পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NR Pty" ভারত-প্ৰতিভা, মহসীনের অপেক্ষা তিনি বয়সে অনেক বড় ছিলেন। স্নেহময় ভ্রাতাটিকে কাছে আনিবার জন্য বহুদিন হইতেই তিনি চেষ্টা করিতেছিলেন । কিন্তু মহসীন তখন সুদূর প্রবাসে প্রায় অজ্ঞাতবাসেই কাটাইতে ছিলেন । ক্রমে মন্ন জান বাৰ্দ্ধক্যের পথে অগ্রসর হইতেছেন দেখিয়া আর নিরস্ত থাকিতে পারিলেন না । মহসীনকে দেশে ফিরিবার জন্য পুনরায় পত্র লিখিলেন। মহসীন তখন মিশরদেশ হইতে ভারতবর্ষে আসিয়া দেশ পৰ্য্যটন, করিতেছিলেন । ভগিনীর পত্ৰ পাইয়া মহসীন প্রথমতঃ চুপ করিয়া রহিলেন, দেশে ফিরিলেন না। অবিরত ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম ও সাধুসঙ্গে থাকিয়া সংসারের প্রতি তঁহার বিতৃষ্ণ জন্মিয়াছিল ; কিন্তু শেষে এমন অবস্থা দাড়াইল যে, স্নেহময়ী ভগিনীর অনুরোধে উপেক্ষা করিবার উপায় द्वझ्काि मीं । ভগিনীর মৃত্যু আসন্ন দেখিয়া অগত্যা তিনি হুগলীতে ফিরিয়া আসিলেন। ১৮০৩ খৃষ্টাব্দে মগ্ন,জানি ভ্রাতাকে সমস্ত বিষয়-বিভবের উত্তরাধিকার দান করিয়া পরলোকধাত্ৰা করিলেন । উদাসীন মহসীন অতুল বিষয়-বিভবের অধিকারী হইলেন দেখিয়া, বহুসংখ্যক পরীশ্ৰীকান্তর ব্যক্তির হৃদয় ঈর্ষাভরে জ্বলিয়া উঠিল। বান্দা আলি খাঁ নামক একাধ্যক্তি আসিয়া বিষয়-সম্পত্তির অধিকার দাবী করিয়া বসিল । মহসীন বিষয়ে সম্পূর্ণ অনাসক্ত ছিলেন ; কিন্তু ভগিনীর মৃত্যুকালে শপথ সহকারে যে সম্পত্তি পরিচালনের ভার তিনি গ্ৰহণ করিয়াছিলেন, একজন জুয়াচোরের হাতে তাহ সমর্পণ করিতে ভঁ;হার বিবেক বাধা দিল। তিনি জানিতেন, ভগিনীর সম্পত্তিতে বান্দা আলি “খার কোনও ন্যায়সঙ্গত অধিকার নাই ।