পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵ օ জন্মায় —তার বিশেষত্বটুকু মার্জিত-শীলতা, কেউ কাউকে দিতে পারে না। নেপো লিয়ানের রাজসভায় অনেক নূতন ডিউক, , ব্যারণ, কাউণ্ট, মার্কইসের স্বষ্টি হয়েছিল সত্য, কিন্তু,এই হঠাৎ নবাবের দলে অভিজাতস্থলভ শোভন সংযত ভব্যতার বড়ই অভাব ছিল। ভদ্রাচার যেন গিলোটিনে সম্রাঞ্জী মেরি এণ্টোনিয়েটের শিরশেদের সঙ্গে সঙ্গে অস্তধর্ণন হয়ে গিয়েছিল। এতদিনে নেপোলিয়ান বুঝতে পারছিলেন, তার কাছে বনিয়াদী বংশের বগুতাই তার একান্ত বাঞ্ছার সামগ্ৰী! সে মনোবাঞ্ছা বুঝি আজ পূর্ণ হবারও সুযোগ হল,—ফ্রান্সের শ্রেষ্ঠতম অভিজাতসন্তান আজ তার কাছে সৈনিকের পদপ্রার্থী । নেপোলিয়ান যে হাসিতে অধীন সকলকে বশ করে রেখেছিলেন, যে হাসির এতটুকু আলোক দেখবার জন্তে কত অগণ্য লোক স্বেচ্ছায় জীবন বিসর্জন করতে উদ্যত হত – সেই সুমধুর মনোমোহন হাসিটুকু হেসে বল্লেন, “কৰ্ণেল প্রেভষ্ট আমি আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। "ফ্রান্সের মঙ্গল আপনি আপন স্বার্থ চেষ্টার চেয়েও শ্রেষ্ঠ করেছেন। আমি বীরের সম্মান রক্ষা করে থাকি, এবং সাহসী পুরুষকে চিনে নিতে ভূমির বিলম্ব হয় না, —এ বোধ আপনার স্বাছে দেখে সুখী হলাম । দেশ ভক্তি আর এই অকুতোভয়তার জন্তে, আপনাকে ভবিষ্যতে কখনো • অনুতাপ করতে হবে না !” sts g হেক্টর এসেছিলেন কাপ্তেন পদবী নিয়ে, . যখন ফ্রান্সের রাজ-প্রাসাদ হতে ফিরে গেলেন তখন তিনি কর্ণেল। আশৈশব নেপোলিয়ানকে পরম্বাপহারী দম্য, বংশ-গৌরবহীন আধুনিক ভারতী , ' আষাঢ় ১৩২১ বলে ঘৃণার চক্ষে দেখতেই তিনি অভ্যস্ত, অথচ আজ তারি অধীনে কৰ্ম্মভার স্বীকার করলেন । * এই ঘটনার অল্পদিন পরেই অষ্ট্রিয় প্রষয়া একত্রে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে, রুষয়াও সন্ধিবদ্ধ রাজন্তবর্গের হয়ে শত্রুপক্ষের সহিত যোগ দিলে। নেপোলিয়ান সৈন্তদলের নায়কতা স্বয়ং গ্রহণ করে, অষ্টার লিটজের যুদ্ধক্ষেত্রে সকল বিপক্ষকে একেবারে পেষণ করে ফেললেন । এই যুদ্ধ-দিনে হেক্টর আবৃনে প্রেভষ্ট তারি পাশ্বচর সেনাধ্যক্ষের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। 龜 ফরাসী-সম্রাট যুদ্ধক্ষেত্র ক্ষেত্র হতে ফিরে চল্লেন । সমস্ত দিবসের পরিশ্রমে তিনি শ্রান্ত, কিছু আচার না করলে আর চলে না। সকলেই জানেন, নেপোলিয়ান বড় অভিনয় পটু ছিলেন। সন্ধি-ক্ষণের দুলভ মুহূর্তগুলি কেমন করে সকলের সম্মুখে উজ্জ্বল করে তুলতে হয়, তা তিনি বিশেষরূপে জানতেন। কেবলমাত্র কয়েক-প্রহর পূৰ্ব্বেষ্ট, গত রাত্ৰিতে, যুগ যুগাস্তের দুই রাজ বংশধর প্রবল প্রতাপশালী রুম এবং অষ্টিয়ান সম্রাটদ্বয়, মহাসমারোহে যেখানে একত্রে ভোজন সমাধ করেছেন, • সেইখানেই নিতান্ত প্রাকৃত ংশজাত, বিজয়ী যোদ্ধা যদি আজ রাত্রিকাব আহার সমাপন করেন, তাহলে উভয় পক্ষের মনে কিরূপ ভাবমূৰ্ত্তি হওয়া সম্ভব, তা তিনি বেশ কল্পনা করতে পারছিলেন। কিন্তু যখন এই উদ্দেণ্ডে যাত্রা করবেন তখনই মৰ্ম্মভেদী আর্গুনিনাদে সমগ্র আকাশ আর পৃথিবী নে বিদীর্ণ হয়ে গেল। ফরাসী আটলারি সৈঙ্গের আক্রমণবেগে রুষ-সৈন্তের আশ্রয় জমাট বন্ধ