পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৪৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Պe g শীতকালের ছয়মাস অস্তমিত থাকার পর বসন্তকালে.প্রথম স্বৰ্য্যোদয়ের রূপক বলিয়াই বোধ হয়। শীতকালে স্বৰ্য্য দক্ষিণায়ন গতিতে বিষুবরেখার নিম্নগামী হইয়া উত্তরকুরুতে সম্পূর্ণ অস্ত প্রাপ্ত হইলে আকাশ ভাগ হিমানী দ্বার সমাচ্ছন্ন হইয়া, সৰ্ব্বত্র অন্ধকার পরিব্যাপ্ত থাকিত বলিয়া তখন তথায় ইহার প্রকৃত বর্ণ দৃষ্টিগোচর হইতে পারিত না। স্বর্ঘ্যের পুনৰ্ব্বার উত্তরায়ণ গতির সঙ্গে সঙ্গে যখন শীতের পর বসন্তকালের আবির্ভাব হইতে থাকে তখন আকাশ হইতে নীহায়জাল অন্তৰ্হিত হইয়া আঁকাশ নিৰ্ম্মলতা প্রাপ্ত হয় ও স্বাভাবিক গাঢ় নীলবর্ণ ধারণ করে। চৈত্র মাসে আকাশ নিরস্তুর এইরূপই পরিচ্ছন্ন থাকে যে এমন কি রাত্রিতেও চন্দ্রকে • নীহারাচ্ছন্ন দেখিতে পাওয়া যায় না। তাই কালিদাস রঘুবংশে লিখিয়াছেন – "কাপ্যভিখ্য! তয়োরসীৎ ব্ৰজতোঃ শুদ্ধবেষয়োঃ । হিমনির্ভুক্তয়োর্যোগে চিত্রচন্দ্রমসোরিব।” এই সময়ে স্বৰ্য্য উত্তরায়ণ গতিতে বিষুবরেখায় আসিয়া উপস্থিত হইলে উত্তরকুরুতে তাহাকে শীতকালের ছয় মাসের পর প্রথম উদিত দেখা যাইত। বসন্তের সুনিৰ্ম্মল নীলাকাশে মরুণোদয় ইহাই শিবের সহিত সতীর পরিণয়। নীলবর্ণ আকাশ ও রক্তবর্ণ * প্রভাত স্বৰ্য্যেন্ন যে যুগল মিলন তাঁহাই “নীললোহিত” রূপ। এই প্রাকৃতিক ব্যাপারের দ্বারা পৌরাণিক শিবসতী পরিণয়ের ব্যাখ্যা করিলে আমরা অতি সুন্দর ব্যাখ্যাই প্রাপ্ত হইব। উত্তরকুরুতে শীতকালের অস্তমিত স্বৰ্য্যই ধ্যানস্তিমিত শিব। বসন্ত কালের সুনীল আকাশই সতী । বসন্ত ভারতীs g ভাদ্র, ১৩২৯ সমাগমৃে &াকাশের যে নিৰ্ম্মলত হইতে থাকে তাহাই সতীর জন্ম ও বৃদ্ধি। বসন্তের প্রাচুর্ভাবে স্বৰ্য্য যে ক্রমে বিষুবরেখার দিকে অগ্রসর হইতে থাকেন তাহাই বসন্তের প্রভাবে শিবের ধ্যানভঙ্গ ও তাহার সতী পরিণয়ের ব্যগ্রতা। - তৎপর বিষুবরেখায় সূৰ্য্য উপস্থিত হইয়া যে সুনীল গগনে রক্তবর্ণে প্রথম প্রকাশিত হন তাহাই সতীর পরিণয় এবং উভয়ের একত্র যোগই নীললোহিত মূৰ্ত্তি। এখানে নীললোহিতের আমরা যে ব্যাখ্যা করিয়াছি পু<াণেও যে এতদনুরূপ ব্যাখ্যাই পাওয়া যায় তাহ নিম্নোদ্ভূত স্কন্ধ পুরাণের নীললোহিত নামের নির্বাচন পাঠ করিলেই উপলব্ধি হইবে ং— “নীলং যেন মমাঙ্গস্তু রসক্তিং লোহিতং ত্বিষা। • নীললোহিত ইত্যেব ততোহহং পরিকীৰ্ত্তিত: ॥" বোম্বে মুদ্রিত ভানুজি দীক্ষিত টীকাসমন্বিত অমরকোষটপ্পনীধুত মুকুটটীকা। "যেহেতু আমর ੋਸ਼ अत्र धडांचांद्र। ८लांश्ऊिरु4 রঞ্জিত হইতেই আমি “নীললোহিত” বলিয়া পরিকীৰ্ত্তিত হইয়াছি।” এস্থলে নীলবর্ণ আকাশ প্রথমোদিত লোহিতবর্ণ স্বৰ্য্য কিরণের দ্বারা রক্তিমাভ হইলে যেরূপ হয়—সেই প্রকার রূপেরই যে বর্ণনা করা হইয়াছে তাহ স্পষ্টই বুঝিতে পারা যাইতেছে। ইহার সহিত পুরাণের সতীশিব সংযোগের বর্ণনা মিলাইলে অতি সুন্দর সাদৃশুই দেখিতে পাওয়া যাইবে – “হরস্ত পুরতোরেজে স্নিগ্ধভিন্নাঞ্চনপ্রভ । “ চন্দ্রাভ্যাসেহঙ্কলেখেব স্ফটিকোজ্জল বৰ্ম্মণ: " .১৮ কালিকাপুরাণ ১০ম অধ্যায়। “ক্ষটিকোজ্জল, মহাদেবের সমীপে সেই. স্নিগ্ধ