পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ভারতী অ ১২৮৪) - ভারতবর্ষীয় ইংরাজ i সুতরাং প্রত্যেকে আপন আপল শ্রমের ফল নির্বিঘ্নে উপভোগ করিতেছে। বাণিজ্য, I ব্যবসা বিস্তারে দেশের কিরূপ শ্ৰীবৃদ্ধি হই য়ছে। কত জঙ্গল পরিস্ক ত হইয়াছে— কত মরুভূমি তুল্যস্থান আবাদ হইয়াছে। লৌহ-পথ ও বাষ্পপোতের দ্বারা চলাচলের সুগম হইয়াছে। প্রবাসস্থ বন্ধুগণের নিকট হইতে পত্রাদি পাইবার কেমন সুযোগ— আকাশের তড়িৎ পৰ্য্যন্ত একাৰ্য্যে নিযুক্ত । আবার দেখ আমাদিগকে বিদ্যাদানে আমাদের রাজপুরুষের কেমন নিঃস্বার্থ যত্ন । আমাদের চক্ষু ফুটাইলে পাছে তাহাদের ভবিষ্যতে কোন হানি হয় ইহার প্রতি লক্ষ্য না করিয়া তাহারা অমাদিগকে বিদ্যাশিক্ষা দিবীর জন্য কত শত বিদ্যালয় স্থাপন করিয়াছেন । ধৰ্ম্মের উপর, সমাজের রীতিনীতির উপর তাহার। হস্তক্ষেপে বিরত । বুদ্ধি ও চিন্তা-শক্তির উপর কোন শৃঙ্খল নাই। এ রাজ্যে বাস করিয়া মন খুলিয়া আপনাদের মুখ দুঃখ প্রকাশ করিতে পারিতেছি। সৰ্ব্বসাধারণের হিতঞ্জনক রাজনিয়ম-প্রভাবে প্রত্যেকে আপন মনের স্ফৰ্ত্তিতে স্বচ্ছদে ইচ্ছামত কাৰ্য্য করিতে ও জগতের হিতসাধনে নিযুক্ত হইতে পারিতেছে। আর কি চাও? এত উপকার প্রাপ্ত হইয়াও তোমরা ইংরাজ-রাজ্যের বিপক্ষে লেখনী চালনা করিতে ক্ষান্ত মহ ? অার ইহাও যে করিতে পায় সে কেবল ইংরাজ । রাজ্যের অমুগ্রহে, তাহারা মনে করিলে भ्रष्ट्र তেঁর মধ্যে সমস্ত দেশীয় সংবাদপত্রের মুখবন্ধ | করিয়া দিতে পারেন। অতএব এই সকল - ךה উপকার স্মরণ করিয়া আমাদেব রাজপুরুয়দের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত।” । আমার অপর বন্ধু উত্তর করিলেন – “এই সকল যুক্তি আমাদের হৃদয়ঙ্গম হয় না। বিদেশীয় রাজার প্রতি রাজ-ভক্তি উদয় হওয়া সহজ নহে। তবে যদি তাহার স্বদেশীয় রাজার ন্যায় পিতৃ ভাবে শাসন করেন, তবেই তাহ সম্ভব, নচেৎ নয় । দেখ এই বিদেশীয়দিগের দ্বারা ভারতের যথাসৰ্ব্বস্ব অপহৃত হইতেছে কি না। বিলাতে এক গবর্ণমেণ্ট—এদেশে এক গবর্ণমেণ্ট—ওদিকে মন্ত্রীদল-পরিবেষ্টিত সেক্রেটরি অফুটেটু, এদিকে রাজ প্রতিনিধি গবর্ণর জেনেরল, গবর্ণর, লেফটনেন্ট গবর্ণর,কমিসনর প্রভৃতি অধিপতিগণ আমাদের দেশ হইতে কত কোটি কোটি টাকা লুটিয়া লইতেছেন। বিদেশীয় সৈন্য-রক্ষার জন্য কত ব্যয় হইতেছে। রাজপুরুষদের ধৰ্ম্মযাজকগণ হীদেন’ প্রজা-নিপীড়িত ধনকোষ হইতে অবাধে অর্থ সংগ্ৰহ করিতে কিছুই মনে করেন না । কত দিক দিয়া ভারতের রক্ত শোষণ হইতেছে তাহার ঠিকানা নাই। পিণ্ডারীদের উপদ্রব নাই সত্য বটে কিন্তু ! প্রজাগণের দারিদ্র্য-দিবন্ধন কটি তেমনি প্রবল। কত প্রকার রাজস্বের স্বষ্টি হই তেছে তাহার সীমা নাই। আমাদের উপর - যে ভূরি ভুরি আইন বর্ষণ হইতেছে তাহাতে আমাদের বাস্তবিক উপকার কি অপকার তাহ নির্ণয় করা মুকঠিন । সৰ্ব্বত্রই শুনা যায় যে, পূৰ্ব্বে আমাদের পরস্পর-ব্যবহারে যে সত্য ও সরলতা ছিল তাঙ্গ একালে তার }