পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। ' ७९ | ভুবনডাঙ্গার বিস্তৃত মাঠ ক্রয় করিয়া নির্জনে সাধন-ভজনের জন্য “শান্তিনিকেতন” নামে সুরম্য আশ্রম প্রতিষ্ঠিত করেন। মহর্ষি এই আশ্রমের ব্যয়-নির্বাহাৰ্থ মাসিক দেড় শত টাকা আয়ের সম্পত্তি দিয়া সমাগত সাধকগণের সাধনার ও আতিথ্যের সুব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন। শেষ জীবনে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ সৌন্দর্ঘ্যের লীলাভূমি সিমলা, মুসুরী ও দাৰ্জিলিং শৈলে, এবং শান্তিনিকেতনে অবস্থান করিয়া ঈশ্বরের ধ্যানে নিমগ্ন থাকিতেন। এইরূপ সাধনায় তিনি অমূল্য সত্য লাভ করিয়াছিলেন। কলিকাতায় ফিরিয়া উপদেশ, আলোচনা ও বক্তৃতাদি করিয়া, বৰ্দ্ধমান, কৃষ্ণনগর, ও সিংহলে গিয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মপ্রচার করিয়াছিলেন । এই সময় রাজনারায়ণ বসু, কেশবচন্দ্ৰ সেন, বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও প্ৰিয়নাথ শাস্ত্রীকে সহায়করূপে পাইয়া তাহার উৎসাহ সমধিক বদ্ধিত হইল। ১৮৭২ খৃষ্টাব্দের ১লা বৈশাখ মহর্ষি প্রিয় শিষ্য কেশবচন্দ্ৰকে “ব্ৰহ্মানন্দ” উপাধি প্ৰদান করেন । কেশবচন্দ্রের সহযোগিতায় কয় বৎসর ব্ৰহ্মসমাজের প্রচারকাৰ্য্য পূর্ণ উদ্যমে উৎকৃষ্টভাবে চলিতে লাগিল। উপবীত ত্যাগ না করিলে কেহ উপাচাৰ্য্যের পদ পাইবেন না, কেশবচন্দ্র এই মত প্ৰবৰ্ত্তিত করিলে, মহৰ্ষির সহিত কেশবচন্দ্রের মতবিরোধ ঘটে ; গুরু-শিষ্যে ধৰ্ম্মজীবনের DBBB DD DSS S BYSDDSDBBBS DBDS SBBBDBDB DDD ব্ৰাহ্মসমাজ হিন্দুসমাজ হইতে ভিন্ন, এ কথা রাজা রামমোহন ও মহর্ষি কখনও প্রচার করেন নাই। সামাজিক প্রথার ভিন্নতা কখনও ধৰ্ম্মনীতির মূলসূত্রকে বিপৰ্যন্ত করিতে পারে না, ইহাই তাঁহাদের মত ছিল। কিন্তু কেশবচন্দ্র সে মত পরিহার করিলেন। মহর্ষি পুত্ৰাধিক প্রিয় শিষ্য কেশবচন্দ্রের বিচ্ছেদে মৰ্ম্মপীড়িত হইয়াছিলেন ; কিন্তু স্নেহের অনুরোধে মতাচ্যুত