন । ইংরাজ সরকার যুদ্ধান্তে রঘুনাথেব সহিত বরাহভূম পৰগণা বন্দোবস্ত করেন । কনিষ্ঠ লক্ষ্মণ প্রধান রাণীর সন্তান বলিয় রাজ্যে দাবী করিয়াছিলেন। লক্ষ্মণ রঘুনাথের সহিত বহুদিন যুদ্ধ করিয়া পৰে পবাজিত হইয়া কারাগারে নিক্ষিপ্ত হইয়া ছিলেন । ইংবাজের কারাগারে লক্ষ্মণেব দেহান্ত ঘটে । গঙ্গানারায়ণ লক্ষণের পুত্র । বিবেকনারায়ণের পুত্রদ্বয়ের মধ্যে যে কারণে বিবাদ হইয়াছিল, রঘুনাথের দুই পুত্রের মধ্যেও যেই কাৰণে রাজ্যাধিকাব লষ্টয় বিবাদ ঘটয়াছিল। দ্বিতীয় পত্নীর গর্ভজাত বয়োজেষ্ঠ পুত্র গঙ্গাগোবিন্দ রাজ্যাধিকবি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । প্রধান মহিষীর গর্ভজাত পুত্র মাধবসিংহ রাজ্যের জন্ত প্রথমত: যুদ্ধ ও পরে দেওয়ানী মোকদম পর্যন্ত করিয়াছিলেন। শেষে সৰ্ব্বত্র পরাজিত হইয় গঙ্গাগোবিদের দেওয়ান মনোনীত
