পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

» መb” ভারত-প্ৰতিভা সংসার চালাইবার জন্য দিন। কয়েক নরেন্দ্রনাথ “ফ্রি মেশন” । দলে মিশিয়াছিলেন, কয়েক মাস বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্কুলে শিক্ষকতাও করিয়াছিলেন। কিন্তু তাহাতে বিশেষ সুবিধা না হওয়ায় উহা পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হন। বিবাহ কৰিলে নরেন্দ্রনাথ অনায়াসে সংসারের দারিদ্র্যকে কিয়ৎপরিমাণে জয় করিতে পারিতেন ; কিন্তু সে দিকে তিনি ভ্ৰমেও মন দিলেন। না। জ্ঞাতিদিগের মধ্যে যিনি তঁহাকে ভদ্রাসনচ্যুত করিবার জন্য মোকদ্দমা করিতেছিলেন, আপোসে। তঁহার সহিত নিম্পত্তি করিবার জন্য নরেন্দ্রনাথ প্রথমতঃ চেষ্টার ত্রুটি করেন নাই, কিন্তু জ্ঞাতির লুব্ধদৃষ্টি যখন কিছুতেই তৃপ্ত হইবার নহে বুঝিলেন, তখন আহত সিংহের ন্যায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি দাড়াইলেন। অনেকদিন ধরিয়া মোকদ্দমা চলিয়াছিল, ঠাকুর রামকৃষ্ণের জীবদ্দশায় আরম্ভ হইয়া তাহার তিরোভাবের পরও কিছুকাল মোকদ্দমা হইতে থাকে। পরিণামে বিশ্বনাথ বাবুর পরিবারবর্গের তাহাতে কিছু সুবিধা হইয়াছিল বটে, কিন্তু খরচার দায়ে তাহারা সৰ্ব্বস্বান্ত হইয়াছিলেন । দারিদ্র্যদুঃখে নিপীড়িত হইয়া একদিন নরেন্দ্ৰনাথ পরমহংসদেবের শরণাপন্ন হন। তঁহার বিশ্বাস ছিল, শ্ৰীরামকৃষ্ণ ইচ্ছা করিলেই একটা উপায় করিয়া দিতে পারেন। ঠাকুরের নিকট উপস্থিত হইয়া তিনি ধরিয়া বসিলেন, একটা উপায় তঁহাকে করিয়া দিতেই হইবে, সাংসারিক দুঃখ অসহ্য হইয়া উঠিয়াছে। পরমহংসদেব বলিলেন, “টাকা পয়সার জন্য আমি । মাকে বলতে পারবো না। তুই নিজে গিয়ে মাকে বল |” নরেন্দ্রনাথ ; তাহাতে সম্মত হইলেন না। তিনি চিরদিন নিরাকারবাদী। দেবদেবীতে তাহার বিশ্বাস ছিল না। কিন্তু যখন পরমহংসদেব দৃঢ়তার সহিত বলিলেন,