পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

淞 రీvoy প্রকৃত শিক্ষাপ্রণালী । (ভারতী ফ| ১২৮৪ কিছুমাত্র দৃষ্টি না রাখিয়া স্বল্পকালমধ্যে বহুতর বিষয়ে শিক্ষিত করিবার দূরাকজায় বালকগণকে অনবরত পাঠাভ্যাসে নিযুক্ত রাখেন। কিন্তু এই প্রকার শিক্ষায় প্রকৃত উন্নতি কদাপি হয় না। বরং তাহাতে যে সমূহ অনিটের উৎপত্তি হয় তাহ পশ্চাতে প্রতিপাদিত হইবে । অতএব স্বাভাবিক শক্তি-অনুসারে শিশুগণের স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধিরতি যে পরিমাণে বিকশিত হইতে থাকিবে সেই পরিমাণে তাহদের বুদ্ধির উপযোগী জ্ঞানশিক্ষা দেওয়া কৰ্ত্তব্য । এই সম্বন্ধে কএকটি নিয়মের প্রতি দৃষ্টি রাখিতে হইবে । প্রথমতঃ–শিশুগণকে কোন সাধারণ বিধি বা সাধারণ তত্ত্ব-সম্বন্ধে শিক্ষা প্রদান করিবার অগ্ৰে বিশেষ দৃষ্টান্ত সকল ত{হাদিগকে দেখাইতে ও বুঝাইয়া দিতে হইবে । তৎপরে সেই সকল দৃস্টান্ত হইতে সাধারণ বিধি যে প্রকারে প্রাপ্ত হু ওয়া গিয়াছে তাহী ক্রমে তাহদের মধ্যে উদ্‌ভাবিত করিয়া দিতে হুইবে । এইটি শিক্ষা প্রদানের স্বাভাবিক প্রণালী । লোকে যেমন অগ্ৰে বিশেষ বিশেষ ঘটনা বা বিশেষ বিশেষ বস্তু সকল পরীক্ষা করিয়া পরে চিন্তা ও সংকলন-শক্তির বলে সেই সকল ঘটনা বা বস্তু সমূহের পরস্পর সাদৃশ্য লক্ষ্য করিয়া তৎ-তৎসম্বন্ধে সাধারণ বিধি সকলের ত্যাবিস্কার করিয়া থাকে, সেই প্রণালীতে শিশুগণের উপদেশ প্রদান করিতে পারিলে বাস্তবিক স্থায়ী ফল ও উপকার সাধন হয়। } অনেকে মনে করেন যে সাধারণ বিধি বা তত্ত্ব সকল অম্প কথায় ব্যক্ত হয় বলিয়া বালকগণ তাহ অনায়াসে শিখিতে ও মনো মধ্যে ধারণ করিতে পারে, সুতরাং তাঁহাই । অগ্ৰে শিখান উচিত। কিন্তু এই প্রণালী প্রকৃত জ্ঞানের পথ নহে । গণ অনেক সময়ে কতকগুলি শবদমাত্র শিক্ষা করে, প্রকৃত জ্ঞানের পরিচয় প্রাপ্ত হয় না | দ্বিতীয়তঃ–শিশুগণ যে সকল শব্দ তাভ্যাস করিবে তাহা যেযে বস্তু বা বিষয়ের প্রকাশক তৎতং বস্তু ও বিষয়গুলি তাহারা স্পষ্টরূপে যাহাতে উপলব্ধি করিতে পারে এ প্রকার যত্ব নিয়তই করিতে হইবে । এই বিষয়ের প্রতি সবিশেষ লক্ষ্য না করা । ঙ্গেই শিশুগণের শিক্ষর সমূহ ব্যাঘাৎ জন্মিয় থাকে অনেক স্থলে কেবল শিক্ষ কের অনবধানত বা অবহেলা-প্রযুক্ত কেবল কতক গুলি নীরস শব্দাবলী মাত্র কণ্ঠস্থ করাই শিশুদিগের পাঠাভ্যাসের কার্য্য হষ্টয় পড়ে, কিন্তু এ প্রকার অভ্যাসে সহজই মনোভিনিবেশ হওয়া কঠিন। সুতরাং বালকগণ পাঠে ভঙ্গ দেয়, এবং এপ্রকার শিক্ষায় তাহীদের সহজেই বিতৃষ্ণ জন্মে । な

তানাসক্ত বলিয়। বালকগণকে শাসন প্ররক্ত হন । কিন্তু এস্থলে প্রকৃত পক্ষে শিক্ষকেরই দোষ, বালকের নহে । শিশুগণের ক্ষুদ্র বুদ্ধি যে পর্য্যন্ত পরিচালিত হইতে পারে সেই সীমার মধ্যে অনেক বিষয় আছে যাহাতে তাহাদিগকে সমূহ উপকার-জনক শিক্ষা প্রদান করা যাইতে তাহাতে শিশু ইহার নিগূঢ় ভাব না বুঝিয়া পাঠা ।