&bo ধীগু অনেক সময় গল্পেরচ্ছলে উপদেশ প্রদান করিতেন । তাহার মধ্যে অপব্যয়ী" পুত্রের গল্পটি অতি উৎকৃষ্ট । কোন ধনশালী ব্যক্তির দুই পুত্র ছিল। কনিষ্ঠ পুত্র ভ্রাতৃদ্বয়ের মধ্যে বিষয় বিভাগ করিয়া দিবার জন্ত পিতাকে অনুরোধ করে। পিতা উভয়ের মধ্যে সম্পত্তি ৰিভাগ করিয়া দেন। কনিষ্ঠ সম্পত্তি প্রাপ্ত• হইয়া কিছু উশৃঙ্খল হইয়া পড়িল । পিতার অধীনে থাকিতে সন্মত হইল না । পিতার বাট পরিত্যাগ করিয়া বহির্গত হইল, এবং কোন দূরদেশে গিয়া অসৎসঙ্গে মিশিয়া, অসৎ কার্য্যে লিপ্ত হুইয়া, পিতা-প্রদত্ত সকল ধনই নষ্ট করিয়া ফেলিল। ধনীর সন্তান তখন পথের ভিখারী হইয়া অন্নাভাবে কোন শূকর ব্যবসারীর শূকর চরাইবার ভার গ্রহণ করিল। সীহুদি জাতির মধ্যে একাৰ্য্য অতি নিকৃষ্ট কৰ্ম্ম বলিয়া বিবেচিত হইত। বিপথগামী পুত্র অপকৃষ্ট কার্য্য গ্রহণ করিয়া ও, উপযুক্তরূপে অন্নবস্ত্র প্রাপ্ত হইত না । অন্না ভাবে তাহার শরীর শীর্ণ হইতে লাগিল। এই নিদারুণ কষ্টের মধ্যে মনের দুঃখে গৃহত্যাগী পুত্র একদিন নির্জনে বসিয়া এইরূপ ভাবিতে লাগিল, হায়! আমার পিতা ধনী, আমার বাড়ীতে কত দাসদাসী কাৰ্য্য করিতেছে, আমি এমন পিতার সন্তান হইয়া আজ শূকর চন্নাইয়tও ক্ষুধানিবৃত্তি করিতে পারিলাম না । এই আত্মগ্লানিতে তাহার অন্তর যেন জলিয়া উঠিল। পিতার অবাধ হইয়া বিপথগামী হওয়াতেই যে তাহার এই শাস্তি তাহ সে তখন বুঝিতে পারিল ; এবং মনের ক্লেশ পিতাকে জানাইর অপরাধের জন্ত ক্ষমা প্রার্থনা করিবে दणिब्रां निछ शृंtश्ञ निष्क अ&न्ब्र श्हेन। १िऊ ভারতী । আষাঢ়; ১৩১৮ পূৰ্ব্ব হইতে সন্তানের আগমন বাৰ্ত্ত শুনিয়া, বহুদিন পরে পুল্লমুখ দেখিবার জন্ত বাটী হইতে কিছু দূর অগ্রসর হইলেন । দূর হইতে সন্তানকে আসিতে দেখিয়া, তিনি দ্রুতপদে অগ্রসর হইয়া পুত্রের বাক্য ফুরণের পূৰ্ব্বেই দুইহাতে সস্তানের কণ্ঠ জড়াইয়া ধরিলেন ; উভয়ের চক্ষের জল একসঙ্গে মিশিয়া উভয়ের বক্ষস্থল ভিজাইয়া ফেলিল ; পুত্র গৃহে আসিল । পিতা, পুত্রের জন্ত দাসদাসীদিগকে পরিচ্ছদ আনিতে বলিলেন, এবং তাহার আগমনের জন্ত সেদিন রাত্রিতে প্রতিভোজনের আয়োজন করিতে আদেশ প্রদান করিলেন। যীশু অনেক অলৌকিক কাৰ্য্য করিয়াছিলেন ব’লয়। কথিত আছে ; ইহাতে আমরা ধিস্মিত নহি, কেন না এরূপ ঘটনা আমরা আদৌ অসম্ভব বিবেচনা করি না । মনের উপর আর আধিপত্য বিস্তারের কথা একজনের শরীর এক জলের ভারত মে মুনি নছে । অতিরিক্ত জড়বাদী পাশ্চাত্য জগতেও এই আধ্যাত্মিক বা ইচ্ছ শক্তির প্রভাবের কার্য্য অনেকে প্রত্যক্ষ করিতেছেন, এবং ভারতের অধ্যাত্মভাবাপন্ন ব্যক্তির পূৰ্ব্বে যে শক্তিসঞ্চারের কথা প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন, আজ প্রতীচী জগতে র্যাহার প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে উচ্চস্থান গ্রহণ করিয়াছেন, তাহার এই শক্তি পরি চালনের কায্য প্রত্যক্ষ করিয়া, অধ্যায় শক্তিরই জয় ঘোষণা করিতেছেন । এই মহাপুরুষ কাৰ্য্য করিতে করিতে শত্রুদিগের চক্রাস্তে পতিত হইলেন । আগন বিপদ বুঝিতে পারিয়া তিনি অদুরস্থিত নিতৰ গেথসিমান উস্তানে গমন করেন। অন্তকা
পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/২৫৩
অবয়ব