পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እ ዓb? ' ভারত-প্ৰতিভা । প্ৰতিভার ক্রমবিকাশ দেখিয়া অধ্যাপকবৃন্দের বিস্ময়ও ক্রমে বাড়িতে লাগিল। ঈশ্বরচন্দ্রের হস্তলিপি অত্যন্ত প্ৰশংসনীয় ছিল। তিনি স্বহস্তে অনেক সংস্কৃত পুথি লিখিয়া লইয়াছিলেন। সে লেখা দেখিয়া মুক্তকণ্ঠে সকলেই তেঁাহার হস্তাক্ষরের প্রশংসা করিয়া গিয়াছেন । ঈশ্বরচন্দ্ৰ যেরূপ কঠোর দারিদ্র্যের সহিত ভীষণ সংগ্ৰাম করিয়া বিদ্যা অর্জন করিয়াছিলেন, তাহা সকলেরই আদর্শ-স্বরূপ। এই সময় তদীয় মধ্যম সহোদর দীনবন্ধু বিদ্যার্জনের উদ্দেশ্যে কলিকাতায় আগমন করেন। এই সময় রন্ধনাদির কাৰ্য্য ঈশ্বরচন্দ্ৰকেই করিতে হইত। প্ৰাতঃস্নান শেষে তিনি বাজারে গিয়া দ্রব্যাদি কিনিয়া আনিতেন। বাটনা নিজেকেই বঁটিয়া লইতে জুইত। স্বহস্তে চারিজনের মত দ্রব্যাদি রন্ধন করিয়া সকলকে খাওয়াইতেন, উচ্ছিষ্ট মুক্ত করিতেন। বাসনামাজা, কাঠ চেলাকরা প্ৰভৃতি কাৰ্যও তঁহাকে করিতে হইত। প্ৰসন্নমুখে প্ৰফুল্প অন্তরে ঈশ্বরচন্দ্র এ সকল কাৰ্য্য করিতেন। দারিদ্র্য মানুষকে গড়িয়া তুলে, ঈশ্বরচন্দ্রও তাহার প্রভাবে উত্তরকালে কত মহৎ, কত বড় লোক হইয়াছিলেন, তাহা এখন কোন বাঙ্গালী না জানে ? যে ঘরে রন্ধন করিতে হইত, তাহার অবস্থা অতিশয় জঘন্য ছিল। সেকালের কলিকাতা সহরের একতিল কক্ষ মানুষ্যের ব্যবহারের অযোগ্য। আলোক ও বাতাস সে কক্ষে প্ৰবেশ করিতে পাইত না। আবার উহার সন্নিকটে দুইটি দুৰ্গন্ধময় পাযখানা অবস্থিত ছিল। বর্ষাকালে এই ঘরের অবস্থা কিরূপ শোচনীয় হইত, তাহা সহজেই অনুমেয়। চৰ্ম্মচটকা ও তৈলপায়িকার দৌরাত্ম্য কম ছিল না। একবার ঈশ্বরচন্দ্ৰেয় অজ্ঞাতসারে ব্যঞ্জনে একটি তৈলপায়িকা পড়িয়ছিল । আহারের সময় স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্রের অংশে উহা আসিয়াছিল। মৎস্য ভাবিয়া মুখে দিয়া