পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিখার প্রচলন কি ছিল না ? ৩১৯ আমরা লিখন প্রণালী অবগত হইয়াছি ! গ্রীক মেগাস্থিনিস, "চন্দ্রগুপ্তের সৈনিকগণ মধ্যে লিখিত নিয়ম কিছু নাই,” এই কথা উল্লেখ করিয়াছেন । এইরূপ কথার উপর নির্ভর করিয়া, অনেকে বলেন, আমাদের সেকালে লিপিজ্ঞান ছিল না, ইহা আমরা অন্য জাতির কাছে শিক্ষা করিয়াছি । এ কথার উপর বিশ্বাস স্থাপন করিতে আমাদের প্রবৃত্তি হয় না । অলিক সন্দরের অন্যতম সেনানী নিয়ার্কস, কাপড়ের উপর লেখার কথা উল্লেখ করিয়াছেন ; মেগস্থিনিস ও ক্রোশ জ্ঞাপক শিলালিপির কথা প্রকাশ করিয়াছেন। এ সকল ব্যতীত আমাদের মকু, যাজ্ঞবল্ক, প্রভৃতি র্তাহাদের সংহিতায়, লিখার কথা বহুবার উল্লেখ করিয়াছেন। ভগবান বিষ্ণু স্বীয় সংহিতায়, পুস্তক অবিভাজ্য, এ কথা স্পষ্ট করিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। বেদ মন্ত্রাত্মক, ইহা গুরুমুখ হইতে অনুশ্রত হইত বলিয়া ইহা শ্রীতিনামে অভিহিত হয়। ইয়ুরোপীয় পণ্ডিত মহাশয়েরা,এই শ্রুতি শব্দ দেখিয় স্থির করিলেন, আমরা লিখিতে জামিতাম না। ব্যাকরণ, জ্যোতিষ, প্রভৃতি বেদের অঙ্গ কখন শ্রুতিনামে অভিহিত হয় নাই। এ সকল বিষয় খৃষ্টজন্মের বহুসহস্র শতাব্দীপূৰ্ব্বে আমাদের ভারতবর্ষে উৎকর্ষতালাভ করিয়া ছিল। ব্রহ্মা, আয়ুৰ্ব্বেদ সম্বন্ধে লক্ষ শ্লেীকাত্মক একখানি গ্রন্থ রচনা করেন। লিখার প্রচলন না থাকিলে গ্রন্থ রচনা সম্পূর্ণ অসম্ভব । অনেকে, মুখে মুখে রাশী রাশী গ্রন্থ রক্ষা করা কল্পনা করিয়া থাকেন, তথাসি ও লিপি কল্পনা করিতে র্তাহাদের কষ্ট বোধ হইয়া থাকে! ব্রাহ্মণ,'যাহাতে গোলাম না হইয়া ব্রাহ্মণ হুন, সে বিষয় সমাজ, সাধ্যানুসারে চেষ্টা করিতেন, ব্রাহ্মঃ ব্রাহ্মণ হইলে 4