পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} ভারতী মা ১২৮৪) অর্ণধার সে পৰ্ব্বতের গহ্বর বিশাল ; তটিনীর কলধ্বনি, নিৰ্বরের বার ঝর আরণ্য বিহঙ্গদের স্বাধীন সঙ্গীত, পারে না পূরিতে তারা, বিশাল মনুষ্য হৃদি মানুষের মন চায় মানুষেরি মন ।” শুনিয়া প্রকৃতি দেবি, ভ্ৰমিল্প পৃথিবীময় কত লোক দিয়েছিল হৃদি উপহার— আমার মৰ্ম্মের গান, যবে গাহিতাম দেবী কত লোক কেঁদেছিল শুনিয়া সে গীত, তেমন মনের মত, মন পেলাম না দেবী আমার প্রাণের কথা বুঝিল না কেহ, তাইতে নিরাশ হোয়ে আবার এসেছি ফিরে বুঝি গো এ শূন্ত মন পুরিল না আর ” এইরূপ কেঁদে কেঁদে, কাননে কাননে কবি, একাকী আপন মনে করিত ভ্রমণ । সে শোক-সঙ্গীত শুনি, কঁাদিত কাননবালা, নিশীগিনী হাহা করি ফেলিত নিশ্বাস । বনের হরিণ গুলি, আকুল নয়নে আহ কবির মুখের পানে রহিত চাহিয়া । প্রতিধ্বনি হোতে তার কাননে কননে । শীর্ণ নিবরিণী যেথা, ঝরিতেছে মৃদু মৃদু উঠিতেছে কুলু কুলু জলের কল্লোল, সেখানে গাছের তলে একাকী বিষণ্ণ কবি নীরবে নয়ন মুদি থাকিত শুইয়া, তৃষিত হরিণ শিশু সলিল করিয়া পান দেখি তার মুখ পানে চলিয়া যাইত। শীতরাত্ৰে পৰ্ব্বতের তুষার শয্যার পরে বসিয়া রহিত স্তব্ধ প্রতিমার মত, মাথার উপরে তার পড়িত তুষার কণা তীব্রতম পীত বায়ু যাইত বহিয়। “হাহা দেবী একি হোলো,কেন পূরিলন প্রাণ” দিনে দিনে ভাবনায়, শীর্ণ হোরে গেল দেহ । প্রফুল্ল হৃদয় হ’ল বিষাদে মলিন, রাক্ষসী স্বপ্নের তরে, ঘুমালেও শাস্তি নাই পৃথিবী দেখিত কৰি শ্মশানের মত। এক দিন অপরাহ্লে, বিজন পথের প্রাস্তে কবি বৃক্ষতলে এক রয়েছে শুইয়া, পথ-শ্রমে শ্রান্ত দেহ, চিন্তায় আকুল হৃদি, বহিতেছে বিষাদের আকুল নিশ্বাস । হেনকালে ধীরি ধীরি, শিয়রের কাছে আসি দাড়াইল এক জন বনের বালিকা, চাহিয়া মুখের পানে, কহিল করুণ স্বরে "কে তুমি গো পথশ্রান্ত বিষগ্ন পথিক ? অধরে বিষাদ যেন, পেতেছে আসন তার নয়ন কহিছে যেন শোকের কাহিনী । তরুণ হৃদয় কেন, আমন বিষাদময় ? কি দুখে উদাস হেয়ে করিছ ভ্রমণ ?” গভীর নিশ্বাস ফেলি, গম্ভীরে কহিল কবি “প্রাণের শুষ্ঠত কেন ঘুচিল না বালা ?” একে একে কত কথা কহিল বালিকা কাছে, যত কথা রুদ্ধ ছিল হৃদয়ে কবির-- আগ্নেয় গিরির বুকে জলন্ত অগ্নির মত যত কথা ছিল কবি কহিলা গম্ভীরে । “নদ নদী গিরি গুহ, কত দেখিলাম তবু প্রাণের শূন্তত কেন ঘুচিল না দেবী " | বালার কপোল বাহি, নীরবে অশ্রুর বিন্দু , স্বর্গের শিশির সম পড়িল ঝরিয়া, . সেই এক অশ্রু বিদু, অমৃত ধারার মত | কবির হৃদয় গিয়া প্রবেশিল যেন | দেখি সে করুণ-বারি, নিরশ্র কবির চোখে । কত দিন পরে হল অশ্রুর উদয়ণ, । প্রাপ্ত হৃদয়ের তরে, যে আশ্রয় খুঁজে श्रृंम ‘. . .