পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাজি মহম্মদ মহসীন। ° Roo মামলা শেষে আদালতে গড়াইল। আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য মহসীনকেও লড়িতে হইল ; কিন্তু এ সকল বৈষয়িক ব্যাপারে এমন ভাবে লিপ্ত হইতে হইতেছে দেখিয়া, তিনি মনে মনে সংসারের প্রতি আরও বিরূপ হইয়া উঠিলেন। আদালতে ধৰ্ম্মের জয়লাভ ঘটিল। মহসীন যে মানুজনের তক্তসম্পত্তির ন্যায়সঙ্গত উত্তরাধিকারী, সে বিষয়ে আদালতে চূড়ান্ত নিস্পত্তি হইয়া গেল। শত্রুপক্ষ গতিক ভাল নহে দেখিয়া তাহার সঙ্কিত শত্ৰুতাচরণে বিরত হইল । মহসীনের ঐশ্বৰ্য্য ক্ৰমেই বাড়িতে লাগিল। আত্মীয়-স্বজন মহসীনকে বিবাহ করিয়া সংসাৰী হইবার জন্য পীড়াপীড়ি করিতে লাগিলেন ; কিন্তু মহসীন সংসারে জড়াইয়া পড়িবার কোনও লক্ষণ প্ৰকাশ করিলেন না। রমণীকুলের প্রতি তিনি অনাসক্ত ছিলেন। সংসারের কোনও প্রলোভন তাহাকে অভীষ্ট সংকল্প হইতে বিচুত করিতে পারিল না। আৰ্ত্তপীড়িত, দরিদ্র, নিরন্নের সেবার জন্য মহসীন তাহার ধনভাণ্ডারের দ্বার মুক্ত করিয়া দিয়াছিলেন। ফকীর মহসীন জ্ঞান ও অর্থ বিতরণের কোন ও দিন কৃপণতা করেন নাই । তাহার হস্তাক্ষর অত্যন্ত চমৎকার ছিল । কোরাণের উৎকৃষ্ট “বিয়েৎ’ গুলি স্বহস্তে লিখিয়া তিনি ভিক্ষুক বৰ্গকে বিলাইতেন । তাহারা উহ। বাড়ী বাঙী বেচিয়া অপেক্ষাকৃত অধিক অর্থ উপাৰ্জন কবিতে লাগিল। বাস্তবিক সে সময়ে ভিক্ষুকের সংখ্যা সেখানে অনেক কমিয়া গিয়াছিল । মহসীন অনেক সময় রাত্রিকালে নগর ও গ্রামবাসিগণের অবস্থা পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া বেড়াইতেন । সে সময়ে কাহারও কোনও অভাব দেখিলে তিনি তৎক্ষণাৎ তাহার সে অভাব পূর্ণ করিতেন। S 3