পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

さ為8° তত্ত্বজ্ঞান কতদূর প্রামাণিক । (ভারতী অ ১২৮৪ { দর্শন চলিত অর্থেই গুণ শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন, কিন্তু তাহী নহে ; গুণ-শব্দে আত্মার fবন্ধন বুৰিতে হইবে ইহাই সাংখ্যদর্শনের অভিমত। প্রকাশ-ধৰ্ম্মী চলত্ব-ধৰ্ম্মী এবং আবরণ-ধৰ্ম্মী বস্তু ত্রয়ই গুণত্রয়-বলিয়া উক্ত হইয়াছে। ঐ মূল-বস্তু-তিনটির সম্যাবস্থাই প্রকৃতি । বৈষম্যাবস্থাই জগৎ । বিজ্ঞানের সিদ্ধান্ত এই যে, প্রত্যেক অ|| লোকচ্ছট সাতটি উপছটার সামাfবস্থা । সেই সাতটির মধ্যে তিনটি বিশুদ্ধ, তদ্ব্যতীত | আর যে চারিটি তাহাদের প্রত্যেকে উক্ত তিনটির ভিতরকার কোন একটির সহিত অপর কোনটির সন্মিশ্র-বিশেষ। অতএব,স্মক্ষম | ধরিতে গেলে এই রূপ দাড়ায় যে, প্রত্যেক ! অলোকছটা ঐ বিশুদ্ধ উপছটা-তিনটির সামাবস্থা। তিনটির মধ্যে একটি রক্ত বর্ণ, একটি পীতবর্ণ, অপরটি নীলবর্ণ। গীতবর্ণ সৰ্ব্বাপেক্ষা উজ্জল, রক্তবর্ণ মধ্য-বিধ | উজ্জ্বল, নীলবর্ণ অঙ্কুঞ্জল । পীতবর্ণকে মনে কর সত্ত্ব গুণ, | রক্তবর্ণকে রজোগুণ, নীলবৰ্ণকে তমো | গুণ , g স্থানাধিক মাত্রায় তিন মূল বর্ণের স৷ মিশ্র হইতে আর আর সমুদায় বর্ণ উৎপন্ন হইয়াছে। প্রকৃতিজাত বস্তু সকলকে মনে কর যেন সেই মিশ্রবর্ণ। প্রকৃতিজাত বস্তু মাত্রই হুন্যাধিক পরিমাণে সত্ত্ব রজঃ এবং তমঃ এই তিন গুণের সম্মিশ্র। সাংখা|দর্শনের নিরীশ্বরতা বাদ দিয়া তাহার উপ1 ब्रिडैङ भउ गनि मठा बलिग्ना ठश्५ कब्रा {যায়, তবে এই রূপ দাড়ায় যে স্বষ্টির পূর্বে বহুল-বিচিত্র মিশ্র বস্তু সমুদায়, কিম্বা তাহtদের মূল-গত ; সত্ব রজঃ তমঃ এই আদি-বস্তু-তিনটি, সাম্যাবস্থায় অবস্থিত | ছিল—মূল-প্রকৃতি রূপে ঈশ্বরের শক্তিতে তন্ময়ীভূত ছিল—তাহদের বহুত্ব একত্বে কেন্দ্রীভূত ছিল। ঈশ্বরেচ্ছায় প্রকৃতি ত্রি গুণসাম্য হইতে ত্রি গুণ-বৈষম্যে পরিণত হইয়। —অব্যক্ত ছিল ক্রমে ক্রমে ব্যক্ত হইল । আলোকের উপমা এখনো শেষ হয় নাই । আলোকের উপছুটা-তিনটির মধ্যে পীতবর্ণ সৰ্ব্বাপেক্ষ উজ্জ্বল, রক্তবর্ণ মধ্যবিধ উজ্জ্বল, এবং নীলবর্ণ অতুৰ্জ্জুল । ইহার ভাষান্তর এই যে, মূল যে উজ্জ্বল আলোকছটা—পীতবর্ণে তাহার সাদৃশ্য, রক্তবর্ণে তাহার অপভ্রংশ এবং নীলবর্ণে তাহার বৈপরীত্য লক্ষিত হইয়া থাকে। এ যেমন —তেমনি বলা যাইতে পারে যে, সন্তু গুণ ঈশ্বরের সদৃশ-আবির্ভাব, রজোগুণ কলুষিত আবির্ভাব, তমোগুণ বিসদৃশ আবির্ভাব । অতএব ঈশ্বরের নিকট-সাদৃশ্য দূর সাদৃশ। এবং বৈসাদৃশ্যই গুণ-ত্রয়-ভেদের পরিমাপক। তাৎপৰ্য্য এই যে, ঐশ্বরিক ভাবের প্রকাশক, বাধক, এবং সংক্রমিক তিন প্রকার বস্তুই জগতে আছে । ইহার কারণ এই যে ভিন্নত না থাকিলে কোন কিছুর অভিব্যক্তি সন্তবে না । ঈশ্বর যদি সৰ্ব্বতোভাবে প্রকাশ হন, তবে তিনি ভিন্ন অীর কিছুই প্রকাশ পায় না। ; ঈশ্বরের সে স্ব: প্রকাশ ভাবত আছেই, তদ্ভিন্ন আর একটি যে প্রকাশ-জগৎ-প্রকাশ--তাহাওঁ ওঁহি , রই প্রকাশ,কিন্তু তাহ বাধা-যুক্ত প্রকাশ