পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ο ভারত-প্ৰতিভা একমত হইয়া, নিরাকার ও একেশ্বরবাদী কেশবচন্দ্ৰ ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মে অনুরাগী ও আস্থাবান হইলেন, এবং ব্রাহ্মধৰ্ম্মগ্রহণের প্রতিজ্ঞাপত্রে স্বাক্ষর করিয়া >vta খৃষ্টাব্দে ব্ৰাহ্মসমাজের সভ্য হইলেন। f মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ হিমালয় হইতে ফিরিয়া বন্ধুপুত্ৰ কেশবচন্দ্রকে পাইয়া পুলক্তি হইলেন-ব্ৰাহ্মসমাজে মণিকাঞ্চনযোগ হইল। পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী লিখিয়াছেন—“এক দিকে কেশবচন্দ্রের ব্ৰাহ্মসমাজে প্রবেশ, অপর দিকে মহৰ্ষির আধ্যাত্মিক জীবনের নব উদ্দীপনা, এই উভয়ে ব্ৰাহ্মসমাজে এক নবশক্তির সঞ্চার করিল । * * ব্ৰাহ্মসমাজ নব নব কাৰ্য্যক্ষেত্রে প্রবেশ করিতে লাগিল। কেশবচন্দ্ৰ ঐ সকলের উদ্ভাবনকৰ্ত্ত ও দেবেন্দ্ৰনাথ পৃষ্ঠপোষক। ইং ১৮৫৯ সালে ‘ব্রাহ্ম বিস্তালিয়” নামে একটি বিদ্যালয় স্থাপিত হইল। দেবেন্দ্ৰনাথ ও কেশবচন্দ্ৰ কলেজের ছাত্রদিগকে বাঙ্গালা ও ইংরাজীতে উপদেশ দিতে লাগিলেন। তন্দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সম্মানিত ছাত্ৰ ব্ৰাহ্মসমাজের দিকে আকৃষ্ট হইলেন।” ১৮৫৯ খৃষ্টাব্দে ২৭শে সেপ্টেম্বর কেশবচন্দ্ৰ মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ও সত্যেন্দ্ৰনাথের সহিত অসীম সমুদ্রের অনন্ত সৌন্দৰ্য উপভোগ করিবার জন্য সিংহলযাত্ৰা করিলেন। এই সময় সমুদ্রযাত্ৰা করিলে জাতি যাইত। কেশবচন্দ্রের গৃহে ক্ৰন্দন-রোল উখিত হইল। সিংহল হইতে প্ৰত্যাবৃত্ত হইয়া কেশবচন্দ্ৰ বেঙ্গলব্যাঙ্কে ২৫২ টাকা বেতনের কৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিলেন। কাৰ্য্যদক্ষতা ও সুন্দর হস্তাক্ষরের জন্য অল্পদিনের মধ্যেই তাহার বেতনবৃদ্ধি হইল। কিন্তু ধৰ্ম্মানুষ্ঠানে আত্মনিয়োগ করিবার জন্য তিনি কৰ্ম্মত্যাগ করিয়া ঈশ্বরের নিকট আত্মনিবেদনা করিলেন। ঈশ্বর লাভের জন্য তখন তিনি ব্যাকুল-দেশের নানা দুৰ্গতি দূর করিবার জন্য ব্যস্ত। এই সময়ের অবস্থার কথা কেশবচন্দ্র ‘জীবন-বেদে’