পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়। অলিকসন্দর, কোন স্থান দিয়া সিন্ধুনদ উত্তীর্ণ হইয়াছিলেন ; বর্তমানকালে তাহ নিশ্চয় করিয়া বল। বড় সামান্য কথা নহে । কেহ বলেন বর্তমান আটকের নিয়ে তিনি সসৈন্তে সিন্ধুর পর পারে গমন করিয়াছিলেন । এ স্থান অত্যন্ত সংকীর্ণ, এমন কি সন্তরণ পূর্বক পরপারে গমন করা নিতান্ত কঠিন নহে। কিন্তু যদি কেহ দৃঢ়তাসহকারে, এ স্থান হইতে শক্রর আগমন রোধ করিবার জন্য উপর হইতে প্রস্তর নিক্ষেপ করিয়া বাধা প্রদান করেন ; তাহ হইলে সে বাধা অতিক্রম করিয়া ইহার তটে উঠা অত্যন্ত কঠিন হইয়া উঠে। পরবর্তীকালে মুসলমানরা, এই স্থানে সিন্ধু পার হইয়া ভারতবর্ষ আক্রমণ করিয়াছিলেন । অপর কানিংহাম প্রভূতি বলেন, প্রাচীন উদভাণ্ডপুর বর্তমান ওহিন্দ নামক স্থানে মেসিদনপতি সিন্ধুনদ অতিক্রম করেন । অলিকসন্দর সিন্ধুতটে আসিয়া দেখিলেন, হিপাস্তিয়ন নৌসেতু প্রস্তুত করিয়া তাহার আগমন অপেক্ষা করিতেছেন । নৌসেতু ব্যতীত তিনি বহুসংখ্যক ক্ষুদ্র নৌকা এবং দুইখানি ৩০ দাড়ের বৃহৎ নৌকা প্রস্তুত করিয়াছিলেন । ইচ্ছ।অনুরূপ কাৰ্য্য সম্পন্ন ইওয়াতে অলিকসন্দর অত্যন্ত প্রীত হইয়াছিলেন । অলিকসন্দরের কৃপণভিখারী, তক্ষশিলার অধীশ্বর অস্তি, মেসিদনাধিপের , করুণাকণা পাইবার সুযোগ, অবহেলায় নষ্ট করেন নাই। তাহারা সিন্ধুতটে আসিবার পূৰ্ব্বেই, তিনি দুইশত রজত টালান্ট,ষ্টিন হাজার মেদ সম্পন্ন বৃষ, দশহাজারুমেষ, প্রেরণ করিয়া অলিকসন্দরের সৎকার করেন । কিছুদিন পূৰ্ব্বে আম্ভির