পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । , ১২৭ গোপনে জনৈক অনুরক্ত বালকের দ্বারা লিম্বভীর রাজপ্রাসাদে ‘সংবাদ প্রেরণ করিলেন। রাজা বাহাদুর কয়েকজন দেহরক্ষী সৈনিক পাঠাইয়া । স্বামীজীর উদ্ধার-সাধন করেন। পরিশেষে লিম্বভীরাজ স্বামীজীর শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। } স্বামীজী পোরবন্দর হইতে দ্বারকা, মাণ্ডবী, পালিটানা প্ৰভৃতি স্থান পৰ্য্যটন করিয়া বোম্বাই নগরে পদাৰ্পণ করেন । লোকমান্য তিলকের সহিত স্বামীজীর আলাপ হয় । সেখান হইতে বেলগ্রাম ও মারমাগোয়া পরিভ্রমণ পূর্বক স্বামীজী অবশেষে মহীশূররাজ্যে প্রবেশ করেন। তত্ৰত্য প্রধান দেওয়ান শেষাদ্রি বাহাদুর স্বামীজীর সহিত আলাপে পুলকিত হইয়া মহীশূৰ্বাধিপ মহারাজ চামরাজেন্দ্র ওয়াডিয়ার বাহাদুরের সহিত পরিচয় করাইয়া দেন। তরুণ তপস্বীর লোকাতীত প্ৰতিভার পরিচয় পাইয়া মহারাজ ঊর্তাহাকে তদীয় প্রাসাদে অবস্থান করিবার জন্য সবিনয় অনুরোধ করিলেন। মহারাজের কোনও বিষয়ে ক্ৰটী দেখিলে স্বামীজী তৎক্ষণাৎ তাহার তীব্র সমালোচনা করিতেন। পরীক্ষার জন্য একদিন মহারাজ কৃত্ৰিম কোপসহকারে বলিলেন, তিনি শক্তিশালী নরপতি, তাহাকে ভয় করা, খোসামোদ করা কীৰ্ত্তব্য ; নহিলে স্বামীজীর জীবন বিপন্ন হইতে পারে। মহারাজের মনোগত অভিপ্ৰায় বুঝিতে না পারিয়া স্বামীজী সরল-বিশ্বাসে, নিৰ্ভীকভাবে বলিয়াছিলেন, “আপনার অন্যায় কাৰ্য্যের সমর্থন করিবার জন্য বহু চাটুকার আপনার সভায় আছেন। আমি সন্ন্যাসী, সত্যই আমার অবলম্বন, আমার প্রধান তপস্যা ; আমি সত্যকে ত্যাগ করিব কেন ? ভয়ে ? মহারাজ, আপনি হিন্দু রাজা হইয়া হিন্দু সন্ন্যাসীর নিকট কি এরূপ হীন কাৰ্য্যের প্রত্যাশ করেন ? আশ্চৰ্য্য।”