পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शैश्वद्भछल दियानांत्रांब्र। SS সালে, ১৯শে আশ্বিন, তারিখে বিধবাবিবাহ আইনে পরিণত করিবার উদ্দেশ্যে একসহস্ৰ ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একখানি আবেদন পত্র ব্যবস্থাপক সভায় পেশ হইয়াছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের যত্ন ও চেষ্টায়, ইহা সংঘটিত হয়।' আলোচ্য বর্ষের ২রা অগ্রহায়ণ ব্যবস্থাপক সভার অন্যতম সদস্য গ্ৰণ্ট' সাহেব, ব্যবস্থাপক সভায় বিধবা-বিবাহ আইনেৱ একখানি পাণ্ডুলিপি পেশ করেন। রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের চেষ্টায় ছত্ৰিশ হাজার সাতশত তেষট্টি জন লোক উক্ত আইনের বিরুদ্ধে দেবখাস্ত করেন। ভীষণ প্ৰতিবাদ ও আন্দোলন চলিল - বটে ; কিন্তু তাহাতে কোনও ফল হইল না। ১২৬৩ সালের ১২ই শ্রাবণ আইন পাশ হুইয়া গেল। বিদ্যাসাগর মহাশয় অতঃপর বলবিধবাদিগের বিবাহের জন্য বদ্ধপরিকব হইলেন। তিনি সৰ্ব্বসমেত প্ৰায় ষাটটি স্বালবিধবার বিবাহ দিয়াছিলেন । এজন্য তিনি প্ৰায় বিরাশী সহস্ৰ মুদ্রা স্বায় করিয়াছিলেন । বিধবা বিবাহ আইনে পরিণত করা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনে এক অতুল্য কীৰ্ত্তি। ঋণ করিয়াও তিনি বিধবার বিবাহ দিতে পশ্চাৎপদ হন নাই । , বিধবার বিবাহ দিবার জন্য বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এরূপ দৃঢ় সংকল্প ইহঁবার সম্বন্ধে নানারূপ। গল্প শুনা যায়। কাহারও কাহারও মতে মাতার নির্দেশক্রমে বিদ্যাসাগর মহাশয় এইরূপ, দুরূহ কৰ্ম্মে প্ৰবৃত্ত হইয়াছিলেন। কোনও বাল্যবিধবার কষ্ট দেখিয়া ঈশ্বরচন্দ্রের জননী পুত্ৰকে বলেন, “ইরে, ঈশ্বর তোদের শাস্ত্ৰে কি এর কোন প্ৰতীকার নেই?” শুনা যায়, তদবধি ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিধবা বিবাহের অনুকূলে শাস্ত্রীয় প্রমাণ সংগ্রহে প্ৰবৃত্ত হন।". বিদ্যাসাগর মহাশয় সাদা থান, মোটা চাদর ও চটজুতা পরিয়াই ছোটলাট বাহাদুরের সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইতেন। তিনিও সৰ্ব্বাগ্রে 3