স্বামী, বিবেকানন্দ । ∂ዓ তিনি অত্যন্ত বিরক্ত হইয়াছিলেন বটে ; কিন্তু সাধারণ নীতিকে মানিয়া না চলা যে ঘোরতর অপরাধ ও পাপ, ইহা তিনি বিশ্বাস না করিয়া থাকিতে পারিতেন না। ব্যবহারিক জীবনের বিশুদ্ধতা রক্ষা করিবার জন্য তিনি বদ্ধপরিকর হইয়াছিলেন । হৃদয়ের নির্দেশকে । তিনি। উপেক্ষা করিতে পারিতেন না। হৃদয়বৃত্তির প্রেরণার ফলে তিনি সেই সময় হইতেই কঠোর ব্রহ্মচৰ্য্য পালন করিতে লাগিলেন । ভোগ-বিলাসে অনাস্থা, বিধবার ন্যায় শুভ্ৰবস্ত্ৰ পরিধান, ভূমি-শয্যায় শয়ন প্রভৃতি অনুষ্ঠানে তিনি সংযমের পরিচয় দিতে লাগিলেন । হৃদয়ের মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে ত্যাগের প্রবাহ ভরিয়া উঠিতে লাগিল, সে প্রবাহের গতিরোধে তিনি বিন্দুমাত্র বাধা দিলেন না । 臀 শৈশবকাল হইতেই নরেন্দ্ৰনাথ ধ্যান-ধারণার অনুরাগী ছিলেন । ধ্যানমগ্ন অবস্থায় কখনও কখনও সমস্ত রাত্ৰিই অতিবাহিত হইত। নিজের বাড়ী বহু লোকসমাগমে সর্বদা কোলাহল মুখরিত থাকিত, বলিয়া তিনি নিকটবৰ্ত্তী একটি নির্জন বাড়ীর ক্ষুদ্র দ্বিতল কক্ষে একাকী বাস করিতেন । নির্জনে পাঠাভ্যাসের বিশেষ সুবিধা হইত। দৈনিক পাঠ যতক্ষণ না আয়ত্ত হইত, তাবৎ সে কক্ষ ত্যাগ করিতেন না। ঘরের ভিতর পড়িতে বসিয়া পায়ে দড়ী বাধিয়া রাখিতেন। নিদ্ৰাকর্ষণ হইলে পায়ের দড়ীতে টান পড়িত, আমনই ঘুম ভাঙ্গিয়া যাইত। এ কক্ষে বিলাসিতার কোনও বস্তু ছিল না। একখানি কম্বল মাত্র তাহার শয়নের শয্যা। তিনি নিরামিষ আহার করিতেন । ነ ጴ নরেন্দ্ৰনাথ যে বৎসর এফ-এ পরীক্ষা দেন, পরমহংসদেবের সহিত সেইবার তঁহার প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে। পরমহংসদেবের এক শিষ্য সুরেন্দ্ৰনাথ মিত্র; নরেন্দ্রনাথের পল্লীতেই তাঁহার বাস। তঁহার ܘ