পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gévr বুকের ভিতর কঁপিয়া কাপিয়া উঠিতে লাগিল।” • সকলকে ঠেলিয়া রোহিণীই আগে দেউড়িতে দৌড়িয়ছিল । সে গিয়া দেখিল নবকিশোরের পশ্চাতে একটি জীবন্ত প্রতিম অন্দরের দিকে আসিতেছে। রোহিণী সন্ত্রমে বিস্ময়ে অবাক হইয়া থমকিয়া দাড়াইল । এহু রূপ যাহার সে কি মানুষ ! নবকিশোর হাসিয়া বলিল—অবাক হয়ে কি দেখছ রোহিণী ? এ আমাদের খুড়িমার বোনঝি। রোহিণী ইপি ছাড়িয়া বাচিল । ও যে ঠাকরুণ নয়, পরী নয়, এমন কি মেমও নয়, ও খুড়িমার বোনঝি মালতী মাত্র, একজন অতি সাধারণ মেয়ে—যাহাঁকে লইয়া এই সেদিন এতবড় তুমুল কাণ্ড ইইয়া গেল এ সেই,—ইহা মনে করিয়া রোহিণী আশ্বস্ত হইল । সে একমুখ হাসিয়া বলিল—ওম । এই খুড়িমার বোনঝি বুঝি ! আমি বলি দাদাঠাকুর বুঝি শেষকালে ঘাগরাপর মেম বিয়ে করে আনলে ! মালতীর মুখ লজ্জায় আবক্তিম হইয়৷ উঠিল। সে চকিতে একবার রোহিণীকে দেখিয়া মাথা, নত করিল। রোহিণীর ভাবভঙ্গ তাহার মোটেই ভালো লাগিল না । নবকিশোর রোহিণীর দিকে এমন তীব্র ভাবে চোখ রাঙাইয়া তাকাইল যে রোহিণী দ্বিতীয় রসিকতার জন্ত উদ্যত রসন সংযত করিয়া অন্দরের দিকে ছুটিয়া পলাইল । সে নবকিশোরকে ভালো বকমই চিনিত । রোহিণীকে ফিরিতে দেখিয়া সকলে ভারতী শ্রাবণ, ১৩২১ একসঙ্গে প্রশ্ন• বর্ষণ করিতে লাগিল—কে রোহিণী ? কে রে ? কে এসেছে ? রোহিণী তখন খুড়িমাকে খবর দিয়া জ্বালাইবার জন্য ব্যস্ত। সে ছুটিতে ছুটিতে বলিয়া গেল— ওগে, আমাদের খুড়িমার ঘাগরাপর মেম বোনঝি এসেছে গো ! নবকিশোরের পশ্চাৎ পশ্চাৎ উঠানে আসিয়া উপস্থিত হইল । ছেলে মেয়ের চারিদিক হইতে নবকিশোরকে জড়াইয়া ধরিয়া কলরব করিতেছিল । বিনোদ বলিল—দাদাঠাকুর, তুমি'এলে, বড়দা এল না ?...এইবার তোমায় রোজ একটা করে গল্প বলতে হবে কিন্তু ! পাচু বলিল—হঁ্যা, সেই সাত ভাই চম্পার গপ্প ! বিনোদ বাধা দিয়া বলিল—ন না, ও ত পুরোণে গল্প। সেই সোনার কাঠি রূপের কাঠির গল্প, সেই রাজপুত্তরের তালপএ খাড়া আর কাঠের পক্ষীরাজ ঘোড়ার গল্প বলতে হবে দাদাঠাকুর . ... নবকিশোর হাসিতে হাসিতে দুই হাতে দুইটা মাথা ধরিয়া নাড়িয়া দিয়া বলিল— ই বে ই, বলব রে বলব, সব বলব । এখন "বদররা একটু থাম দেখি, দেখছিস নে তোদের একজন নতুন দিদি এসেছে ? ও ঢের গল্প জানে। যা, ওর সঙ্গে সব ভাব করগে যা । e ছেলের সবিস্ময় কৌতুহলে অপরিচিত আগস্তকের মুখের দিকে চাহিয়া স্তন্ধ হইয়া দোড়াইয়া রহিল । o বৌয়ের নবকিশোরকে দেখিয়া একগলা ঘোমটা টানিয়া সরিয়া দাড়াইয়া দুই মালতী