পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शiभी विदकानन । 3 গুরুদেব-সন্নিধানে আগমন করিলে শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণ তঁহাকে বলিয়াছিলেন, “কেমন, মা তোকে ত আজি সব দেখিয়ে দিলেন ? " চাবী - কিন্তু আমার কাছে রইল। এখন তোকে কাজ করতে হবে। যখন আমার কাজ শেষ হবে, তখন আবার চাবী খুলে দেব।” নরেন্দ্রনাথের ধানের অবস্থা এখন সম্পূর্ণতা লাভ করিয়াছিল। একদিন সুপ্ৰসিদ্ধ নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ও নরেন্দ্রনাথ উভয়ে এক বৃক্ষতলে ধানে বসিয়াছিলেন। মাশকের ভীষণ উৎপাতে গিরিশচন্দ্ৰ চিত্ত স্থির করিতে। না পারিয়া চাহিয়া দেখিলেন, নরেন্দ্ৰনাথ সমাধিমগ্ন। তঁহার শরীরে এত মশক বসিয়াছে যে, যেন একখানি কৃষ্ণবর্ণের কম্বল , দ্বারা ভঁৰ্তাহার শরীর সমাচ্ছাদিত। গিরিশচন্দ্ৰ পুনঃপুনঃ তাহাকে ডাকিয়াও উত্তর পাইলেন না ; পরে তঁহার আসন ধরিয়া আকর্ষণ করিতে লাগিলেন। নরেন্দ্রনাথের চৈতন্যশৃন্ত দেহ ভূমিতলে লুটাইয়া পড়িল। অনেকক্ষণ পরে নরেন্দ্ৰনাথের বাহ্যজ্ঞান ফিরিয়া আসে। দেহ-রক্ষার কয়েকদিবস পূর্বে পরমহংসদেব প্রত্যহ প্রিয়তম শিষ্য নরেন্দ্রনাথকে সন্ধ্যার সময় ডাকিয়া নির্জনে ভবিষ্যৎসম্বন্ধে নানাপ্রকার উপদেশ দান করিতেন। নরেন্দ্রনাথও বুঝিয়েছিলেন, ঠাকুর আর বেশী দিন মৰ্ত্তাধামে বিরাজ করিবেন না। এজন্য তিনিও শোকাকুল হইয়া উঠিয়াছিলেন। একদিন ঠাকুর নরেন্দ্রনাথকে কাছে বসাইয়া একদৃষ্টি তাহার দিকে চাহিয়া সমাধিস্থ হইয়া পড়েন। নরেন্দ্ৰনাথ পরে বলিয়াছিলেন যে, সেই সময় তিনি অনুভব করিয়াছিলেন, পরমহংসদেবের শরীর হইতে একটা সুক্ষতেজ নির্গত হইয়া ভঁাহার দেহে প্রবেশ করিতেছে। ক্রমে তিনিও বাহাজ্ঞানশূন্য হইয়া পড়েন। কিয়ৎকাল পরে চৈতন্যলাভ করিয়া তিনি দেখিলেন, ঠাকুর অশ্রুত্যিাগ করিতেছেন। পরমহংসদেব বলিলেন,