পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o: Pতার কী আ ১২৮৪ ) অত্বজ্ঞান কতদূর প্রামাণিক । ২১৩ -*-wow! | অক্ষরই ফুটে, শ্বেত বর্ণের অক্ষর ফুটে না । অভিব্যক্তির পক্ষে ভিন্নতাও যেমন চাই সমতাও তেমনি চাই । যদি "যমান কালে বর্ণ বা অন্য কোন বর্ণ এক ঠাই জোড়া-গাথা না হয় তাহা হইলেও তাহার অভিব্যক্তি সন্তবে না । শ্বেতবর্ণ হইতে, ভিন্ন কেবল নয় কিন্তু, সমভিন্ন ( অর্থাৎ সমান মাত্রায় ভিন্ন ) বর্ণ-নিচয়ের সমষ্টি ব্যতিরেকে, শ্বেত নয় এমন কোনও বর্ণের অভিব্যক্তি সন্তবে না। ক-খ এই রেখা যদি আত্যন্তিক ক্ষুদ্র হয় তবে তাহ প্রকাশ পাইতে পারে না। সম কৃষ্ণবর্ণ কিয়দংশ স্থানে পুঞ্জ ভূত না হইলে কৃষ্ণবর্ণ ক —খ রেখা ব্যক্ত হইতে পারে না । সঙ্গীতের সা রে গা মা কাহারো অবিদিত নাই ;–কতক মাত্র সময় ব্যাপিয়া স উচ্চারণ করিলে তবে তাহ স্বর-বিশেষ বলিয়া প্রকাশ পায়। পূর্বে যেরূপ শব্দ শ্রী ত হইতেছিল অথবা নিঃশব্দ তা অনুভূত হইতেছিল তাহা হইতে সমভিন্ন ( সমান মাত্রায় ভিন্ন ) স্বর বিশেষের সমষ্টি হইতে (যথা স আ আ আ ইহার সমষ্টি হইতে ) সা এই স্বর উৎপন্ন হয়। অতএব বিশেষ কোন কিছুর প্রকাশের জন্য প্রথম চাই ভিন্নতা, পরে চাই সমান-মাত্রায় ভিন্ন অনেকের সমতা, পরে চাই সেই সমভিন্ন অনেকের সমষ্টি । এই তিনটি না হইলেই নয়।

সৰ্ব্বাদিম অব্যক্ত একাকার ভাবস্বাক্টর পূর্বভাব-কিরূপ । প্রকাশ পাই তেছে এভাব । নহে—ঈশ্বরের ইচ্ছায়

ভবিষ্যতে প্রকাশ পাইতে পারে এই ভাবই -o জগৎস্থটির পূর্ব-ভাব। অত জটিলতায় কাজ কি—শুদ্ধ কেবল দিক উলটাইলেই পাওয়া যায় যে, আপেক্ষিক সত্যের সম্বন্ধে মূল সত্য যখন অদ্বৈত পূর্ণ এবং নিরবলম্ব স্বতন্ত্র, তখন তাহার সম্বন্ধে জগৎ বহুধা বিচিত্র অপূর্ণ এবং আশ্রিত হইবেই ত । যে বিষয় যত গভীর যত উৎকৃষ্ট তাহার আবির্ভাব ততই ক’ল সাপেক্ষ। জগৎ যেরূপ অতলস্পর্শ “গভীর রচনা”, তাহার প্রকাশ ও সেই রূপ অনন্ত-কাল ব্যাপী । কবি যদি অন্তঃকরণের সকল ভাব এককালেই প্রকাশ করিতে যান, তাহ হইলে সে ভাব ভাব | মাত্রই রহিয়া যায়, আবির্ভাবের সম্ভাবনা থাকে না । কবি আপনার মনের ভাব আ পাতত: অপ্রকাশ রাখিয়া ক্রমে ক্রমে প্রেকাশ করিলে তবেই তাহা কাব্যরূপে আবিভূত হয়। প্রকাশ হইয়াছে, অপ্রকাশ রহিয়াছে, এবং অপ্রকাশের মধ্য হইতে প্রকাশ হইবার উপক্রম হইতেছে, এই তিন অবস্থার উপর ভর করিয়া সমুদ্রায় প্রকৃতি গমাপথে অগ্রসর হইতেছে । ইহা দেখিয়াই বোধ হয় সাংখ্যদর্শন এইরূপ সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে, জগতের মূল উপাদান তিনটি মাত্র—একটি প্রকাশক, আর একটি প্রকাশের বাধাজনক, আর একটি চালক। প্রকাশক যেটি তাহার নাম সত্ব গুণ, বাধক যেটি তাহার নাম তমোগুণ, চালক যেটি (অর্থাৎ প্রকাশ হইতে অপ্রকাশে এবং অপ্রকাশ হইতে প্রকাশে লইয়া যায় যেটি) তাহার নাম রজোগুণ { আপাততঃ মনে হইতে পারে যে, সাংখা - --

|