”স্বামী বিবেকানন্দ । እ © b হৃদয় বিচলিত হইয়াছিল। তবে ব্রাহ্মসমাজের নেতৃবৃন্দ সংস্কারের যে উপায় ও পথের নির্দেশ করিতেছিলেন, নরেন্দ্রনাথের মত ও উপায় তাহার সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি বিনাশমূলক সংস্কার অপেক্ষা গঠনমূলক সংস্কারেরই পক্ষপাতী। অন্তরে অন্তরে তিনি আপনাকে হিন্দু বলিয়াই বিশ্বাস করিতেন, তবে সমাজের বর্তমান সংকীর্ণতার পক্ষপাতী ছিলেন না। উদাবি হিন্দুধৰ্ম্মের মধ্যে কালধৰ্ম্মের প্রভাবে যে সকল সংকীর্ণতা ক্ৰমে আসিয়া পড়িঙ্গাছে, তাহার সংস্কার করিয়া জাতীয়ভাবে দেশবাসীকে উদবুদ্ধ করিয়ু তুলিবার কল্পনা তঁহার মনের মধ্যে প্রবল হইয়া gशिांछिल । ব্ৰাহ্ম-সমাজের প্রধান নেতৃবৃন্দের মধ্যে কেশবচন্দ্ৰ, প্ৰতাপচন্দ্ৰ, চিরঞ্জীব বাবু প্ৰভৃতি প্ৰসিদ্ধ প্ৰসিদ্ধ ব্ৰাহ্মগণ ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের নিকট তত্ত্বকথা শুনিতে গিয়া অনেকাংশে তাহদের ধৰ্ম্মমতকে পরিবৰ্ত্তিত করিয়া আনিয়াছিলেন । বহু মনীষী ব্রাহ্ম সে সময় দক্ষিণেশ্বরে গিয়া ঠাকুরের নিকট বসিয়া ধৰ্ম্মের সূক্ষ্ম তত্ত্বকথা শুনিতেন। এইরূপে ধৰ্ম্মকথা আলোচনা করিতে করিতে বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী মহোদয়ও যখন পূৰ্ব-অবলম্বিত ধৰ্ম্মমত পরিত্যাগ করিয়া ব্ৰাহ্ম-সমাজের সকল বন্ধন ছেদন পূর্বক পুনরায় হিন্দুধৰ্ম্মে আশ্ৰয় । গ্রহণ করিলেন, তখন পণ্ডিত শিবনাথ শান্ত্রি-প্রমুখ ব্ৰাহ্মনেতৃগণ মনে মুনে প্ৰমাদ গণিলেন। তঁহারা তখন ব্ৰাহ্ম-সমাজস্থ সকলকেই বুঝাইয়া দিলেন যে, দক্ষিণেশ্বরে যাওয়া নিরাপদ নহে। শাস্ত্রী মহোদয় নরেন্দ্রনাথকেও বুঝাইলেন যে, " ভাবসমাধি প্ৰভৃতি কিছুই ফলপ্ৰসু নহে। - অতিরিক্ত দৈহিক কঠোরতা অবলম্বন করাতে পরমহংসদেবের মস্তিষ্ক-বিকৃতি ঘটয়াছে। স্নায়বিক দুৰ্বলতার জন্যই ভাবসমাধি বা মূৰ্ছা হইয়া থাকে। নরেন্দ্রনাথ, নীরবে শ্বাস্ত্রী মহাশয়ের কথা শুনিলেন বটে, কিন্তু তঁহার