পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্ৰ সেন । 8S লিখিয়াছেন ; -“আমি পাপী, আমি পাপী, মন, এইরূপই বলিত । ** এই স্বার্থপরতা হইল, তার পর এই অভিমান হইল, তার পর এই পরদ্রব্যে আসক্তি হইল, তার পর মিথ্যা বলিবার ইচ্ছা হইল, তার পর টাকার প্রতি মত্তত আসিল । * * যেমনি পাপবোধ, অমনি কষ্ট, জ্বালা । ** কিসে পাপ স্বায়, প্রথমে এই একই চেষ্টা ছিল; কিসে মনে কুপ্রবৃত্তি না হয়, এই ভােবই ছিল। কিসে পরসেবা করিয়া সার্থক-জন্ম হইব, * * কিসে স্বার্থপরতা যায়, দয়ায় ডুবিয়া থাকিতে পারি।” ইংরাজী-শিক্ষিত এক শ্রেণীর যুবক-সম্প্রদায় তখন অত্যন্ত উচ্ছঙ্খল— মদ খাইয়া মাতাল হইতে তাহারা সঙ্কুচিত-লজ্জিত হইতেন না,ধৰ্ম্মের সংস্রব রাখিতেন না। কেশবচন্দ্র যুবকগণের নাস্তিকতা ও চরিত্রহীনতার জন্য ব্যথিত ইষ্টলেন-ৰ্তাহাদের সংশোধনের জন্য-ধৰ্ম্মে আস্থা জন্মাইবার জন্য “বঙ্গীয় **t, *2 (\tilisa S.,” “Young Bengal, that is for you” নাম দিয়া বারোখানি ক্ষুদ্র পুস্তিকার প্রচার করিলেন ; বক্তৃতা ও ধৰ্ম্মেপদেশ প্রদান করিতে লাগিলেন। তঁহার চেষ্টায় বহু যুবক সুরাপান ত্যাগ করিয়া ধৰ্ম্মে আকৃষ্ট হইল। তঁহার বাগিতায় সৰ্ব্বসাধারণে মুগ্ধ হইতে লাগিল । এই সময় খৃষ্টান পাদ্রীগণের প্রভাব প্ৰবল ছিল। শিক্ষিত-সমাজ তাহসুন্দর প্ররোচনায় হিন্ধুধৰ্ম্মে ভক্তি হারাইয়া, খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইতেছিলেন। সুপণ্ডিত কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাগিবের কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুলেখক লালবিহারী দে প্রভৃতি শিক্ষিতগণ প্রথম-যৌবনে খৃষ্টধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । কৃষ্ণনগর পাদরীগণের প্রধান প্রচারক্ষেত্র ছিল । কেশবচন্দ্ৰ কৃষ্ণনগরে গিয়া পাদ্ৰীগণের সহিত তৰ্ক-যুদ্ধে প্ৰবৃত্ত হইলেন। পাদ্রীগণ ব্রাহ্মধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করিতেন ; কেশবচন্দ্ৰ খৃষ্টধৰ্ম্মের দোষ