পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে অলিকসন্দর والان আমরা দেখিতে পাই । ভোজন বিশৃঙ্খলাতে নানাপ্রকার নূতন নুতন রোগের স্থষ্টি হইতেছে, এ কথা বেশী করিয়া বলা বাহুল্য ; যেহেতু আমরা চক্ষের উপর তাহ দেখিতে পাইতেছি। এই জন্যই সমাজ রক্ষকেরা, আমাদের সমাজ রক্ষা করিবার জন্য, অখাদ্য ভোজীকে নিগৃহীত করিতেন, তেমন তেমন হইলে, তাহাকে সমাজ হইতে বিদূরিত করিয়া দিতেন। এরূপ রোগের ইহাই বিজ্ঞান অনুমোদিত চিকিৎসা। আজকাল অতিভোজী ইয়ুরোপীয়দের র্যাহারা অনুকরণ করেন, র্তাহাদের কাছে এই সকল চিকিৎসকের অজ্ঞ, স্বার্থপর, প্রভৃতি বিশেষণে বিভূষিত হইয়া থাকেন । 疇 সেকালের গ্রীকের আমাদের পূৰ্ব্বজগণকে পরিমিত ভোজী দেখিয়াছিলেন। সেকালে তণ্ডলের ব্যবহার বেশী ছিল, মদ্য, মাংস ও মৎসের একেবারে প্রচার ছিল না এরূপ নহে । বর্তমান কালের ন্যায় অধিকাংশ ভারতবাসী ইহা ব্যবহার করিতেন না, যাহার। ইহা ব্যবহার করিতেন না, তাহার। প্রশংসিত হইতেন । আমাদের বালকগণ যাহাতে বাল্যকাল হইতে খাদ্যাখাদ্য বুঝিয়৷ পথ্য, সুপাচ্য, দ্রব্য খাইতে শিক্ষিত হয়, সে বিষয় আমাদের জাতীয় শিক্ষাপরিষদেয় দৃষ্ট পড়া উচিত। সেকালে সকলেই আপন আপন বর্ণ অনুসারে শিক্ষণ প্রাপ্ত হইতেন। যাহাতে না বংশ মধ্যে ব্রহ্মবন্ধু জন্মগ্রহণ করে, সে জন্য ব্রাহ্মণের ভগবানের কাছে সৰ্ব্বদা প্রার্থনা করিতেন। ইহাতেই বুঝা যায় সেকালে আমাদের দেশে কিরূপ লেখাপড়ার প্রচার ছিল। লেখা সম্বন্ধে ইয়ুরোপীয় পণ্ডিত এবং আমাদের দেশী তাঁহাদের,শিষ্যগণ বলেন, বিদেশীদের নিকট হইতে