পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ভারতী ့ချ် કરન્ટ) তখনি বালক-কবি ফুটিত প্রান্তরে, . দেখিত ধান্যের শিষ ছুলিছে পবনে । , দেখিত একাকী বসি গাছের তলায়, " স্বর্ণময় জলদের সোপানে সোপানে . উঠিছেন উষাদেবী হাসিয়া হাসিয়া । নিশ। তারে ঝিল্লীরবে পাড়াইত ঘুম, পূর্ণিমার চাদ তার মুখের উপরে তরল জোছনা-ধারা দিতেন ঢালিয়া, স্নেহময়ী মাত যথা সুপ্ত শিশুটির মুখ পানে চেয়ে চেয়ে করেন চুম্বন। প্রভাতের সমীরণে, বিহঙ্গের গানে উষা তার মুখ-নিন্দ্র দিতেন ভাঙ্গায়ে । এইরূপে কি একটি সঙ্গীতের মত, তপনের স্বর্ণময়-কিরণে প্লাবিত - - প্রমণতের একখানি মেঘের মতন, নন্দন বনের কোন অপসর-বালার সুখময় ঘুমঘোরে স্বপনের মত কবির বালক কাল হইল বিগত। যৌবনে যখনি কবি করিল প্রবেশ, প্রকৃতির গীতধ্বনি পাইল শুনিতে, বুঝিল সে প্রকৃতির নীরব কবিতা । প্রকৃতি আছিল তার সঙ্গিনীর মত।. নিজের মনের কথা যত কিছু ছিল, কহিত প্রকৃতি দেবী তার কানে কানে; প্রভাতের সমীরণ যথা চুপি চুপি কহে কুসুমের কানে মরম-বীরতা । নদীর মনের গান বালক যেমন বুঝিত, এমন আর কেহ বুঝিত না। বিহঙ্গ তাহার কাছে গাইত যেমন, এমন কাছারে কাছে গাইত না আর । কবি-কাহিনী । - るやりな তার কাছে সমীরণ যেমন বহিত এমন কাহারে কাছে বহিত না স্বার। যখনি রজনী-মুখ উজলিত শশী, । সুপ্ত বালিকার মত যখন বসুধা সুখের স্বপন দেখি হাসিত নীরবে ; বসিয়া তটিনী তীরে দেখিত সে কবি, স্নান করি জোছনায় উপরে হাসিছে। সুনীল আকাশ, হাসে নিয়ে স্রোতস্বিনী ; সহস্য সমীরণের পাইয়া পরশ দুয়েকটি ঢেউ কভু জাগিয়া উঠিছে; ভাবিত নদীর পালে চাহিয়া চাহিয়া, নিশাই কবিতা আর দিবাই বিজ্ঞান । দিবসের আলোকে সকলি অনাৱত, সকলি রয়েছে খোলা চখের সমুখে, ফুলের প্রত্যেক কাটা পাইবে দেখিতে। দিবালোকে চাও যদি বনভূমি পানে, কাটা খোচ কর্দমাক্ত বীভৎস জঙ্গল তোমার চখের পরে হবে প্রকাশিত ; দিবালোকে মনে হয় সমস্ত জগৎ নিয়মের যন্ত্র চক্রে ঘুরিছে ঘর্ঘর । কিন্তু কবি নিশাদেবী কি মোহন-মন্ত্র পড়ি দেয় সমুদয় জগতের পরে, সকলি দেখায় যেন রহস্যে পূরিত ; সমস্ত জগৎ যেন স্বপ্নের মতন ; ওই স্তব্ধ নদী-জলে চন্দ্রের আলোকে পিছলিয়া চলিতেছে যেমন তরণী, তেমনি সুনীল ওই আকাশ সলিলে ভাসিয়া চলেছে যেন সমস্ত জগৎ . সমস্ত ধরারে যেন দেখিয় নিঞ্জিত, } একাকী গম্ভীর কবি নিশাদেবী ধীরে . তারকার ফুলমাল জড়ায়ে মাথায়, } }