পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

δΣ8 उांशड-@डिङों “আজ তোকে সৰ্ব্বস্ব দিয়ে ফকীর হলুম। তুই এই শক্তিতে জগতের অনেক কাজ কবি, কাজ শেষ হ’লে ফিরে যাবি।” দেহরক্ষার দুই দিন পূর্বে পরমহংসদেব নরেন্দ্রনাথের হস্তে শিষ্যবৃন্দের ভার অর্পণ করেন। মহাপ্ৰস্থানের পূর্বমুহূৰ্ত্ত পৰ্য্যন্ত নরেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ঈশ্বর বলিয়া বিশ্বাস করেন নাই। শেষমূহুর্তে নরেন্দ্রনাথ মনে মনে যখন চিন্তা s যে, অন্যান্য ভক্ত ঠাকুরকে ভগবান বলিয়া বিশ্বাস করেন - তিনি যদি এখন স্বয়ং এ কথা বলেন, “আমিই ভগবান", তবে তিনি তাহা বিশ্বাস করিবেন, নহিলে নহে। ঠিক সেই মুহূৰ্ত্তেই পরমহংসদেব নরেন্দ্রের দিকে মুখ ফিরাইরা বলিলেন, “এখনও তাের জ্ঞান হলো না ? সত্যি সত্যি বলছি, যে রাম, যে কৃষ্ণ-সেই ইদানীং এই শরীরে রামকৃষ্ণ-তবে তোর বেদান্তের দিক দিয়ে নয়।” আর কি হৃদয়ে অবিশ্বাস স্থান পায় ? না । নরেন্দ্রনাথ সম্পূর্ণরূপে ঠাকুর রামকৃষ্ণকে সেই মুহূৰ্ত্ত হইতে ‘অবতার বলিয়া সম্পূর্ণ বিশ্বাস করিয়াছিলেন। । পরমহংসদেবের দেহাবসানের পর নরেন্দ্ৰনাথ প্রভৃতি কয়েক জন যুবক শিষ্য আর গৃহে ফিরিলেন না । নিৰ্দ্ধারিত চুক্তির দিন সমাগত হইলে কাশীপুরের বাগানবাটী ছাড়িয়া দিয়া বরাহনগরে বাড়ী ভাড়া করিয়া তাহারা সন্ন্যাসীর ন্যায় জীবনযাপন করিতে গুরুভ্রাতারা নরেন্দ্রনাথকে গুরুর আসনে বসাইয়া তাহারই নির্দেশ অনুসারে সাধনানন্দে উৎফুল্ল হইয়া উঠিতে লাগিলেন। অভিভাবকদিগের প্ররোচনায় কোনও কোনও যুবক গৃহে ফিরিয়া গিয়াছিলেন। নরেন্দ্রনাথ তঁহাদিগকে ডাকিয়া আনাইয়া সন্ন্যাসজীবনের শ্ৰেষ্ঠত্ব বুঝাইয়া দিলেন । মাঠে ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ, ইতিহাস প্রভৃতি আলোচনার একটি কেন্দ্ৰ স্থাপিত হইল ।