পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ ܕܶ ܬ ই ? মাই। একবার তাহার মনে হইল, ভগবান ভগবান করিয়া বোধ হয় ব্ৰাহ্মণের মস্তিষ্ক-বিকৃতি ঘটিয়াছে। যাহা হউক, নরেন্দ্রনাথ পরমহংসদেব সম্বন্ধে একটা ভাল ধারণা করিয়া সে যাত্ৰা গৃহে ফিরিলেন। , , এই ঘটনার পর হইতে তিনি মাঝে মাঝে পরমহংসদেবের নিকট যাতায়াত আরম্ভ করিয়া দিলেন। ঠাকুর তাঁহাকে পরম স্নেহে ও আদরে আহবান করিতেন, কাছে বসাইয়া গান শুনিতেন এবং নির্জনে অনেক কথা বলিতেন। নরেন্দ্ৰনাথ এ সময়ে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়া সমাজে গিয়া নিয়মিত ধান-ধারণা করিতেন। পৌত্তলিকতার উপরও তঁহার বিশ্বাস তখন আদৌ ছিল না। একদিন তিনি তঁহার অন্যতম সহচর রাখালচন্দ্ৰ ঘোষকে ( পরে স্বামী ব্ৰহ্মানন্দ ) কালী-প্ৰণাম করিতে দেখিয়া তেঁাহাকে মিথ্যাবাদী বলিয়া তিরস্কার করেন। কারণ, রাখালচন্দ্ৰ তাছার ন্যায় ব্ৰাহ্মসমাজের প্ৰেতিজ্ঞাপত্রে স্বাক্ষর করিয়া নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনা করিতেন । ইহাতে ঠাকুর রামকৃষ্ণ নরেন্দ্রনাথকে বলেন যে, “ওর যদি সাকারে ভক্তি থাকে, তা হ’লে ও কি কবৃবে ? তোমার ভাল না লাগে, তুমি করে। না। কিন্তু অন্যকে বাধা দিবার তোমার কিৎহ্মধিকার আছে ?” હરે ব্যাপারে বুঝা যায় যে, নরেন্দ্রনাথের আন্তরিকতা কতই গভীর। তিনি ধখনই যাহা করিতেন, গভীর আন্তরিকতা সহকারে, কায়মনোবাক্যে তাই मोंक्षम যত্নবান থাকিতেন। এই ঘটনা হইতেই ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের প্রতি তখন তঁহার গভীর শ্ৰদ্ধার পরিচয় পাওয়া যায় । নরেন্দ্রনাথ নিরাকার ধ্যানেরই ভক্ত ছিলেন। পরমহংসদেবও তাঁহাকে সেই ভাবেরই উপদেশ দিতেন। জোর করিয়া সাকার উপাসনায় বিশ্বাস করাইবার চেষ্টা শুর্তাহার ছিল না ; ব্ৰাহ্ম-সমাজে যাইতেও তঁহাকে নিষেধ করেন। नाई । ঠাকুর রামকৃষ্ণের প্রথমাবধিই ধারণা জন্মিয়ছিল যে,