বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, छूडौब्र সংখ) gষ্টয়াছিলেন। মাধবসিংহ অত্যন্ত স্বার্থপর, প্রজাপীড়ক দেওয়ান ছিলেন। লক্ষ্মণের পুত্র গঙ্গানারায়ণের ভরণপোষণ জন্ত রাজ কিছু ভূসম্পত্তি দান করিয়াছিলেন। মাধব সিংহ ঐ সম্পত্তি কড়িয়া লইয়া গঙ্গানারায়ণকে পথের ভি শারী করিয়াছিলেন । গল্প এষ্ট প্রকাব যে গঙ্গানারায়ণকে যাহাতে রাজ্যেব ভিতর কেহ মুষ্টিভিক্ষা পর্য্যন্ত না দেয়, তজ্জন্ত মাধব সিংহ প্রজাগণের উপর কঠোব আদেশ দিয়াছিলেন ! শেষে উৎপীড়িত প্রজামণ্ডলীব সঙ্গিত মিলিত হইয় গঙ্গানারায়ণ বরাহভূম পবগুণাব অন্তর্গত বান্দড়ি নামক હામ মাধব সিংহকে হত্যা কবেন। তৎপবে গঙ্গানবায়ণ প্রজাপুঞ্জেব নেতা হইয় তাহীদের সাহাদ্যে ববাহভূম পরগণা ও নিকটবৰ্ত্তী বহু দেশ জয় কুরিয়াছিলেন। শেষে পুরুলিয়া নগবেব ৮ মাইল দক্ষিণে চাকলতোড় নামক স্থানে গঙ্গানাবায়ণেব সহিত ইংবাজ সৈন্তেব এক যুদ্ধ হয় । সেই যুদ্ধে গুঙ্গানাবায়ণ পবাজিত হইয়া দেশত্যাগ কবিয়াছিলেন। খৃষ্টায় ১৮৩২ সালে ( বাঙ্গালা ১২৩৯ সালে ) গঙ্গানারায়ণের বিদ্রোহ সংঘটিত হইয়াছিল । পূৰ্ব্বে লোকে "গঙ্গানারায়ণীর সময় আমি এত বড় ছিলাম" কি "গঙ্গানারায়ণব দশ বছব পবে আমার বড়ছেলে হয়” ইত্যাদি বলিয়া বহু ঘটনাব সময় নির্দেশ করি ত । বর্তমান সময়ে গঙ্গানারায়ণী হাঙ্গামা হইতে কাল গণনা আব শুনা যায় না । তবে এদেশে এখনও "সিপাষ্ঠী হাঙ্গামা বা বড় হাঙ্গাম” এবং “বড় আকাণ” হইতে কালগণনার বিস্তর দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। সিপাহী বিদ্রোহের সময়ে मांनङ्भ মানভূমবাসীদিগের নিবিদিক জ্ঞান ২৫৩ অশান্তির নিলয় হইয়া উঠিয়াছিল। বিদ্রোহীগণ পুরুলিয়ার খাজনাখানা, জেল প্রভৃতি লুণ্ঠন করিয়া দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদা* লতের বিস্তর কাগজপত্র ভস্মীভূত কবিয়াছিল। এই জেলাব সৰ্ব্বপ্রধান জমীদারী পঞ্চকোটে তখন রাজা নীলমণি সিংহ জমীদার ছিলেন। প্রবাদ আছে যে রাজা নীলমণি সিংহ বিদ্রোহীগণকে সাহায্য করিয়াছিলেন । এই উপলক্ষে সিপাহী বিদ্রোহ মানভূমের ইতিহাসে একটি বিশেষ স্মবণীয় ঘটনা। ইংবাজী ১৮৬৬ সালে ( বাঙ্গালী ১২৭৩ সালে ) এখানে ভয়ানক দুর্ভিক্ষ হইয়াছিল। উড়িষ্যাব দুর্ভিক্ষের কথা অনেকের জানা আছে । মানভূম অঞ্চলেও দুর্ভিক্ষেত্র ভীষণ প্রকোপ প্রকাশ পাইয়াছিল। এই দুর্ভিক্ষে দেশেব বিস্তব লোক প্রাণত্যাগ করিয়াছিল। এই দুর্ভিক্ষ এদেশে সাধারণতঃ "বড় আকাল* বা “ছিয়াত্তবে আকাল” বলিয়া পরিচিত। ১২৭৩ সালে দুর্ভিক্ষ হইয়াছিল, তথাপি ইহাকে “ছিয়াত্তবে অকাল” বলা হয় কেন ? সন ১১৭৬ সালে বঙ্গদেশের সর্বত্র দেশব্যাপী দুর্ভিক্ষ হইয়াছিল,—ইহা ঐতিহাসিক ঘটনা। তৎকালীন লোকে ছিয়াত্তরে মন্বন্তরের কথা শুনিত। স্বতবাং সেই ভীষণ দুর্ভিক্ষের পুনরভিনয় '! .তাহারা “তিয়ারে অকণল”কে “ছিল্কাত্ত অকাল” বলিয়া পরিচয় দিয়া থাকে। এই ভীষণ দুর্ভিক্ষও এখানকার একটা স্মরণীয় ঘটনা। 一 এই "বড় হাঙ্গামা” ও “বড় আকাল" *হইতে আরম্ভ করিয়া অদ্যপি অনেকে বিস্তর ঘটনার কালনির্দেশ করিয়া থাকে। অবশু প্রাগুক্ত ঘটনা হইতে আরম্ভ করিয়াও অনেকে