পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৪৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

HHN 渐 পঞ্চম সংখ্যা • রুদ্র বজাগ্নিরই নাম। বজ্র মেঘ হইতেই উৎপন্ন হয়। সুতরাং মেঘের নীলবর্ণ ও বজাগ্নির রক্তবর্ণ হইতেওঁ, রুদ্র বা শিবের নীললোহিত নাম উৎপন্ন হইতে পারে । অগ্নি প্রজ্বলিত হইলে ইহার শিখ হইতে যখন ধুম নির্গত হর তখন ধুমের কৃষ্ণবর্ণবশতঃ ইহার যোগে বেদে অগ্নি নীলকণ্ঠ” রূপে বর্ণিত হইয়াছেন। অগ্নি রক্তবর্ণ বলিয় তাহার নীলকণ্ঠ যোগে “নীললোহিত” নাম বিশেষরূপেই খাটে। অগ্নির ধূম্রময় রূপ হইতে শিব যেমন ‘নীলকণ্ঠ হইয়াছেন তেমনই র্তাহার রক্তবর্ণ রূপ হইতেও শিব 'নীললোহিত’ হইয়াছেন । এই প্রকারে যেরূপেই হউক অগ্নির বিকাশ বুলিয়াই যে শিবের নাম 'নীললোহিত হইয়াছে তাহ আমরা বুঝিতে পারিতেছি। নীললোহিত পূজা বসন্তকালে বিহিত হওয়ায় বসন্তের নীল, আকাশের সহিত রক্তবর্ণ অগ্নির যোগে শিবের নীললোহিত নামটা যে এই বিশেষ স্থলে বিশেষরূপেই উপযোগী হইয়াছে তাহাও আমবt পরিস্কার ভাবেই উপলব্ধি করিতে পারিতেছি। বসন্ত সমাগমে প্রকৃতিরূপে যেমন নবজীবনের সঞ্চার হয় জীব রাজ্যে তেমনই নবজীবনের সঞ্চার হয় । নৃত্যগীতাদি ইহারই ফল। নীললোহিত-পূজার নৃত্যগীতোৎসবে এই নবজীবনের ভাবই আমরা প্রতিফলিত দেখিতে পাই । বসন্তের সহিত এই প্রকারে কেবল যে মৃত্যগীতোৎসবেরই যোগ দেখা যায় তাহী নহে কিন্তু ইহাতে দোলা বা দোলন উৎসবের যোগও দেখা যায়। শব্দকল্পদ্রুমে লিখিত হইয়াছে বসন্তে বর্ণনীয়ানি যখ। — t “সুরভে দোল কোকিল মারুত সুৰ্য্যগতি তরুদলোদ্ভিদtঃ । চড়ক বা নীলপূজার মূলতত্ব 8ఆసి জাতীতর পুষ্পচয়াম্র মঞ্জরী ভ্রমর ঝঙ্কারীঃ ॥". ইতিশব্দকল্পক্রম ধূত কল্পলতায়াং প্রথমন্তবক ! বসন্ত ঋতুর বর্ণনীয় বিষয় যথা—“বসন্তকালে দোলা কোকিল স্বৰ্য্যগতি (উত্তরায়ণ গতি ), বৃক্ষের নবপত্র বিকাশ, জাতি ভিন্ন পুষ্প সকল, আম্রমুকুল, ভ্রমরঝঙ্কার ( বর্ণনীয় )।” পুবাণে মহাদেবেব ধ্যান ভঙ্গের যে অtখ্যান পাওয়া যায় তাহাতে আমরা বসন্ত ঋতুরই বিশেষ প্রভাব দেখিতে পাই १९ ६ “শঙ,ং সমাসাদ্য বিবিক্তরূপী। তন্থেী বসন্তং বিনিযোজ্য শৰৎ" কালিকাপুরাণ ৯ম অধ্যায়। “অনন্তর মদন শিবসমীপে গমনপুৰ্ব্বক বসন্তকে সতত নিযুক্ত রাখিয় প্রচ্ছন্ন রূপে অবস্থান করিতে লাগিলেন।” 斜 বসন্তের কামোত্তেজনা দ্বারা শিবের আসঙ্গ , স্পৃহা বলবতী হইলে তিনি দক্ষকস্তা সতীর সহিত পরিণীত হন। সতীব বর্ণ পুরাণে “মস্বণ নীলাঞ্জন শু্যাম” বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে— “মিন্ধ নীলাঞ্জন শুম শোভয়া শোভসে হর । দীক্ষায়ণ্যাযথাচাহং প্রতিলোম্যেন পদ্মশ্লা ৷” কালিকাপুরাণ ১১শ অধ্যায়। "মহেশ্বর । বর্ণবৈপরীত্যে আমি যেমন কমল৷ যোগে শোভা পাইতেছি, সেইরূপ তুমিও সেই ম্বিন্ধ নীলাঞ্জনগুমলী দ্বাক্ষায়ণীর সংসর্গে শোওঁ পাইতেছ। " দক্ষ একজন প্রজাপতি a তাহার নাম * বেদেও পাওয়া যায়। মুতরাং শিবের দক্ষ কন্ত বিবাহ আখ্যানটী যে বহু প্রাচীন তাহাই আমরা বুঝিতে পারিতেছি। এক্ষণে শিবের দক্ষকন্ত বিবাহটী প্রকৃত কি ব্যাপার তাহাই আমাদিগকে বুঝিতে হইবে। ইহা আমাদের নিকট উত্তরকুরুতে